ইলিয়াস কাঞ্চন একের পর এক অসত্য বলছেন: মন্ত্রণালয়
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তুল ও গুলি ধরা নিয়ে এবার নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করলো বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে নিজের অস্ত্র ও গুলি নিয়ে স্ক্যানিং মেশিন পারের ঘটনায় গণমাধ্যমে দেওয়া চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বক্তব্যকে অসত্য বলে অভিহিত করেছে বিমান মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো বিমান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘটনার বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সংবাদ মাধ্যমে অন্যায়ভাবে একের পর এক অসত্য কথা বলছেন। প্রকৃতপক্ষে ওইদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যা ঘটেছে তা হলো-
ইলিয়াস কাঞ্চনের ল্যাপটপের ব্যাগে থাকা পিস্তল ও গুলি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের এন্টি হাইজাকিং পয়েন্টে স্ক্যানিং করার সময় তা মেশিনে শনাক্ত হয়। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি তার ভুল স্বীকার করেন। তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তাকে বিমানবন্দরের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিস্তলটি বহন করার জন্য অনুরোধ করলে তিনি ওই স্থান থেকে ফেরত যান। পরবর্তীতে তিনি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিমানে চট্টগ্রামে গমন করেন।
অথচ এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেছেন যে, ‘ব্যাগে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তলটি বাসায় রেখে আসতে ভুলে যাই। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের প্রবেশ গেটে ব্যাগটি তল্লাশি করা হয়। নভোএয়ারের বোর্ডিং কাউন্টারে এসে ব্যাগে থাকা পিস্তলের কথা মনে পড়ে। স্ক্যানিং মেশিনে পিস্তল ধরা না পড়ায় আমি অবাক হই। এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। তাৎক্ষণিক শাহজালাল কর্তৃপক্ষ আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে।’
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘প্রথম স্ক্যানার পার হওয়ার পরে মনে পড়ায় আমিই তাদের কাছে গিয়েছি। কেন স্ক্যানারে এ বিষয়টি ধরা পড়েনি তা নিয়ে আমি তাদের কাছে অভিযোগ করেছি।’