অর্থাভাবে বন্ধ দেশের প্রথম শহীদ মিনার পুনঃনির্মাণ কাজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪
ভাষা আন্দোলনে নিহতদের জন্য শ্রদ্ধাসারক, ছবি: বার্তা২৪

ভাষা আন্দোলনে নিহতদের জন্য শ্রদ্ধাসারক, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ বরাদ্দের অভাবে প্রায় তিন বছর ধরে থমকে আছে দেশের প্রথম শহীদ মিনারের পুনঃনির্মাণ কাজ। রাজশাহী কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাস চত্বরে প্রথম শহীদ মিনারের স্থানে নতুন নকশা অনুযায়ী এটি নির্মিত হওয়ার কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫২ ফিট উচ্চতার শহীদ মিনার নির্মাণের কথা ছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক)। এজন্য ৫০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তবে শেষ পর্যন্ত অর্থ ছাড় না পাওয়ায় স্মৃতির মিনার নির্মাণে হাত দিতে পারেনি রাসিক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/09/1549695936810.jpg

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ মহা. হবিবুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দের চিঠি তুলে দেন এমপি। অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ অর্থ বরাদ্দ হয়। তবে শেষ পর্যন্ত অর্থ ছাড় না পাওয়ায় শহীদর মিনার পুনঃনির্মাণ কাজ শুর করতে পারেনি রাসিক।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংসদ সদস্য যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলেন, সেটি ছিল ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন খাতের জন্য। ফলে শহীদ মিনার নির্মাণে বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় দেয়নি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

একই কথা জানালেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমানও। রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ বলছেন, শহীদ মিনার নির্মাণের দায়িত্ব সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। সেই চেষ্টা চলছে। সংসদ সদস্য এখনও এটি নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ আনার চেষ্টা করছেন। আশা করি- শিগগিরই বিষয়টি সুরাহা হবে।

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা জানান, ভাষা আন্দোলনের প্রতি অকৃত্রিম, গভীর শ্রদ্ধা থেকেই ওই স্থানে প্রথম শহীদ মিনারের আদলে দৃষ্টিনন্দন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলনের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এ উদ্যোগ। এখনও তিনি এ কাজের অর্থ বরাদ্দের চেষ্টা করছেন।

রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাবির দর্শন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক জানান, ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসেই রাজশাহী কলেজের নাম জড়িয়ে রয়েছে। বায়ান্নের আগে থেকেই রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। ঢাকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে তাল রেখে বৃহৎবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী এ কলেজ থেকেই রাজশাহীর ভাষা আন্দোলন পরিচালিত হতো।

ভাষাসৈনিক মোশারফ হোসেন আখুঞ্জি জানান, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর ঢাকায় নির্বিচারে গুলি ছোঁড়া হয়েছে, এমন খবর ওইদিন সন্ধ্যায় রাজশাহীতে পৌঁছে। রাজশাহীর মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীদের টেলিফোনে খবরটি আসার পর তা দ্রুত শহরময় ছড়িয়ে পড়ে। ভাষার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বুকে গুলি চালানোর খবরে সোচ্চার হয়ে ওঠেন রাজশাহীর ছাত্র-জনতা।

ওই রাতেই রাজশাহী কলেজের এ ব্লক ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী গোলাম আরিফ টিপুর কক্ষে সভা হয়। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় শহীদদের সম্মানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু তখনকার দিনে শহীদ মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না কারও। তারপরও রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হলো নির্মাণকাজ।

পাশেই ছিল হোস্টেল নির্মাণের জন্য ইটকাঠ। সেই ইটকাঠের সঙ্গে কাদামাটি মিশিয়ে রাত ১২টার মধ্যে নির্মিত হলো দেশের প্রথম শহীদ মিনার। মাটিতে কালি দিয়ে দিয়ে লিখে দেয়া হলো ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকের পাশে দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে সেটি তৎকালীন পুলিশ বাহিনী গুঁড়িয়ে দেয়। এটিই বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার, যা ঐতিহাসিকভাবে সত্য বলে তাঁর দাবি।

রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওলিউর রহমান বলেন, আজো স্বীকৃতি মেলেনি রাজশাহী কলেজে নির্মিত দেশের প্রথম এ শহীদ মিনারটির। কোনো রকমে এতদিন ধরে রাখা হয়েছে এ স্মৃতিস্তম্ভ। এটির পুনর্নির্মাণ ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি রাজশাহীর গণমানুষের প্রাণের দাবি।

স্মৃতিস্তম্ভটির রাষ্ট্রীয় স্বাকৃতি আদলে শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজশাহী কলেজে শুরু হয়েছে অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম। বেলা সাড়ে ১০টায় কলেজের অধ্যক্ষ মহা. হবিবুর রহমান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি।

রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবর মাহমুদ বলেন, দেশ-বিদেশের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে এ দাবির পক্ষে ভোট দিতে পারবেন মানুষ। ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে ভোটিং চলার পর তা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে দেয়া হবে। দাবির পক্ষে দালিলিক প্রমাণও জমা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

   

পিরোজপুর বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির জন্য অঝোরে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলেন পিরোজপুর তাফহিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা শতশত মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) সকাল ৮টায় মাদরাসার মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ নামাজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

নামাজের ইমামতি করান বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এর খতিব মাও: আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি
বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। নামাজের মাধ্যমে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলে আল্লাহ তা বান্দাদের দিয়ে থাকেন। তাই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য এই আয়োজন।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।

সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।

;

নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঋতু সুলতানা (১৫) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. ইসমাইলের মেয়ে। সে স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসির ফলপ্রত্যাশী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুঠোফোন বিষয়টি নিশ্চিত করেন- ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক মনির হোসাইন।

এর আগে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা ইসমাইল জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঋতু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসক ধারণা করেন- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

শিক্ষক মনির হোসাইন বলেন, ঋতুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মৃত্যুর সংবাদে তার সহপাঠী, শিক্ষকবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে যান। কোনোভাবেই তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৩৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০৮ পিস ইয়াবা, ৮৬ কেজি ৭৯৩ গ্রাম ৮০ পুরিয়া গাঁজা, ৭৪ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন, ৮২ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;