`বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতার ভাষণ'
বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি, শোষণ, বঞ্চনা ও সর্বোপরি মুক্তিকামী জনগণের জন্য ঘোষিত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতার ভাষণ বলে দাবি করেছেন একুশে প্রদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।
তিনি বলেছেন, `জাতির উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির ঘোষণা পাঠ আমি অধ্যয়ন, বিশ্লেষণ এবং ঘেটে দেখেছি, ডিকলারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলতে যা বোঝায় নির্দ্বিধায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণ। তাঁর ভাষণের পর বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।'
বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ওই দিনের পেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, `আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। দেশের কান্তিকালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ হবে কিনা সবাই উন্মুখ ছিল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ওইদিন বঙ্গবন্ধু ভাষণে দিলেও পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী রেডিও ও টেলিভিশনে প্রকাশ করতে দেয়নি। চট্টগ্রামের মানুষ ওই দিনে ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে বঞ্চিত হয়। এরপরের দিন চট্টগ্রামের মানুষ বঙ্গবন্ধু ভাষণ শুনতে পায়।'
ড. অনুপম সেন বলেন, `স্বাধীনতার ৪৭বছর পরও স্বীধানতার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে আমাদের বির্তক করতে হয়। আমরা এখনো সংবিধানের মূল নীতি জনগণের ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। অথচ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, গণতান্ত্রিক অধিকার, ক্ষুধা দারিদ্র বির্নিমাণের জন্য সারাজীবন ব্যয় করেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।'
অনুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, `আমরা প্রযুক্তি, জ্ঞান, যোগোযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি সাধন করলেও এখনো পুরোপুরিভাবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি। বার বার পরাজয় শক্তি প্রতিশোধ গ্রহণ করতে গিয়ে আমাদের ভুল পথে চালিত করেছে। তারা প্রতিবারই আমাদের সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি, ভৌগলিক অবস্থানের ওপর হামলা করতে চায়। মুক্তির স্বাধীনতা, ক্ষুধা ও স্বনির্ভর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বাস্তবে রুপ দিতে হলে সবাইকে সংকীর্ণ মনমানসিকতা পরিহার করে কাজ করতে হবে।'
অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা বক্তব্য দেন।