আদালতের রায় হলেই নিষিদ্ধ হবে জামায়াত: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ করতে আদালতে চলমান মামলার রায় শিগগিরই হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধ করার জন্য কোর্টে একটা মামলা রয়ে গেছে। রায়টা যতক্ষণ পর্যন্ত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমার মনে হয় কিছু করতে পারি না। আমি আশাকরি কোর্টের রায় যদি খুব শিগগিরই হয়ে যায় তাহলে জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে।'
বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে বিচারকার্য বন্ধ করে দেয় এবং তাদের (জামায়াতের) রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। ভোটের অধিকার দেয়।'
তিনি আরও বলেন, 'যেটি আমাদের সংবিধানে ছিল না। সেই সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে দেওয়া হয় এবং ৩৮ অনুচ্ছেদের আংশিক সংশোধনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। তবে এখন তাদের বিরুদ্ধে এমনভাবে জনমত সৃষ্টি হয়েছে, এ দেশের মানুষ জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য একটি দলের নিবন্ধন প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন তাদের যে সকল শর্ত দিয়েছিল সেগুলো তারা পূরণ করতে পারেনি বলে তাদের নিবন্ধন দেয়া হয়নি। কিন্তু নিষিদ্ধ করার জন্য কোর্টে একটি মামলা রয়ে গেছে। মামলার রায়টা যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে সেখানে আমরা মনে হয় কিছু করতে পারি না। আমি আশাকরি কোর্টের রায় যদি খুব শীঘ্রই যদি হয়ে যায়। তাহলে জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে। তবে এটা খুব ন্যক্কারজনক যে নিবন্ধিত না সেই অবস্থায়ও তারা নিজেদের নামে বিএনপি’র সাথে একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোট করে তারা ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থী হয়েছিল। তবে এ দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই তারা তাদের ভোট দেইনি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।'
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সাজাপ্রাপ্ত নেতাদের প্রসঙ্গে সংসদ নেতা বলেন, 'যারা অপরাধী, মানুষ খুন করা থেকে শুরু করে মানি লন্ডারিং এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত। যারা গ্রেফতারকৃত তারা তো গ্রেফতার আছেই। কিন্তু যারা বিদেশে পালিয়ে আছে বা পলাতক তাদের ফেরত আনার ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমাদের আলোচনা আছে। আামি বিশ্বাস করি আমরা তাদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি বাস্তবায়ন করতে পারব।'