চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের দায় কাউকে নিতে হবে: হাইকোর্ট
রাজধানীর চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে দায়ের করা তিনটি রিটের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন।
শুনানির শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদালত বলেন, নিমতলীর ঘটনার পর অনেক সুপারিশ ছিল। সেগুলোর বাস্তবায়ন হলে আজ এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।
আদালত আরো বলেন, এই এলাকার বাড়ির মালিকরা তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গোডাউন বানান। নিজেরা থাকেন গুলশানে। আর এখানে গোডাউনের ব্যবসা করেন। এখানে কয়েকটি সংস্থা জড়িত। কেউ কোনো ব্যাবস্থা নেয় নাই। উই আর ভেরি কনসার্ন।
আদালত বলেন, রাস্তায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে পারে না। ভূমিকম্প হলে উদ্ধার করা যাবে না। ৭/৮ মাত্রায় ভূমিকম্প হলে কোনো বিল্ডিং থাকবে না, বিশেষ করে পুরান ঢাকায়।
আদালত বলেন, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না, এটা অবহেলা। এর দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবে। একজন দায়িত্বশীল আরেকজন দায়িত্বশীলকে দোষারোপ করছেন। এটা ঠিক না।
নিমতলীর ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশ সমূহ উল্লেখ করে আদালত বলেন, গভর্নমেন্টকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। নিমতলীর ঘটনার পর কিছুটা বাস্তবায়ন হলে এই ঘটনা ঘটতো না। এখনো বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ ঘটনা ঘটতে পারে।
পরে আদালত রিটগুলোর শুনানির জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।
এর আগে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত-আহত প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে এবং কয়েক দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক চারটি রিট ও একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।