গ্রীন বুক: বৈষম্যকে জয় করা ভালবাসার গল্প



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
অস্কর জয়ী সিনেমা গ্রীন বুকের কলাকুশলীরা

অস্কর জয়ী সিনেমা গ্রীন বুকের কলাকুশলীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যরাতের বৃষ্টিতে গাড়ি থামালো শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। আফ্রিকান আমেরিকান ক্লাসিক্যাল এবং জাজ পিয়ানো বাদক ডন শার্লি পেছনে বসে আছেন। গাড়ির চালকের আসনে ইতালিয়ান আমেরিকান শ্বেতাঙ্গ চালক টনি ভাল্লেলঙ্গা। এজন শ্বেতাঙ্গ, কালো মানুষের গাড়ি চালাচ্ছেন, এটা ১৯৬০ এর দশকে যেন কল্পনা করা যেতো না। অবজ্ঞা আর বৈষম্যের সুরে ‘শার্লি’কে কালো বলে গাল দিলেন পুলিশ অফিসার। মাথা যেন ঠিক রাখতে পারলেন না টনি। বিশাল বাহু ঘুরিয়ে ঘুসি বসিয়ে দিলেন পুলিশের মুখে।

ফলাফল যা হওয়ার তাই হলো। লকআপে নিয়ে যাওয়া হলো তাদের। রাত প্রায় গড়িয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার আরেকটি প্রদেশে পরের দিন পিয়ানো বাজানোর কথা শার্লির। জেল খানায় বসে মুক্তির উপায় খুঁজছেন দুইজনই। বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন টনি। তবে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চাইলেন শার্লি। ফোনে নিজের সমস্যার কথা জানালেন তিনি।

কিছুক্ষণের মধ্যে যেটা ঘটলো তার জন্যে মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না স্টেশনের পুলিশ অফিসাররা। আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি’র ফোন। পুলিশ অফিসাররা না জানলেও ঠিকই জন এফ কেনেডি জানতেন আমেরিকার সবচেয়ে মেধাবী এই পিয়ানো বাদককে। ছাড়া পেয়ে টনির আরো মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। শার্লিকে বললেন, ‘তুমি এতোক্ষণ কেন বললে না যে জন.এফ. কেনেডি তোমাকে চেনেন!’

১৯৬২ সালে আমেরিকার সমাজের সাদা-কালোর বিভেদ আর সেখানে জমে ওঠা ভালবাসার গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি করেছেন পিটার ফ্যারিলি। গেলো জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ব্যাংককের এসএফ সিনেমা হলে দেখা হয়েছিল গ্রীন বুক। সবমিলিয়ে হলে আমরা দর্শক ছিলাম ৫ জন। ব্যাংককের যান্ত্রিক জীবনে ছুটির দিনগুলো ছাড়া হলে দর্শক হয় এমনই বললেন, আমার বন্ধু থাই পিবিএস এর সাংবাদিক কানালাউই ওয়াক্লেহং।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/26/1551187975218.jpg

গত রোববার রাতে ৯১তম একাডেমী অ্যাওয়ার্ডে সেরা ছবি পুরস্কার জিতে নিয়েছে গ্রীন বুক। এবারের অস্কারে আলোচিত ছবি, ‘রোমা’, ‘এ স্টার ইজ বর্ন এবং ‘বোহেইমিয়ান রাপসোডি’র সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই সেরা ছবির অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে, ‘বুক।’

নিউইয়র্কে ক্লাব যখন বন্ধ হয়ে যায়, টনির বাউন্সারের চাকরিও ছুটে যায়। কিছু আয়ের জন্যে সবসময় মুখিয়ে থাকলেও নিজের আত্মসন্মান বিসর্জন দেয়না টনি। তাই শার্লির প্রাসাদসম অভিজাত বাড়িতে যেয়েও নিচে বসতে রাজি হননি তিনি।

অন্যদিকে সাদা-কালো জাতিগত বিভেদে পড়ে নিজের অস্তিত্বে টানপোড়নে যাপিত হন শার্লি। শ্বেতাঙ্গদের  অনুষ্ঠানে যেমন তাকে বাথরুম করতে নিজের হোটেলে ফিরতে হতো, তেমনি আবার তার খাবারও বাইরে দেয়া হতো। আবার কৃষ্ণাঙ্গ সমাজেও তাকে দেখে সকলেই এড়িয়ে যেতো, কেননা তিনি শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে থাকতেন।

শার্লি নিজের বাসার কাজের লোক থেকে শুরু করে গাড়ির চালক এবং ব্যক্তিগত সহকারী সবখানেই শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি সব সময় বুঝিয়ে দিতেন যে তিনি মানুষ  এবং শ্বেতাঙ্গদের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গের কোন পার্থক্য নেই। চালচলনে খুব অভিজাত্যের ছোঁয়া শার্লির। গাড়ির পেছনের সিটে বসলে শ্বেতাঙ্গ সহকারী পায়ের ওপর সাদা টাওয়েল বিছিয়ে দিতেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/26/1551188013661.jpg

চালচলনে শার্লি এবং টনি দুজন মুদ্রার বিপরীত পার্শ্ব। টনি যেমন ফ্রাইড চিকেন খেতে পছন্দ করেন, অন্যদিকে শার্লি কখনোই মাংস ছুয়ে দেখেননি। টনি যেমন মুখে যা আসে তাই বলেন, তেমনি পরিকল্পনা ছাড়া একটি পদক্ষেপও দেন না শার্লি, কথা বলেন শুদ্ধ আর চমৎকার ভাষায়। আর কয়েক মাস জুড়ে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে তার পিয়ানো বাজানোর সময়সূচীর পরিকল্পনাটাই হচ্ছে  গ্রীন বুক।

দীর্ঘ ভ্রমণে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে থাকে। শার্লি যেমন ফ্রাইড চিকেনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তেমনি স্ত্রী লিন্ডা কার্দেলিনির কাছে চিঠি লেখার জন্যে সুন্দর সব কাব্যিক ভাষা ব্যবহার শুরু করেন টনি।

অস্কারে তিনটি ক্যাটাগরিতে নমিনেশনের মধ্যে তিনটিতেই পুরস্কৃত হয়েছে গ্রীন বুক। ড. ডন শার্লির চরিত্রে অভিনেতা মাহেরশালা আলী সেরা সহকারী অভিনেতার পুরস্কার গ্রহণ করেন। ফেরেলি, নিক ভাল্লেলঙ্গা এবং ব্রায়ান কারি  স্ক্রিন প্লে’র জন্য পুরস্কৃত হন।

নিউইয়র্ক টাইমসের রিভিউতে বলা হয়েছে, দুটি পুরুষের মধ্যে পথ চলতে চলতে একটি ভালবাসার গল্পের জন্ম হওয়া সত্যিই বিরল ঘটনা। যেখানে শার্লির কাছ থেকে টনি শিখতে পারে, কত সুন্দর করে স্ত্রীকে চিঠি লিখতে হয়। ধীরে ধীরে একজনের প্রতি আরেকজনের সন্মান তৈরী হয়। একজন আরেকজনকে ভালবাসতে শুরু করেন, কাজকে ভালবাসতে শুরু করেন।

এখন পর্যন্ত ১৪৪ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে ছবিটি। বৈষম্যকে দূর করতে ভালবাসার শক্তি যে কতটা কার্যকর সেটা দেখানো হয়েছে গ্রীন বুকে। সিনেমা হল থেকে বের হওয়ার পরেও কাহিনীগুলো ঘুরতে থাকে মাথার ভেতর।

   

রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবসকে সামনে রেখে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে নিহতদের পরিবার, আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনের শহীদ বেদিতে এ মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিক নেতারা নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্থায়ী স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন এবং এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড ট্রেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু প্রমুখ।

 

;

আদাবরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবরের একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার ৪৩/বি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- নাসিমা আক্তার (২৮)।

স্থানীয়রা জানান, নিহত নাসিমা আক্তার পেশায় একজন গৃহকর্মী। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং তার স্বামী পেশায় একজন রিকশা চালক। নিহত নাসিমার সাথে বিভিন্ন সময় তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার দুপুরে তার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

;

ফেনীতে তীব্র খরতাপে দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম পড়ছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফেনীতে তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের তুলনায় সবেচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের চালক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শহরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা যেমন মুশকিল হয়ে উঠেছে অন্যদিকে কমেছে আয়। রাস্তাঘাতে অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের আনাগোনা নেই।

বশির মিয়া নোয়াখালী থেকে ফেনীতে এসে দীর্ঘদিন মুচি পেশায় নিয়োজিত। শহরের রাজাঝির দিঘির পাড়ে রোদের মধ্যে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা তার। তিনি বলেন, গরমের মধ্যে রোদে বসে কাজ করা খুবই মুশকিল। এরমধ্যে গরমে মানুষের আনাগোনাও কম, ফলে আগের চাইতে আয় নেই বললেই চলে।

শহরের ট্রাংক রোড শহীদ মিনারের সামনে ফুটপাতে ব্যবসা করেন আব্দুল আজিজ। তীব্র গরমে বেচাবিক্রি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গামছা, মাস্ক, টুপি এসব বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। গরমে নিজেই অস্বস্তিতে থাকি আর বেচাবিক্রির জন্য কাস্টমার নেই বললেই চলে। ফুটপাতের ব্যবসা যেহেতু মানুষের আনাগোনা প্রয়োজন, এখানে মানুষ আসলেও গরমে দাঁড়াতে চায় না। যার যার গন্তব্য চলে যায়।

শাহেদুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, মানুষজন একবারে দরকারি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না বিধায় রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। যার কারণে আগে যা আয় হতো তা কমে গেছে অনেক। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আরও নাজেহাল অবস্থা হবে বলে জানায় তিনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে শ্রমজীবীরা। এটি প্রতিরোধ করতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দিনের বেলা একটানা শারীরিক পরিশ্রম না করে বিরতি নিয়ে কাজ করতে। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, তীব্র গরমে দীর্ঘসময় কাজ করার কারণে মাত্রাতিরিক্ত ঘেমে মানুষের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এতে তাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথে পৌরসভার বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে মেয়র ও ৭ জন কাউন্সিলরের দ্বন্দ্বের পর মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে নারী কাউন্সিলরকে চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এমন অভিযোগ এনে মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে দুই কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাসনা বেগম।

মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ মীরেরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎস্যা দেন স্থানীয়রা।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া আরো ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এ ঘটনায়। অভিযুক্তরা হলেন- জানাইয়া গ্রামের আজেফর আলীর ছেলে জমির আলী (৪০), পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী (৪০), শরিষপুর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে আমির আলী (৪৫), দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী (৪০), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (৪৪), রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে ও মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া (৪৫) এবং জানাইয়া গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ (৪৮)। এ ঘটনায় আরো ৪/৫ অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে কাউন্সিলর রাসনা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে পৌরসভার দুই প্যানেল মেয়রসহ ৭ জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। এরই জের ধরে ৭ জন কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মেয়র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খারাপ মন্তব্য করে আসছেন।

মঙ্গলবার ঘটনার সময় মেয়র ও কাউন্সিলর বারাম আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এতে বাধা দিলে মেয়র তার মাথার চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ও মারধর করেন। এছাড়াও মেয়রের নির্দেশে গাড়ির চালক তার গাড়ি দিয়ে কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

;