ঠেলাঠেলি করে চলছে ৭ লাখ টাকার ভাড়া বাস!



হাসান আদিব,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
মাঝ পথে নষ্ট হওয়া বাস ঠেলছেন ছাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪

মাঝ পথে নষ্ট হওয়া বাস ঠেলছেন ছাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা। রাজশাহীর বানেশ্বর বাজারে হঠাৎ থেমে যায় দেশসেরা রাজশাহী কলেজের ছাত্রীদের বহনকারী একটি বাস। প্রায় ১০ মিনিট ধরে বাসটি ইঞ্জিন সচল করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন চালক।

একপর্যায়ে বাস থেকে নেমে পেছন দিক থেকে বাসটি ঠেলতে শুরু করেন ছাত্রীরা। যা দেখে আশেপাশের মানুষ হাস্যরসাত্মক মন্তব্য শুরু করেন। বিব্রত হলেও ছাত্রীরা কোনো দিকে খেয়াল না করে বাস ঠেলে সচল করার চেষ্টায় মগ্ন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/27/1551289255954.jpg

এগিয়ে গিয়ে ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করে জানা গেল, শুধু সেদিন নয়, তাদের নিত্যদিনের ঘটনা এটি। প্রায়ই বাস বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে রাস্তার মাঝে। যা ঠেলে স্টার্ট করতে হয় শিক্ষার্থীদের। কখনও তাতে কাজ হয়, আবার কখনও ভাড়া দিয়ে অন্য ব্যবস্থায় কলেজে বা বাড়িতে পৌঁছাতে হয়। অথচ এই বাসটি ভাড়াবাবদ কলেজ কর্তৃপক্ষ বাৎসরিক ৭ লাখ টাকা খরচ করে।

জান্নাতুল নাঈমা নামে বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী জানান, তিনি বানেশ্বর বাজার থেকে প্রতিদিন বাসে করে কলেজ ক্যাম্পাসে যাওয়া আসা করেন। তার সঙ্গে বানেশ্বর বাজার থেকে অন্তত আরও শতাধিক ছাত্রী কলেজ বাসের নিয়মিত যাত্রী। গাদাগাদি করে বাসে যাতায়াত করতে হয়। মাঝে-মধ্যেই ইঞ্জিন অকেজো হয়ে রাস্তার মাঝে বিকল হয়ে যায় বাস। তখন দ্রুত ক্লাসে বা পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

তার পাশে থাকা সুমাইয়া, রুম্পা, রিমি জানান, শুধু এ রুটে নয়, অন্য রুট গুলোতে যেসব বাস যায়, সেগুলোরও একই দশা। তাদের বন্ধুরাও এভাবে বাস ঠেলে সচল করার অভিজ্ঞতা তাদেরকে জানিয়েছেন।

তারা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দুর্ভোগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। এর আগে তারা কয়েকবার আন্দোলন করেছেন। অধ্যক্ষকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।

কলেজ বাসের একজন চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজে যে বাসগুলো চলাচল করছে, তা নিয়মিত সার্ভিসিং করানো হয় না। কলেজ কর্তৃপক্ষও নজর দেয় না, মালিকপক্ষও না। ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাসগুলো চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি কয়েকবার মালিকপক্ষকে জানালেও কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে প্রায়ই রাস্তার মাঝে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে বাস। কোনোমতে সার্ভিসিং করে ফের চালানো হয়।’

এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন ওই চালক।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পবা উপজেলার কাটাখালী এলাকায় রাজশাহী জুটস মিলের সামনে রাজশাহী কলেজ বাস দুর্ঘটনায় তিন ছাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও ১৭ জন শিক্ষার্থী।
এঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন বাসের দাবিতে আন্দোলনে নামে। তারা মানববন্ধন, স্বাক্ষর ও স্মারকলিপি দিয়ে নতুন বাস পরিবহণে যুক্ত করার দাবি জানায়। সেসময় কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে দ্রুত বাস দেওয়ার আশ্বাস দেয়। তবে সেই দাবি এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী কলেজে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এর মধ্যে কলেজ হোস্টেল ও আশেপাশে ছাত্রাবাসে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী বসবাস করেন। বাকি ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য কলেজের পরিবহণের ওপর নির্ভরশীল।

কলেজটির ১৫টি বাসের বাসের মধ্যে দুটি কলেজের নিজস্ব বাস। আর ১৩টি কলেজ কর্তৃপক্ষ ভাড়ায় চালায়। এই ১৩টি বাসের ভাড়া হিসেবে প্রতিটি বাসের জন্য বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকা দিতে হয়। অথচ বাসে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ভাড়ায় চালিত বাসগুলোতে ৫২টি করে আসন রয়েছে। সেখানে প্রত্যেকটি বাসে ৮০/৮৫ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে চলাফেরা করতে হয়। কলেজের ১৪টি বাস ৫টি রুটে চলাচল করে।
রুটগুলো হলো- তালাইমারী, কাজলা, বিনোদপুর, চৌদ্দপাই, হরিয়ান, বেলপুকুর ও বানেশ্বর। অন্যদিকে শালবাগান এলাকা হয়ে নওদাপাড়া ও কোর্ট কাশিয়াডাঙ্গা রুটে চলাচল করে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহা. হবিবুর রহমান বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগে আমাদের বাসের সমস্যা ছিল। এখন তো তেমন কোনো সমস্যা নেই। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য আমরা বাস বাড়িয়েছি।’

প্রায় পথিমধ্যে বাস বিকল হওয়ার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ১৫টি বাসের মধ্যে ১৩টি ভাড়ায় চালাই। কোনো সমস্যা থাকলে মালিকপক্ষ দেখবে। সার্ভিসিং করাবে। আমি মালিকপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত বাসগুলো সার্ভিসিং করাতে বলব।

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;