খুলনায় নদী দখল করে ইটভাটা, হুমকিতে পরিবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ইটভাটা নির্মাণে হুমকিতে সেতু-পরিবেশ

ইটভাটা নির্মাণে হুমকিতে সেতু-পরিবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হরি ও ভদ্রা নদীর ৪ কিলোমিটার এলাকায় জমি ইজারা নিয়ে গড়ে উঠেছে ১৮টি ইটভাটা। ইটভাটার মালিকরা নদী তীরবর্তী জায়গা ইজারা নিলেও ধীরে ধীরে নদী দখল করে ভাটা নির্মাণ করছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। জোয়ার-ভাটায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে নদীর উপর নির্মিত সেতু।  একই সাথে নদীর পূর্ব পাড়ের খর্ণিয়াবাজার, ভদ্রদিয়া ও রানাই গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশ বাড়ি ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে। সেই সাথে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।

সরেজমিনে  ঘুরে দেখা গেছে, এই ভাটাগুলো নদীর পশ্চিম পাশে উত্তর-দক্ষিণে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে নদীর ভেতরে অর্ধেক জায়গা (২০-২৫ ফুট) দখল করে ফেলেছে।  এ কারণে নদীর গতি পরিবর্তন করে পূর্ব দিকে চলে আসছে। এতে ভাঙনের মুখে পড়েছে পূর্ব পাশের ওই সব স্থাপনা।

এলাকাবাসী জানায়, নদীর পাড়ে ভূমিহীন কৃষকেরা সরকারের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়েছিলেন।  সেই জমির সাথে ব্যক্তিগত জমি নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে ভাটা মালিকেরা ১৮টি ভাটা গড়ে তুলেছেন।  ভাটাগুলোর মালিকেরা নদীতে বাঁধ দিয়ে ছোট ছোট পুকুর নির্মাণ করছেন। এসব পুকুরে জমা পলিমাটি দিয়ে তাঁরা ইট তৈরি করছেন।  এভাবে বাঁধ দেওয়ায় নদীর স্রোত কমে যাচ্ছে। পলি পড়ে নদীটি নাব্যতা হারাচ্ছে।  এ ভাটাগুলো অধিকাংশ বসত বাড়ির ১০ থেকে ১০০ গজের মধ্যে।  বসত বাড়ি কাছে হওয়ায় ভাটার ধোঁয়া-বালিতে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  তাছাড়া ভাটার ধূলা আর কালি ফসলি জমিতে পড়ায় ফসল উৎপাদনও কমে গেছে।  অতিরিক্ত ইট বহন করার কারণে খর্ণিয়া-শোলগাতিয়া পাকা সড়কটিও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/15/1550222849136.jpg

নদী দখলকারী এসব ভাটা গুলো হলো, হাফিজুর রহমানের এবি ব্রিকস, হুমায়ন কবিরের  কেবি-১ ব্রিকস ও কেবি-২ ব্রিকস, শাহজাহান জম্মাদারের নূরজাহান ব্রিকস, গাজী আবদুল হাদীর সেতু ব্রিকস, গাজী ফজলুর রহমানের সাতক্ষীরা ব্রিকস, নারায়ন চন্দ্র চন্দের কেএমপি ব্রিকস, হাফিজুর রহমানের এবি ব্রিকস, এফএমবি ব্রিকস, ইসমাইল হোসেনের আলমদিনা ব্রিকস, মশিউর রহমানের মেরি ব্রিকস, লতিফ জম্মাদারের জেবি-১ ও জেবি-২ ব্রিকস, আমিনুল হকের লুইন ব্রিকস, গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকস, ইকবাল জম্মাদারের স্টোন ব্রিকস, অসীম কুমার দের প্রাইম ব্রিকস ও তুষারের টিএম ব্রিকস। এর মধ্যে হাফিজুর রহমানের এবি ব্রিকস, এফএমবি ব্রিকস, মশিউর রহমানের মেরি ব্রিকস, অসীম কুমার দের প্রাইম ব্রিকস ভাটার বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।

আঙারদাহো গ্রামের এমদাত হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, ভাটাগুলো প্রতিনিয়ত নদী মেরে ফেলছে।  রাতের আঁধারে বস্তার মধ্যে ইটের ছোট-বড় টুকরো ভরে ভাটার সামনে নদীতে ফেলা হয়।  সেখানে পানি বাধা পেয়ে পলি জমছে তখন সেখানে বাঁধ দিয়ে দিচ্ছে।

রানাই গ্রামের আবু তালেব বলেন, ভাটার ধোঁয়া আর বালিতে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে।  ওভার লোডেট ইট-ট্রলি ইট বহনের কারণে খর্ণিয়া-শোলগাতিয়া রাস্তাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মেরি ব্রিকসসের মালিক মশিউর রহমান বলেন, আমি নদীতে বাঁধ দেয়নি।  ইটভাটার লাইসেন্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি।  দ্রুতই লাইসেন্স পেয়ে যাবো।

খর্ণিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও খুলনা-৫ আসনের সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, নদী দখল বন্ধ করা প্রশাসনের কাজ।  আমি ডিসি সাহেবকে জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও বলেছি। কিন্তু তারা পদক্ষেপ না নিলে আমার কিছু করার থাকে না।  অবৈধ ভাটা ও নদী দখলদার ভাটার ব্যাপারে ঠিক ওই ভাবে খোঁজ নেওয়া হয়নি।  এখন খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ জানান, সরকার বলছে নদী বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। আর ভাটা মালিকরা বলছে নদী মরণে আমরা বাঁচব।  নদী দখল হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লাভ বেশি। তারা খননের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করতে পারবে।  সেকারণে তারা কিছু বলে।  আর নদীটি ভরাট হলে নদীর পাশের বসবাসকারী ১০-১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ বছরের ৮ মাস পানির নিচে ডুবে থাকবে।

পাউবো ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা অনেক বার নদী দখল মুক্ত ও খননের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু ওই ভাটাগুলোর মালিকরা অধিকাংশই সরকার দলীয় ও প্রভাবশালী যে কারণে সকল উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। কারণ আমরা এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নই, এখানে চাকরি করতে এসেছি।

পাউবো খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম কে বলেন, নদীটি খননের জন্য ৫/৭ বছর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আজও তা হয়নি। সম্প্রতি ভাটাগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছি। সেটা ঢাকা অফিসসহ সকল স্থানে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। তারপর নদী দখলের কার্যক্রম শুরু হবে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, যারা নদী দখল করছে বা অবৈধ ভাবে ভাটা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধে রাস্তায় নামলেন হাজারো মুসল্লি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। আবার রাজনীতির নামে কিশোর-তরুণদের দলে ভিড়িয়ে গড়া হচ্ছে কিশোর গ্যাং। সেই গ্যাংয়ের হাতে কিছুদিন আগেই মারা গেছেন এক চিকিৎসক। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যেও নিয়মিত মারামারির ঘটনাও ঘটছে। দিনের পর দিন এসব চলে আসলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিলেন না এলাকাবাসী। এবার তাই তারা রাস্তায় নেমে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত থামানোর দাবি জানালেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের আবদুর পাড়া আদর্শ সমাজ ও শাপলা শাপলা আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির ডাকে এ-ব্লক বাস স্ট্যান্ড মোড়ের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। এতে আশেপাশের কয়েকটি মসজিদের হাজারো মুসল্লি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে মাদক সন্ত্রাস বন্ধ ও এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে একটি গণমিছিল নিয়ে এলাকার বিভিন্ন অলি-গলি প্রদক্ষিণ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি থেকে শুরু করে মাদক সেবন চলছে এলাকায়। তার সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকাটিতে চিহ্নিত কয়েকটি পরিবারের নারী, পুরুষ, যুবক যুবতি প্রকাশ্যেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও কেউ তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয় আবদুরপাড়া সমাজের মুরুব্বি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম হোসেন সওদাগর বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আমাদের আবদুর পাড়া এলাকায় দুপুর ২টার সময় আনা খাতুন নামের এক মধ্যবয়সী নারীকে মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী। বিষয়টি পাহাড়তলী থানাকে অবহিত করা হলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ঐ মহিলাকে মাদকসহ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এলাকাটিতে মাদক বিক্রেতা এবং কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ জনগণ। অসংখ্যবার জানানোর পরেও যারা এটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে তাদের সহযোগিতা পাচ্ছি না। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে তাই রাস্তায় নেমেছে আজকে।

আবদুর পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রতি শুক্রবার মসজিদের খুৎবায়, এলাকার মিটিং সিটিং এ আমরা মাদক সন্ত্রাস, অসামাজিক কার্যকলাপ এবং সবচাইতে বেশি যেটা আমাদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে সেটা হচ্ছে কিশোর গ্যাং। তাদের অত্যাচারে এবং এসব অপকর্মে আমরা অতিষ্ঠ। আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে চলতে পারছে না। উঠতি কিশোর-তরুণদের বাধ্য করে কিশোর গ্যাংয়ে যুক্ত হতে। রাজনৈতিক সংগঠনের নামেও এখানে কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিবাদও করেও কিছু হচ্ছে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা মাদকাসক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই এলাকাবাসী আজ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে। সন্ধ্যায় পাহাড়তলী থানার কর্মকর্তারা আমাদের সমাজের সঙ্গে বসবেন। উনাদেরও আমরা আমাদের এলাকার বিষয়গুলো বলব।

মানববন্ধনে সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, আব্দুরপাড়া ও শাপলা এলাকায় যেভাবে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা বাড়ছে এবং যে হারে মাদক ব্যবসা, সেবন ও পতিতা ব্যবসা বেড়েছে-এতে উঠতি শিশু-কিশোর ও যুব-তরুণরা বেশ ঝুঁকিতে আছে। কিছুদিন আগে আকবরশাহ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এক চিকিৎসককে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা চাই না এই ধরণের ঘটনা আর ঘটুক। যারাই এসবের সঙ্গে জড়িত, তারা যত বড় প্রভাবশালীই হোক এদের আইনের আওতায় আনা ও যেভাবেই সম্ভব তাদের অপরাধকাণ্ড থেকে সরিয়ে আনতে প্রশাসনকেই মূখ্য ভূমিকা রাখতে হবে।

দক্ষিণ কাট্টলীর স্পৃহা ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মো. জমির আলম বলেন, এখানকার যুব সমাজ প্রতিবাদ করে আসছে। কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করছে না বলে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। সবাই যদি সম্মিলিতভাবে এই প্রতিবাদের মনোভাব সব সময় রাখেন তাহলে অচিরেই মাদক সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে।

মানববন্ধনে শাপলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও যুব সমাজ প্রতিনিধি মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সমাজের সবাই একতাবদ্ধ থাকলে এসব অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা মুরুব্বিদের এবং এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের যদি নিরপেক্ষভাবে আমাদের পাশে পাই, তাহলে আমরাই এসব বন্ধ করতে পারব।

স্থানীয় মসজিদের মুসল্লি সরোয়ার জাহান মুকুল বলেন, আমরা পুলিশকে তথ্য দেই। কিন্তু অপরাধীরা তথ্যদাতার তথ্য জেনে যায়। এতে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে আমাদের হুমকি-ধমকি দেয়। কয়েকদিন আগে বাইরে থেকে কিশোরদের এনে আমাদের এলাকার এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে গেছে। এভাবেতো চলতে পারে না। ৯৯৯ নম্বরে কল করলেও অপরাধীরা কলদাতার তথ্য পেয়ে যায়। উদাহরণ আকবরশাহ এলাকাটি। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার কারণে সন্তান ও পিতার ওপর হামলা হয়েছে। পিতা মারা গেছেন। অথচ চিহ্নিতরা, অভিযুক্তরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। আমি আজকের এই মানববন্ধনের কথা শুনে নিজ থেকেই এসেছি প্রতিবাদ করতে। সবাইকে এভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

;

অস্ত্রের মুখে স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার গাবতলীতে স্বামীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ত্রীকে (২১) গণধর্ষণ করা হয়েছে। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে গোলাবাড়ী-তরনীহাট সড়কের পোড়াদহ এলাকায় এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসময় স্বামীর ইজিবাইকে করে ওই নারী বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এই ঘটনায় গাবতলী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

গ্রেফতার ৫ জন হলেন- গাবতলী উপজেলার মহিষাবান মধ্যপাড়ার রাব্বি, আব্দুল অহেদ, হৃদয়, কাউছার ও মহিষাবান চকমড়িয়া গ্রামের নুর আলম ওরফে নিশাদ। তাদের বয়স ২১ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে বলে পুলিশ জানায়।

মামলা ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী গাবতলী উপজেলার মহিষাবান দহপাড়ার বাসিন্দা হলেও তার পুরো পরিবার বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় বসবাস করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজিবাইক চালক স্বামীর সাথে ওই নারী সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রেম যমুনার ঘাটে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা নাগাদ সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তারা গোলাবাড়ী-তরনীহাট সড়কের পোড়াদহ এলাকায় পৌঁছালে তাদের ইজিবাইকের গতিরোধ করে একদল যুবক। এরপর ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে পার্শ্ববর্তী ইছামিত নদী সংলগ্ন সিঙ্গারবিল নামক স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা ইজিবাইকের মধ্যে স্বামীকে আটকিয়ে রেখে ওই নারীর মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের সেখানে ফেলে রেখে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি তারা স্বজনদের জানালে ওই এলাকার কিছু লোক গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

গাবতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস শুকুর জানান, বিষয়টি থানা পুলিশ অবহিত হওয়ার পরপরই সেখানে অভিযান শুরু করে। অভিযানে ওই ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়। শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) এই ঘটনায় মামলা দায়ের হলে আটক ৫ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

;

কুষ্টিয়ায় বিল দখল করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিল দখল নিতে গিয়ে শাহেদ ইসলাম (২২) নামে জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহেদ ইসলামকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহেদ ইসলাম কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থক ও শহরতলীর মোল্লা তেঘরিয়া এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের জলমহাল (বিল বোয়ালিয়াবিল) দখলকে কেন্দ্র করে বোয়ালিয়া এলাকার বিলের বৈধ দাবীকৃত রাজিব ও মতিনের লোকজনের সঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থকদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় সাহেদ নামে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী। এসময় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বোয়ালিয়া এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী রাজিব ও মতিন দীর্ঘদিন ধরে জলমহাল (বিল বোয়ালিয়াবিল) দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। আমরা একটি মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা পেয়েছি। তাই আজ সকালে আমরা সেখানে গিয়ে আনন্দ উল্লাস করছিলাম। এ সময় হঠাৎ করেই রাজিব ও মতিনের লোকজন আমাদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গোলাগুলি করলে শাহেদ ইসলাম নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে রয়েছি।

এ বিষয়ে রাজিব ও মতিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুতপা রায় বলেন, সাহেদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এখন তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি মারামারির খবর শুনে এলাকা পরিদর্শন করেছি। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা এটি আমার জানা নেই।

;

মসজিদের ফ্যানে ঝুলছিল খাদেমের মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় দীঘিরপাড় শাহী জামে মসজিদের ভেতরে আকবর আলী শাহ (৬০) নামে এক খাদেম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আকবর আলী শাহের বাড়ি দীঘিরপাড় গ্রামে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

পাগলা থানার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ খায়রুল বাশার ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আকবর আলী শাহ দীর্ঘদিন যাবত পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় শাহী জামে মসজিদে খাতেম হিসেবে কাজ করতেন। মসজিদে ভেতরে রাতযাপন করতেন তিনি। এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন আকবর আলী শাহ। সকালে এলাকাবাসী মসজিদের ভেতরে ফ্যানে আকবর আলী শাহ লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পাগলা থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন। দাম্পত্য জীবনে আকবর আলী শাহ ৫ সন্তানের জনক।

পাগলা থানার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ খায়রুল বাশার জানান, এখনও আত্মহত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;