ইউক্যালিপটাসে ভরপুর উত্তরাঞ্চল, হুমকিতে পরিবেশ



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
রাস্তার পাশেই ইউক্যালিপটাস গাছ, ছবি: বার্তা২৪

রাস্তার পাশেই ইউক্যালিপটাস গাছ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নুর হোসেন। গায়ে গতরে খেটে খাওয়া একজন দিনমজুর। সংসারে আপনজন বলতে স্ত্রী আর সন্তান। সম্পদের পরিসীমাও খুব বেশি নয়। বসত-ভিটা আর এর সামনে বেড়ে ওঠা তার স্বপ্নময় বেশ কিছু ইউক্যালিপটাস গাছ।

অনেক দিন ধরে চেষ্টা করেছেন জরাজীর্ণ বসত ভিটেতে নতুন ঘর তুলবেন। কিন্তু অর্থাভাবে সেই কাজ করতে পারেননি। অবেশেষে কয়েক বছর আগে লাগানো ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি করে এবার নতুন ঘর তুলেছেন। ইউক্যালিপটাস গাছকে ঘিরে স্বপ্নে বিভোর নুর হোসেনের পরিবার।

নতুন ঘর তৈরির কাজ করা শেষে গাছ শূন্যস্থানে আবারো লাগাবে সেই ইউক্যালিপটাস গাছই। কিন্তু নুর হোসেন নিজেও জানেনা তার অজান্তে পরিবেশের কি না ক্ষতি করে যাচ্ছে স্বপ্নময় ইউক্যালিপটাস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/08/1552026721351.jpg

আশ্চর্যের ব্যাপার হলো- বেশির ভাগ মানুষই এই ইউক্যালিপটাস এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত নয়। ষাট বছর বয়সী কৃষক আবুল হোসেন সেই কথাটাই জানান। বৃদ্ধ এই কৃষক জানান, ‘তার প্রতিবেশির দেখা দেখি সেও জমির আইলে ৫০-৬০টি ইউক্যালিপটাস লাগিয়েছেন। সাময়িক লাভের আশায় ইউক্যালিপটাস লাগিয়ে এখন তিনি ক্ষতিগ্রস্থ। আগের মতো তার জমিতে ভালো চাষাবাদ হচ্ছে না। দিন দিন পানিশূন্যতায় শুষ্ক হয়ে পড়েছে তার জমি।’

নুর হোসেন আর আবুল হোসেনের মত অগণিত মানুষ ইউক্যালিপটাস গাছকে ঘিরে স্বল্প সময়ে বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। একারণে গত দুই দশকে অস্বাভাবিক হারে এই গাছে ছেয়ে গেছে পুরো উত্তরাঞ্চল। রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসভূমি ও কৃষি জমি সবখানেই এর ছড়াছড়ি। যেন দিগন্ত জুড়ে ইউক্যালিপটাসের সমারোহ।

কৃষকরা বলছেন, জমির আইলে ইউক্যালিপটাস রোপণ করার পর থেকে ক্ষেতে আর পানি থাকে না। দিন দিন ফসলের উৎপাদন কমে যায়। কম সময়ে এই গাছ অনেক বড় হয়। ইউক্যালিপটাস গাছ আশপাশে প্রয় ৫০ ফুট এলাকার পানি শোষণ করে ও আকাশে তুলে দেয়। জমির আইল, কৃষি জমি ও পতিত জমিতে লাগানো এই গাছ উপকারের পরিবর্তে অপকারই বেশি করে।

পরিবেশ উপযোগী না হওয়ায় ২০০৮ সালে সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে দেশে ইউক্যালিপটাসের চারা উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু কৃষকরা না জেনে ইউক্যালিপটাসের চারা রোপন করছেন। এভাবেই গড়ে উঠেছে শত শত ইউক্যালিপটাসের বাগান। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ।

নিষিদ্ধ গাছটির চারা উৎপাদনের সরকারি নিয়ম-নীতির কথা জানেন না স্থানীয় নার্সারি মালিকরা। অন্যান্য বনজ বা ফলদ চারার চেয়ে এই চারা উৎপাদনে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি লাভ হয়। এই লোভে তারা বেশি করে চারা উৎপাদন করছেন। ফলে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার, বসত-বাড়ি, অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাটে, খেলার মাঠে, হাট-বাজারসহ ফসলের মাঠজুড়ে অন্যান্য ফসলের সঙ্গে ব্যাপকভাবে শোভা পাচ্ছে ইউক্যালিপটাস গাছ। সবকিছু মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বৃক্ষ ও পরিবেশ বিশারদরা।

উত্তর জনপদে ইউকলেক্টর নামে পরিচিতি ইউক্যালিপটাস গাছের চারার অবাধ উৎপাদন, বিপণন ও রোপন বৃদ্ধির ফলে উত্তরাঞ্চল মরুভূমির দিকে যাচ্ছে। দিন দিন এ অঞ্চলে পানির স্তর কমে আসছে। এক সময়ের বেলে দোঁআশ আর কাঁদা মাটিভরা উত্তরাঞ্চল এখন পানি শুষ্কতায় ভুগছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষি জমি ও চাষাবাদ। পরিবেশ ভারসাম্যহীন ইউক্যালিপটাস গাছের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে।

সাধারণ গাছ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারাসাম্য রক্ষার পাশাপাশি প্রাণীকূলের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে আর অক্সিজেন সরবরাহ করে সহায়তা করে। কিন্তু ইউক্যালিপটাস তা করে না। বরং এই গাছ অক্সিজেন গ্রহণ, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ এবং নাইট্রোজেন নির্গমন করে। ইউক্যালিপটাসের পাতা ও ডালপালা অজৈব পদার্থের মত কাজ করে কৃষি জমিকে অনুর্বর করে। ফলে ফসলের উৎপাদন কমে যায়।

কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক পরিবেশবিদ এম এ রউফ খাঁন বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমানে বৃষ্টিপাত খুব বেশি হয় না। গ্রামের বেশিরভাগ বড় বড় নদ-নদী বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে হয়েছে। এতে দেশের কৃষি জমি শুকনো হয়ে যাচ্ছে। এই রকম শুকনো জমিতে ইউক্যালিপটাস গাছটি রোপন করার মানে নেই। কারণ ইউক্যালিপটাস গাছ প্রচুর পানি শোষণ করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের জলবায়ুর জন্য ইউক্যালিপটাস গাছ মোটেই উপযোগী নয়। উপরন্তু কৃষি জমি এবং আশপাশের মাটি থেকে অতিমাত্রায় পানি শোষন করে মারাত্মকভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছে এই রাক্ষুসে গাছ।’

এ বিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘কৃষি জমির জন্য ইউক্যালিপটাস মারাত্বক হুমকি। পানি খেকো এই গাছ প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ লিটার পানি শোষণ করে মাটিকে নিরস ও শুষ্ক করে ফেলে। ইউক্যালিপটাস গাছ ৫ বছরে ৯২ মিটার লম্বা হতে পারে। মাটির নিচের গোড়ায় ২০-৩০ ফুট জায়গা নিয়ে চারদিকে থেকে ইউক্যালিপটাস পানি শোষণ করে। ফলে অন্যান্য ফলজ গাছের ফলন ভালো হয় না। পুকুরের পানি দূষণ করে। এ গাছে কোনো পাখি বাসা বাঁধে না। পাতা সহজে পচে মাটিতে মিশে না। ইউক্যালিপটাস গাছের ফলের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করলে অ্যাজমা হয়। এমনকি যে বসত-বাড়িতে অধিক পরিমাণে ইউক্যালিপটাস গাছ আছে সেসব বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আমরা কৃষকদের এই গাছের চারা উৎপাদন, রোপন ও সরবরাহে নিরুৎসাহিত করছি।’ 

   

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৮২৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাস মনে হয়: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা কর্মীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সার্কাস মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসন খানি' নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বানর যেমন নাচে সার্কাসে বিএনপি নেতা কর্মীর কার্যক্রম সে রকম ভাবেই ফুটে উঠে। কোনো কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ধরনা দেয়। বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা সেখানেই। চেয়ে চেয়ে তারা মিটিং নেন, বিদেশিদের সাথে আলোচনা করেন। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোন বিদেশি তাদের ক্ষমতার আসনে বসাতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক এ দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হয়েছে। ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার খল নায়ককে (জিয়াউর রহমানকে) নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ অপচেষ্টার ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সে বিতর্কের কবর রচনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। খালেদা জিয়া পহেলা বৈশাখ পালনে বাধা দিয়েছিলেন। তবে শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ছুটি ঘোষণা দিয়েছেন। ভাতা চালু করেছেন। সংস্কৃতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা তা সব স্থানেই প্রশংসিত।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আছে উল্লেখ করে বলেন, নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অর্জন বিশ্বে বিরল।

;

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

রাজশাহীতে ট্রাক চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে সুইট (৩১) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

;