উচ্ছেদের পর আবারও দখলে মিরপুরের ফুটপাত
সপ্তাহ না যেতেই রাজধানীর মিরপুর-১ এর গোল চত্বর ও শাহ আলী মাজার এলাকার অধিকাংশ আবারও অবৈধ দখলকারীদের কবলে চলে গেছে। এক সপ্তাহ আগে এই এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শতাধিক স্থাপনা এবং দখলদার মুক্ত করা হয় ফুটপাত। কিন্তু এখন স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় আবার সেই পুরনো চেহারায় ফিরে এসেছে মিরপুর-১ ও তার মাজার সংলগ্ন এলাকা।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর-১ ও তার আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে মিরপুর-১ ও তার আশেপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে অবৈধভাবেভাবে গড়ে উঠা শতাধিক দোকানপাট ও বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় ভ্রম্যমাণ আদালত। ফলে রাস্তার বড় একটি অংশ অবৈধ দখলদার মুক্ত হয়। এতে এলাকাবাসীসহ পথচারীরা আনন্দ প্রকাশ ও ডিএনসিসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
কিন্তু এখন পরিস্থিতি আবার আগের অবস্থায় চলে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তাদের অভিযোগ, ফুটপাত অবৈধভাবে দখলের পেছনে স্থানীয় সরকার দলীয় ও প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ মদদ আছে। যার ফলে অভিযান পরিচালনা করেও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা যাচ্ছে না।
মিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা একরামুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এমন অভিযান আগেও হয়েছিল কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু এই বার যখন এমপি সাহেব সাথে ছিলেন, তাই ভাবছিলাম কিছু হইলেও হবে, কিন্তু উচ্ছেদের পরের দিন থেকেই ফুটপাত আবারো দখলে চলে গেছে।’
একই কথা জানান আরেক বাসিন্দা ব্যাবসায়ী হাসান আলী। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এখন তো ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায় না, রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়, বাচ্চাদের নিয়ে টেনশনে থাকি, কখন কী হয়।’
শাহ আলী মাজার রোডের সামনে ফুটপাত দখল করা ব্যাবসায়ী মোঃ শফিক জানান, নিয়মিত চাঁদা দেন তিনি এই জায়গার জন্য, তবে যাকে চাঁদা দেন তাকে তিনি চেনেন না।
এই ব্যাপারে ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের সাথে কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমি অবগত নই, আমাদের দুটি গাড়ি নিয়মিত সেখানে টহল দিচ্ছে, আমি তদের সাথে কথা বলবো, যদি দখলের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তারা পদক্ষেপ নেবে।’
ফুটপাত দখলের বিষয়ে ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি বিষয়ক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা কিছু করেও তো ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে পারছি না, তারপরও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখন যদি প্রত্যেকটা কমিউনিটি সচেতন হয়, তাহলেই ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা যাবে।’