প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্র বিকেলে, যাচ্ছে না ঐক্যফ্রন্ট



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা-চক্র শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিয়ে এই চা চক্র অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে যাচ্ছে না প্রধান বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ ঐক্যফ্রন্ট প্রত্যাখ্যান করায় বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ আছে আওয়ামী লীগে। এদিকে রাজনৈতিক মহলেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই মনে করছেন, দাবি-আপত্তি ও মতবিরোধ নিয়ে সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনার সরাসরি সুযোগ হারালো ঐক্যফ্রন্ট।

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে এখন পর্যন্ত শপথ না নেওয়া, সংসদ বর্জনের রাজনীতি ও গণভবনে চা চক্রের অনুষ্ঠান বর্জনের মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেদিকে কড়া নজর রাখছেন আওয়ামী লীগের হাইকমাণ্ড।

আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ঐক্যফ্রন্ট প্রথমে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে ও পরে ভোটে অংশ নেয়। প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনের আগে বিদেশিদের মধ্যস্থতা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সংলাপ আয়োজনে সফল হন। এর মধ্য দিয়ে দেশে এক ধরনের ইতিবাচক রাজনীতি শুরু হয়। এরপর রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষকে নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো চা চক্রের আয়োজন করছেন প্রধানমন্ত্রী। যা তার উদারতার বহি:প্রকাশ। কিন্তু গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ না করে ‘বিএনপি আবার নেতিবাচক রাজনীতির দিকে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ বর্জন করা বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতিবাচক মানসিকতার বহি:প্রকাশ, যা গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয় বলেও মনে করেন তারা।

দলীয় সূত্র জানায়, দেশের প্রয়োজনে কিছু রাজনৈতিক ছাড় দিয়ে হলেও ঐক্যফ্রন্টকে সংসদে আনার পক্ষে ছিল আওয়ামী লীগ নেতারা। সেক্ষেত্রে চা-চক্রে সরকার প্রধানের সঙ্গে বিএনপির খোলামেলা আলোচনা করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সে সুযোগটি নষ্ট হচ্ছে ঐক্যফ্রন্টের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করায়।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে চা-চক্রের আয়োজন করেছেন, সেখানে যোগ দিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট খোলামেলা আলাপ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আহ্বান বিএনপি বর্জন করেছে। এটা তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা। বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির কারণে খাদের কিনারে চলে এসেছে। বিএনপি যদি তাদের চিরাচরিত নেতিবাচক রাজনীতির ধারা আঁকড়ে ধরে থাকে, তাহলে তারা অন্ধকারে খাদে পড়ে যাবে।’

১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বিএনপি সংসদে না এলে সুযোগ হারাবে। দেশের মানুষ হরতাল, অবরোধে বিশ্বাস করে না। রাজনীতিতে উত্তাপ সৃষ্টি করে লাভ নেই। আমরা সংঘাতে যেতে চাই না।’

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা চা চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো ড. কামাল-মির্জা ফখরুল নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে। চিঠি দিয়ে তারা আসবেননা বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাঁচ বছর আগে তাদের নেতা বেগম জিয়াকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে তিনিও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন বেগম জিয়ার বাসায় তার ছেলের লাশ দেখতে। বাড়ির গেইটের সামনে রাস্তায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে প্রধানমন্ত্রী ফেরত এসেছিলেন। গেইট খুলেননি তারা। এরপরও কি ওই মহান বয়ানগুলো দিতে থাকবেন আর শুধু শেখ হাসিনাকেই উদার হতে বলবেন ?’

প্রসঙ্গত, সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় ৭৬টি রাজনৈতিক দল। এসব দলকে ২ ফেব্রুয়ারি গণভবনে চা-চক্রের দাওয়াত দেন প্রধানমন্ত্রী। সংলাপে অংশ নেওয়া ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গত ২৬ জানুয়ারি দাওয়াতের চিঠি পান। চিঠি পাওয়ার পর থেকে তারা চা-চক্রে যাবেন না বলে জানিয়ে আসছেন। তবে ১৪ দলীয় জোট, যুক্তফ্রন্ট, বিকল্পধারা ও কিছু ইসলামি দলের জোটের নেতারা চা-চক্রে অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

   

দেশের জলবায়ু মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য।

বাংলাদেশ জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়া এবং সকল নাগরিকের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশের জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনার অগ্রগতির ওপর গুরুত্বারোপ করে ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান এক্সপো ২০২৪’র একটি সেশনে দেওয়া বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং উদ্ভাবনী সমাধানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অভিযোজনে দেশের নেতৃত্ব প্রদানের কথা উল্লেখ করেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এসময় বক্তব্য দেন সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সোহেল।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এম. আসাদুজ্জামান বাংলাদেশে ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ উপস্থাপন করেন।

;

মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন অফিসের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

নির্বাচনে কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান (দোয়াত-কলম), এসএম মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল), কাজী মুজাহীদুল ইসলাম (হেলিকপ্টার), নাসিমা আকতার সাদেক (শালিক), ইমদাদুল হক (আনারস), ওবায়দুর রহমান (জোড়া ফুল), মফিজুর রহমান (ঘোড়া)।

এ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন (তালা), পলাশ কুমার মল্লিক (উড়োজাহাজ), আব্দুল লফিত রানা (মাইক), মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ও সুমন সাহা (চশমা)।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরা খানম (কলস) ও রাবেয়া খাতুন (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে, মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আমজাদ হোসেন লাভলু (আনারস), ফারুক হোসেন (মোটরসাইকেল) এবং মিকাইল হোসেন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে এসএম আব্দুল হক (তালা), মুনজুর আক্তার (চশমা), শরিফুল ইসলাম (টিয়া পাখি), সন্দীপ কুমার ঘোষ (টিউবওয়েল)। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমেনা বেগম (হাঁস), কাজী মোছা. জলি আক্তার (কলস), মাহবুবা ফেরদৌস পাপিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা), জেসমিন (প্রজাপতি), মাজেদা খাতুন (পদ্মফুল) ও সুরাইয়া আক্তার (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

;

চানখাঁরপুলে ফুটপাতে পড়ে ছিল যুবকের মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর চানখাঁরপুলের ফুটপাত থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স আনুমানিক ৩২ বছর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ( ঢামেক)হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম। তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান, সে আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় তার নামপরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

;

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে মৃত হাতি, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে মৃত হাতি, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে মৃত হাতি, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। তবে হাতিটি দাঁতবিহীন ছিল।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলার রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের দ্বিতীয় গেটে হাতিটির মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের কর্মকর্তারা। খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অধিদফতরের একটি দল সেখানে আসেন।

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম বলেন, গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় মৃত হাতি পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেন। বিষয়টি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে পুলিশকে খবর দেই। খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে যায়।

এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতির মাথায় ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। হাতির দাঁতগুলো কেটে নেয়া হয়েছে। পরে পুলিশের একটি ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। এছাড়াও ভেটেনারি সার্জন ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভেটেনারি সার্জন একত্রে মৃত হাতি ময়নাতদন্ত করবেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। পরে রাতের আধারে হাতিটি এই স্থানে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

;