বিএনপি আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রামে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চেয়ে তাঁর মুক্তির দাবিকে আইন ও আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একই সাথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে দলটির আইনি লড়াইয়ে আন্তরিকার ঘাটতি রয়েছে বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বাংলা একাডেমির আদলে বইমেলার আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ ও চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন এর উদ্যোগ গ্রহণ করে।

জানা যায়, রোববার সকালে দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী চেয়ারপারসনের অসুস্থতার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুক্তি চান।

এ সংবাদ সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন। অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি রিজভী প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।’

‘এর মধ্য দিয়ে বিএনপি দলগতভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে প্রকারান্তরে আইন ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে কোনো এখতিয়ার নেই। প্রধানমন্ত্রী তো খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেননি। শাস্তি দিয়েছে আদালত, আদালতের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া নাকি অসুস্থ, তিনি তো আগে থেকেই অসুস্থ। টেলিভিশনে খালেদা জিয়ার যে চেহারা দেখলাম, সেখানে কী আপনারা অসুস্থতার কোনো চাপ দেখেছেন? খালেদা জিয়া ঠিক আগের মতো পরিপাটি বেশভূষা, সানগ্লাস নিয়ে হাজির হয়েছেন। এখানে কোনো অসুস্থার ছাপ লক্ষ করিনি।’

চসিক মেয়র ও মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান আ জ ম নাছির উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদোহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে মেলা উদযাপন কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন শাহ আলম মিন্টু, যুগ্ম-সচিব জামাল উদ্দিন, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেলার সদস্যসচিব সুমন বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।

   

বরিশালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল বিভাগীয় শহরে দিনব্যাপি প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮) এপ্রিল সকাল ১১ টায় নগরীর নবগ্রাম রোডস্থ জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর চত্বরে বরিশাল সদর উপজেলা প্রশাসনসহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও বরিশাল ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে ও প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিপি) প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বরিশাল উপ-পরিচালক ও উপসচিব গৌতম বাড়ৈ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপর্স মেহেদী হাসান, বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ড.নুরুল আলম, বরিশাল জেলা প্লোটি ফার্মার ডেইর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সৌরভ ঘোষ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বরিশাল সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. প্রদীপ কুমার বিশ্বাস।

এ সময় প্রধান অতিথি উপ- সচিব গৌতম বাড়ৈ বলেন, আমরা কৃষি সম্পদ নির্ভরশীল একটি দেশে উন্নয়নশীল অর্জন হলেও প্রাণিসম্পদ বাদ দিয়ে কোনভাবেই উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, আমরা এখন আর সেই তলাবিহীন ঝুড়ির দেশের মানুষ বলা যাবে না। আমাদের দেশের ঝুড়ির তলা এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দক্ষ দেশ পরিচালনায় সু-রক্ষিত।

সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের শুধু প্যান্ট, সাট ও সাজগোছ করেই স্মার্ট হলে চলবে না। আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকল কাজের জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে কেন্দ্রীয়ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি সহ প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং বিভিন্ন খামারি উপভোগ করেন। পরে অতিথিরা অংশ গ্রহণকারীদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

প্রদর্শনী মেলায় দেশবিদেশের পাখি ও উন্নত জাতের গবাদি প্রাণী এবং বিভিন্ন মেডিসিন কোম্পানির ৩৫টি স্টল অংশ গ্রহণ করে। বিকালে ২য় অধিবেশনে প্রদর্শনী মেলায় অংশ গ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ স্টল প্রদর্শনীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

;

এক গরুর দাম এক কোটি টাকা!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে দুই দিনের প্রাণিসম্পদ মেলা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে এ আয়োজন করা হয়েছে। বৃস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মেলার গেট। মেলায় প্রবেশ করতে কোনো টিকেট কাটতে হচ্ছে না। যে কেউ চাইলে চলে আসতে পারছেন মেলায়।

এ বছর মেলায় মোট ৪০০ স্টলে গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উট, ঘোড়া ও নানান জাতের পাখিসহ কয়েক হাজার পোষা প্রাণী প্রদর্শন করা হচ্ছে।

তবে মেলার আকর্ষণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে সাদিক এগ্রোর স্টলের এক কোটি টাকা দামের গরু ‘রোজু’ কে দেখতে।

চলন বলনে নবাবী ভাব রোজুর। গায়ের রঙ সাদার উপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ। ছোট শিং। নাকে নথ। গলায় সোনার আদলে তৈরি চেইনের লকেট। একটা রাজকীয় ব্যাপার সবসময় লক্ষ্য করা যায় 'রোজুর' মধ্যে।

তাই দামটাও রাজকীয় বললেন সাদিক এগ্রোর পরিচালক যুবায়ের সোবহান। রোজুর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোজু কোনো সাধারণ গরু না। সুদূর আমেরিকা থেকে রোজুকে আনা হয়েছে। এর বয়স এখন দুই থেকে আড়াই বছর। গরুটি আর দশটা ঘরের গরুর মতোই সাধারণ খাবার খায়। হেলে দুলে হাটে। দেখতে সুন্দর তাই মূলত এক কোটি টাকা চাওয়া হচ্ছ। তবে দাম কেউ চাইলে বলতে পারবে বলেও জানায়।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

এছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেজে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।

;

দুই বাসের প্রতিযোগিতার মাঝে চাপা খেয়ে হাসপাতালে ট্র্যাফিক সদস্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বায়িত্ব পালনের সময় তুরাগ পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতার মাঝখানে চাপা খেয়ে আহত হয়েছেন ট্র্যাফিক ওয়ারী বিভাগের কনস্টেবল মিথুন। এ ঘটনায় বাস দুটিকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে দায়িত্ব পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওয়ারী বিভাগের ডিসি আশরাফ ইমাম।

তিনি বলেন, দুটি তুরাগ বাসের মাঝখানে চাপা পড়ে কনস্টেবল মিথুনের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সিটি স্ক্যানের পর বোঝা যাবে আঘাত কতখানি।

বাস দুটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের দাফন সম্পন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝালকাঠি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠির গাবখান টোলে ট্রাক চাপায় নিহত একই প্রাইভেটকারে থাকা রাজাপুরের একই পরিবারের ছয়জনসহ ৮ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে চলছে শোকের মাতাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ সাউথপুর দাখিল মাদরাসা চত্বরে জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজায় হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন।

পরে নিহত প্রিন্স, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ৪ জনকে নিজ বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা উত্তর সাউতপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। অপর দুইজনকে তাদের নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়েছে।

এছাড়া বাকি ৮ জনের দাফন তাদের নিজ নিজ বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ জনের মৃত্যুতে তাদের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কবর খননকারীরা জানান, স্বাধীনের পরে এই প্রথম এই এলাকায় একসঙ্গে একই পরিবারের চারটি কবর খননকাজ করলাম।

নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, গাবখান সেতু টোল প্লাজার টোল ঘরটি দূরে সরিয়ে নেওয়া হোক অথবা টোল ঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হোক এবং এ দুর্ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় টোলের টাকা পরিশোধ করছিল একটি প্রাইভেটকার। ঠিক সেই সময়ে ঝালকাঠি শহরমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কারসহ অন্য তিনটি ইজিবাইক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মুহূর্তেই ঝরে যায় নারী শিশুসহ ১৪ জনের তাজা প্রাণ। সেই প্র্রাইভেটকারের চালকসহ ৭ জন আরোহী নিহত হয়।

নিহতরা হলেন- রাজাপুর উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের হাসিবুর রহমান (৩৩), তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার সোনিয়া (২৮), তাদের মেয়ে তাকিয়া আক্তার (৩), তাহমিদ রহমান (০১), সোনিয়ার সদ্য বিবাহিতা বোন উপজেলার সাংগর এলাকার নিপা আক্তার (২২) ও তার স্বামী বিমান বাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন (২৩) ও প্রাইভেট চালক উত্তর উত্তমপুর গ্রামের ইব্রাহিম (৩৫)।

 

;