প্রবাসীদের অর্জিত জ্ঞান দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রবাসীরাসহ আমরা যদি আমাদের সমস্ত জ্ঞান, বুদ্ধি যদি জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা করি তাহলে কিন্তু একটা দেশকে উন্নত করা কঠিন কিছু না। শুধু ব্যক্তি স্বার্থের কথা চিন্তা না করে জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করাটাই হচ্ছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ারদের প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রবাসীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রবাসীরা আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। এমনকি ছয়দফা আন্দোলনের সময় জাতির পিতার প্রতি যে মিথ্যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিবাদ করা থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে প্রবাসীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি পঁচাত্তরের পরেও যখন আমরা বিদেশে রিফিউজি হিসেবে আশ্রিত ছিলাম তখন প্রতিবাদ কিন্তু লন্ডনপ্রবাসী ড. রাজ্জাক প্রথম সেখানে তিনি একটা কনভেশন করেন এবং জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদ করেন। শুধু তাই না প্রবাসীদের অর্জিত অর্থ আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যদি না ঘটত তাহলে কিন্তু অনেকেই দেশে থেকে যেতে পারতেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে শরিক হতে পারতেন। কিন্তু যে পরিবর্তনটা হয়েছিল সেটা দেশের কল্যাণে হয় নি। হয়ত একটা গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে তারা কোন কাজ করেনি। যদি করত তাহলে বাংলাদেশ বহু আগেই উন্নত হত। আর সেটা করেনি বলেই আমরা পিছিয়ে ছিলাম।

প্রবাসীদের বাংলাদেশের উন্নয়নে শরিক হওয়ার আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা সবসময় বলা হয় ‘ব্রেন ড্রেইন’। আমি কিন্তু কখনো এই কথাটা মনে করিনা। কাজেই আমি কখনো ব্রেন ড্রেইন বলিনি। আমি বরং বলেছি বিদেশে গেলে জ্ঞান অর্জন হয়। কারণ আমরা যদি বিশ্বে না যাই, না দেখি তাহলে আমরা জানব কী করে বিশ্বের কোথায় কীভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। প্রবাসে যারা শিক্ষা গ্রহণ করতে যান, অনেকে বিদেশেই থেকে যান, অনাবাসী হয়ে যান। কিন্তু সেখানেও একটা সম্ভবনা থাকে-যে অভিজ্ঞতটা আপনারা সঞ্চয় করেন সেটাও মূল্যবান। আপনারা সে জ্ঞান অর্জন করে আজকে বাংলাদেশের উন্নয়নের শরিক হতে চান, দেশের কাজে লাগাতে চান। আমি সে জন্য আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে আপনারা এই উদ্যোগটা নিয়েছেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আগে যেসব সরকারি খাত ছিল তার সবগুলোকে আমি বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এর উদ্দেশ্য ছিল দুটো। একটা হচ্ছে দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি হবে। আমার দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিপাবে। শুধু সরকার পারবে না সরকারি প্রতিষ্ঠান করে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে আমার দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আসবে। কাজেই দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে অর্থনৈতিক নীতিমালা আমরা প্রণয়ন করেছি তাতে বেসরকারি খাতটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

সম্মেলনে ৩০ টি দেশ থেকে আগত প্রবাসী ইঞ্জিনিয়াররা অংশ নিয়েছেন।

   

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

  • Font increase
  • Font Decrease

পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কর্মবিরতি এক মাসের জন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বহুদিনের দাবি ছিল বেতন বৃদ্ধির। এই দাবির সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই আমি সম্মতি দিয়েছি। আমি তাদের কথা শুনেছি, কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি কাজ করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন, তাদের কাজে যোগ দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঈদের পরেই আমরা বলতে পারব কবে তাদের বেতন বাড়বে।

;

আবর্জনা নয়, মশার স্তূপ!



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
হালিশহরের একটি মসজিদে স্পে দেওয়ার পর মারা যাওয়া মশা

হালিশহরের একটি মসজিদে স্পে দেওয়ার পর মারা যাওয়া মশা

  • Font increase
  • Font Decrease

জুতার বাক্সভর্তি কালো সদৃশ্য জিনিস। ছবি ও ভিডিওতে দূর থেকে প্রথমে দেখে কেউ কেউ ভেবেছেন ময়লা-আবর্জনা। কেউবা আবার মনে করেছেন চা পাতা। তবে আরও কাছাকাছি থেকে দেখতেই ভাঙে সবার ভুল। আসলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে মশা। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের এ ব্লক জামে মসজিদে দরজা জানালা বন্ধ করে স্প্রে করার পর মারা যায় এসব মশা। পরে সেগুলো একজায়গায় জড়ো করে ছবি ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেন মো মুছা নবী নামের এক ব্যক্তি। মুহূর্তেই সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

সেই ভিডিও এবং ছবি দেখে নগরীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে থাকেন। সবাই বলতে থাকেন, মশার যন্ত্রণায় বাইরে কোথাও এক মিনিট শান্তিতে দাঁড়ানো কিংবা বসা যায় না। ঘরেও দিনরাত মশারির নিচে থাকতে হয়। এখন প্রায় সব বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসের সব মশা মারলেও এমন স্তূপ পাওয়া যাবে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। কিন্তু মশা নিধনের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) যেন কোনো হুশ নেই। দিনে দিনে মশার যন্ত্রণা বেড়ে চললেও দৃশ্যমান তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে এই সংস্থার। সেজন্য মশার সেই ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে অনেকে মেয়র মো. রেজাউল করিমের সমালোচনা করেন। কেউবা বলছেন, মশাগুলো প্যাকেটভর্তি করে সিটি করপোরেশনে পাঠানো হোক, তাতেই হয়তো সম্বিত ফিরবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের।

চট্টগ্রামে গত এক বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১০ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে গড়ে পাঁচজনের একজন শিশু। সবমিলিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ সহস্রাধিক মানুষ। ডেঙ্গুতে এত মৃত্যু ও আক্রান্ত নিকট অতীতে আর দেখেনি চট্টগ্রাম। ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়লে মশা তাড়াতে চসিকের কিছু তোড়জোড় দেখা যায় বটে, কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই আবার ‘ঘুম’। সর্বশেষ গত বছরের ২ অক্টোবর ডেঙ্গু মশার উৎসস্থল ধ্বংসে অভিযান চালিয়েছিল সংস্থাটি। এরপর প্রায় সাত মাস কেটে গেলেও নেই কোনো কার্যক্রম। আর সিটি করপোরেশনের এমন নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে বেড়ে গেছে মশার উপদ্রব। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন শুধু মশার প্রাদুর্ভাব হলেই তৎপরতা চালিয়ে মশা নিধন করা সম্ভব নয়, এ জন্য দরকার বছরজুড়ে মশক নিধন কার্যক্রম।

তোপের মুখে মেয়র:

রমজানে গরিবদের সঙ্গে ইফতার গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নকাজের চিত্র নিজের ফেসবুক পেজে তুলে ধরছেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। কিন্তু মেয়রের এসব ‘ভালো’ কাজও প্রচার পাচ্ছে কম, উল্টো সেসব ছবির নিচে বেশিরভাগই মন্তব্য করছেন মশার যন্ত্রণা নিয়ে। সবারই যেন একটাই চাওয়া, মশা থেকে মুক্তি। সেজন্য কেউ কেউ লিখেছেন, ‘মেয়র মহোদয় উন্নয়ন করতে করতে মশা মারার কথা ভুলে গেলে গেলে চলবে না, নগরবাসীকে বাঁচান। মশা থেকে উদ্ধার করেন।’ কেউবা আবার বলছেন, ‘চীনের দুঃখ হোয়াংহো, চট্টলার দুঃখ মশা।’ কেউ কেউ মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিটি করপোরেশনকে চিঠিও দিচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। এখন কোথাও কোথাও ঘরে ঘরে জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। জ্বর হলেই মানুষদের মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক কাজ করছে।

বাইরে কোথাও দাঁড়ালে এভাবে ঘিরে ধরছে মশার দল 

এদিকে মেয়রের বিভিন্ন পোস্টের নিচে নগরবাসীর ক্রমাগত মশা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের পর যেন কিছুটা সতর্ক হয়েছে সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১টা ২৯ মিনিটে মেয়রের পেজে ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ভবন ও নালায় মশক নির্ধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মানুষ এমন কার্যক্রমের প্রশংসা করলেও ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেছেন, শুধু দেখানোর জন্য নয়, শহরের অলি-গলিতে এমন দৃশ্যমান কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালাতে হবে। তাহলেই মানুষ মশার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবে।

তবে মশার লার্ভা মারার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মশক ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অ্যাডাল্টিসাইডের কিছুটা সংকট আছে। অবশ্য ২০ হাজার লিটার অ্যাডাল্টিসাইড কেনার প্রক্রিয়া চলছে।’

কেন মশক নিধন কার্যক্রমে গতি নেই:

গত বছর ডেঙ্গুতে বড় ধাক্কার পরও এবার মশক নিধন কার্যক্রমে তেমন একটা গতি দেখা যাচ্ছে না। এই সুযোগে মশার প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। কিন্তু কেন গতি কমে আমছে মশক নিধন কার্যক্রমে সেটি খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, মশক নিধন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের ব্যস্ত রাখা হয়েছে অন্য কাজে। এর ফলে মশক নিধন কার্যক্রম বলতে গেলে থেমেই আছে।

সিটি করপোরেশনের মশা মারার কাজ কী কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে, তার বিস্তারিত তুলে ধরে ১১ মার্চ অফিস আদেশ দিয়েছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ। প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর সই করা ওই আদেশে বলা হয়, মশার লার্ভা মারার ওষুধ ছিটানো এবং মশা মারার ধোঁয়ার ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত সেবকদের মূল কাজ থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। তাদের দিয়ে আবর্জনাবাহী গাড়ি, নালা পরিষ্কার এবং ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। এতে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কাজ মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে।

তবে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলী বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘জনবল মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত জনবল ছিল না। সেজন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে নালা-নর্দমা পরিষ্কার ও বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে যুক্ত সেবকদের মশা মারার কাজে নিয়োজিত করা হয়েছিল।’

নগরবাসী অবশ্য আর কোনো ‘অজুহাত’ শুনতে রাজি নন। তাদের এখন একটাই চাওয়া-‘মশা থেকে আমাদের বাঁচান।’

 

;

নিজের হাতে থাকা বোমা বিস্ফোরণে ছিন্নবিচ্ছিন্ন যুবকের দেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, শরীয়তপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নিজের হাতে থাকা বোমা বিস্ফোরণের এক যুবকের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। আহত সজিব মুন্সী (২৫) বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়া চান মুন্সী কান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বিলাসপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কবির আলম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান আ. কুদ্দুস ব্যাপারী গ্রুপ এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আ. জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে এর আগেও দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়ে জাজিরা থানায় সর্বমোট ১০টি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মিয়া চান মুন্সী কান্দি গ্রামের দুই চাচাত ভাই জমি নিয়ে মারামারি করে। বিকেলে ওই ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লুটপাট করা হয়।

এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়। খবর পেয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশের কয়েকটি টিম পাহাড়ায় থাকলেও বুধবার সন্ধ্যায় আবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় ককটেল বহন করা বালতি নিয়ে যাওয়ার সময় কাঁদায় পিছিলে যায় তখন বালতিসহ ককটেল গুলোর বিস্ফোরণ ঘটে সজিব মুন্সী নামে একজন গুরুতর আহত হন।

জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, "আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বোমা বিস্ফারণ হয়ে সজিব নামে এক যুবক আহত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

;

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ সভাপতিত্ব করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কেবিনেট কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান, মো. জাহিদ মালেক, ফজিলাতুন নেসা, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নূর মোহাম্মদ, এস. এ. কে একরামুজ্জামান, মো. রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে আলোচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত নিরীক্ষা, নিরীক্ষার ধরণ ও প্রতিবেদন, অনালোচিত আর্থিক হিসাব, উপযোজন হিসাব, ফাইন্যান্সিয়াল অডিট রিপোর্ট, কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্টের বিষয়ে অবহিতকরণ, আলোচিত পারফরম্যান্স অডিট রিপোর্টের বিষয়ে অবহিতকরণ এবং অডিট অধিদপ্তরগুলোর কার্য-পরিধি ও কার্য পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

বাংলাদেশের মহা-হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং সিএজি কার্যালয়ের কার্যপরিধি, হিসাব মহা-নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সম্পর্কে অবহিতকরণ, সরকারী আর্থিক ব্যবস্থাপনা, সরকারী ব্যয় ও আর্থিক জবাবদিহিতায় সরকারী হিসাব কমিটির ভূমিকা এবং তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিতকরণ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অডিট অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে সারসংক্ষেপ করা হয় এবং কমিটির সদস্যরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে সিএজি কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর, পূর্ত অডিট অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অডিট অধিদপ্তর, সিভিল অডিট অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা অডিট অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অডিট অধিদপ্তর, সিজিডিএফ কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;