ক্ষুদে বিজ্ঞানী জাহিদ, ভাগ্য বিড়ম্বনায় রিকশাচালক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪
রিকশা চালক জাহিদ হাসান, ছবি: বার্তা২৪

রিকশা চালক জাহিদ হাসান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমবার (০৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। রাজশাহী নগরীর পিএন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। তার কথা বলার ভঙ্গি, ভাষাশৈলি, শব্দ চয়ন শুনে চায়ের দোকানে থাকা প্রায় সবাই আগ্রহের দৃষ্টিতে দেখছেন।

তবে পরনে কিছুটা অপরিচ্ছন্ন পোশাক। চা খেয়ে উঠে পাশেই রাখা রিকশায় চেপে বসলেন। একটু এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, পেশায় তিনি একজন রিকশা চালক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/04/1551715359490.jpg

নাম জাহিদ হাসান। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নে বসবাস করেন। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে। বড়মেয়ে বিবাহিত ও ছোট ছেলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে।

জাহিদ হাসান জানান, ১৯৮২ সালে বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। বিভিন্ন জটিলতায় আরপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। এরআগে ১৯৮০ সালে পুঠিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় তিনি তৃতীয় ক্ষুদে বিজ্ঞানীর স্থান অর্জন করেন।

সেখানে তার প্রজেক্ট ছিল ম্যাজিক লন্ঠন। এটার কাজ অনেকটা সিনেমা স্লাইডের মতো। নির্বাক স্থিরচিত্র দেখানোর মতো। টাকার স্বল্পতার কারণে সেই প্রজেক্ট পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়।

আক্ষেপের সুরে জাহিদ বলেন, ‘তখন বাবার টাকায় খেতাম। জীবনের মানে বুঝতাম না। চেষ্টা করলেই হয়তো একটা চাকরির ব্যবস্থা করতে পারতাম। কিন্তু আমি চাইতাম আমি চাকরি করব না, নিজেই কিছু করব।’

‘আস্তে আস্তে জীবনে বাস্তবতা খুব ভালো ভাবে বুঝতে শিখলাম। তবে যখন সেটা বুঝতে পারলাম তখন আর কিছু করার উপায় নাই’ বলেন তিনি।

জাহিদ হাসান আরও জানান, ১৯৮৩ সাল থেকে তার সংসার জীবন শুরু হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় জীবন সংগ্রামও। ১৯৮৪ সালে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন।

২০০০ সালের দিকে এ পেশা ছেড়ে দিয়ে চট্টগ্রামে যান। সেখানে অটোটেম্পু চালাতেন। এরপরে ২০১২ সালে আবার ফিরে যান ঢাকা শহরে। চার বছর অটোরিকশা চালান তিনি। এরপর আবার নিজ শহর রাজশাহীতে এসে রিকশা চালানো শুরু করেন।

জাহিদ হাসান বলেন, ‘খুব ক্লান্ত লাগে। রিকশা চালানো আর সম্ভব হয় না। শীতের সময় প্রায়ই ঠাণ্ডা-জ্বর নিয়ে কাজ করেছি। সামনে গরমের দিন আসছে। গরমে তো আরও বেশি কষ্ট হয়। মাঝে-মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।’

‘তারপরে পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে। তবে বর্তমানে অটোরিকশা আসার ফলে কিছুটা সুবিধা হয়েছে’ বলেন জাহিদ।

তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড খারাপ লাগে যখন কলেজ-ভার্সিটির ছেলেরা ভাড়ার জন্য বাজে ব্যবহার করে। আমি আশি সালে ম্যাট্রিক পাশ করেছি। অথচ ক্লাস নাইন-টেনে পড়া ছেলেরাও আজে-বাজে গালি দিয়ে কথা বলে। সারাটা জীবন অবহেলায় কেটে গেল বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন ভাগ্য বিড়ম্বনায় রিকশাচালক হয়ে ওঠা জাহিদ।

জাহিদের নিজেকে নিয়ে আর ভাবার অবকাশ নেই। এখন নিজের সন্তানদের নিয়ে তার স্বপ্ন। তবে তা নিয়েও শঙ্কার শেষ নেই। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের একটাই স্বপ্ন এখন। আমার ছেলেটা ভালো একটা চাকরি করবে। কিন্তু টাকার অভাবে ছেলেকে ভালোভাবে পড়াশুনা করাতে পারছি না। জানি না আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারব কি না!’

তিনি আরও বলেন, ‘শহরে এখন রিকশার সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। ফলে আগের চেয়ে ভাড়া কমে গেছে। পরের রিকশা ভাড়ায় চালাই। ওদিকে মালিকের জামানতের পরিমাণ বাড়তেই আছে। বেঁচে থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। নিজের একটা রিকশা থাকলে ভালোভাবে পরিবারের খরচ বহন করতে পারতাম। কিন্তু সেই সামর্থ্য নেই।’

জাহিদ হাসানের এ জীবনযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়নের কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে সত্যতা পাওয়া গেছে। সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাহিদ খুব মেধাবী ছিল। ও বয়সে আমার কয়েক বছরের ছোটো। তবে এলাকায় সেসময় খুব নাম-ডাক ছিল।’

তিনি বলেন, ‘সেই তার মেধা নিয়ে আমরা অনেকে হিংসা করতাম। ভাবতাম জাহিদ এতো ভালো করে, আমরা কেন পারিনা। কিন্তু পরে কীভাবে যে কী হলো, কোনোভাবেই ও (জাহিদ) আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। মাঝে-মধ্যে মোড়ের চায়ের দোকানে ওকে (জাহিদ) নিয়ে আমরা গল্পও করি।

   

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি, থানায় জিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এম. বেলাল উদ্দিন নামের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি একুশে পত্রিকা ও সময়ের আলো’র বাঁশখালী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

এতে দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- ছনুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাম্বলীপাড়া এলাকার ফরমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩২) ও মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে কামাল উদ্দিন (৩৮)।

থানায় করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হুমকিদাতা কামাল ও মিজান নকল স্বর্ণ ব্যবসায়ী আহমদ কবির ওরফে স্বর্ণ মানিকের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নকল স্বর্ণ ব্যবসা নামক প্রতারণা ও গরু ব্যবসার নামে প্রতারণা করে ধরাকে সরাজ্ঞান করে ফেলেছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গরু বিক্রির কথা বলে আগ্রাবাদের দিদারুল আলম নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে ছনুয়ায় এনে মারধর করে। পরে মিথ্যা ডাকাতির স্বীকারোক্তি নিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। বিষয়টি নিয়ে একুশে পত্রিকা ও দৈনিক সময়ের আলোতে ‘‘গরু বিক্রির নামে সর্বস্ব লুটে নেয় ওরা” ও একুশে পত্রিকায় “বাঁশখালীতে আতংকের নাম মানিক বাহিনী, নিঃস্ব বহু মানুষ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন।

এরই জের ধরে গত ২৭ মার্চ বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে ২নম্বর বিবাদী কামাল উদ্দিন (০১৯৩০৭২২২১৮) নম্বর থেকে কল দিয়ে হুমকি প্রদান করেন কামাল। এ সময় তার পাশে থাকা মিজানকে বেলালের মা-বাবার নাম ধরে বকতে শোনা যায়। কামাল উদ্দিন আমাকে মুঠোফোনে বলে, এলাকার ছেলে। সবার সাথে ভালো থাকার চেষ্টা করবি। তোর সাথে আজকেই দেখা করতে চাই। কামাল উদ্দিন ফোন করার ৫ মিনিট পর মিজানুর রহমান (০১৮১৮২৫৮৭২৮) নম্বর থেকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

একই দিন রাত আনুমানিক ১১টা ৩৩ মিনিটে কামাল ও মিজান সাংবাদিক বেলাল উদ্দিনের বাড়িতে যান। এসময় দু'জন বলে, আমাদের বিরুদ্ধে নিউজ করে দেশ কানা করতেছে। এলাকার ছেলে হিসেবে সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে বলবি। না হয় তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কামাল ও মিজানের বৈধ কোনো পেশা নেই। মূলত নকল স্বর্ণ ব্যবসা নামক প্রতারণা ও গরু বিক্রির নামে লোকজন এলাকায় এনে মারধর করে। পরে অস্ত্র ও ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ছবি তুলে মিথ্যা ডাকাতির স্বীকারোক্তি আদায় করে সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারে না। আমি এসব তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। একই সাথে আমার বাড়ি গিয়ে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক জিডি করেছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব।

;

ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শারমিন (৩০) ও নূর ইসলাম (৫৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার কালিপাল মধুপুর রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওমান প্রবাসীর স্ত্রী শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল ১১টায় ছাগলনাইয়ার বল্লবপুর রাস্তার মাথায় সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নূর ইসলাম (৫৫) নিহত হন।

দুর্ঘটনায় নিহত শারমিন কুমিল্লার লাঙ্গলকোট গোর্টশাল গ্রামের প্রবাসী বেলালের স্ত্রী। অপরজন নূর ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে লাঙ্গলকোট থেকে বারইয়ারহাট যাচ্ছিলেন বেলাল ও তার স্ত্রী শারমিন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কালিপাল, মধুপর এলাকায় এসে পৌঁছালে সড়কের পাশে শাখা রাস্তা থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন সকালে ছাগলইয়া উপজেলার বল্লবপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও টমটমের সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হন।

নিহত শারমিনের স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, আগামী মাসের ১৭ তারিখ আমার ওমান যাওয়ার ফ্লাইট। তাই কদিন বেড়ানোর জন্য আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বারইয়ারহাট বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। মহাসড়কের পাশের শাখা রাস্তা থেকে একটা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল এসে আমাদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত একজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে বল্লবপুর রাস্তার মাথায় একটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে ব্যাটারিচালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টমটমটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

;