ধর্ষণে বাধা দেয়ায় শাশুড়িকে হত্যা: ৩ জনের যাবজ্জীবন
যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের নববধূ পারভীন আক্তারকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় শাশুড়ি লিপি বেগম (৫০) কে হত্যার দায়ে ৩ আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের মনছুর আলির ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৬), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জাহিদ (২৬), শহীদ মোল্লার ছেলে মো: কুদ্দুস (২৬)। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো: জাহিদুল ইসলাম নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে যশোর জেলা সদরের ইছাপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি লিটনের নববধূ পারভীন আক্তারকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন আসামিরা। এসময় লিটনের মা লিপি বেগম তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ধারালা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লিপি বেগমকে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে লিটন বাদী হয় সাইদুল ও জাহিদের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ২জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং- ৮৬।
২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালী থানার এসআই মো.মাসুম বিল্লাহ আদালতে সাইদুল, জাহিদ ও কুদ্দুসকে অভিযুক্ত এবং সাইফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করন। পরে বাদী ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালত নারাজি দেয়। আদালত নারাজি গ্রহণ কর মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করেন। পরে সিআইডি পরিদর্শক মো: হারুন-অর-রশিদ আবারও সাইদুল, জাহিদ ও কুদ্দুসকে অভিযুক্ত এবং সাইফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত মামলার চার্জগঠনের সময় সাইফুল ইসলামকে সংযুক্ত করে চার্জগঠন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হয়ে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি এড. এনামুল হক ও এপিপি এড. শাকরিন সুলতানা।