ট্রান্সপারেন্সির ট্রান্সপারেন্সি ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ট্রান্সপারেন্সির ট্রান্সপারেন্সি ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন। ছবি: প্রতীকী

ট্রান্সপারেন্সির ট্রান্সপারেন্সি ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন। ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নিজেদের ট্রান্সপারেন্সি ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দখলদার চিহ্নিত চাঁদাবাজদের পক্ষ নেওয়া এবং না জেনে এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সংস্থাটির বিরুদ্ধে।

আর এই আঙ্গুল তুলেছেন সরকারের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা। এ বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠি নিয়ে। টিআইবি সম্প্রতি বরগুনার তালতলীতে নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম, টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল নিয়ে উদ্বেগ এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়ার চিঠি পাঠায়।

টিআইবির চিঠিতে বলা হয়- ‘নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে টেংরাগিরিতে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় নাগরিকদের নানাভাবে হয়রানি করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।’

বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিদ্যুৎ ‍উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানিয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য সেখানে কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। হয়তো অধিগ্রহণ বলতে যা বুঝায় সে বিষয়টি টিআইবির কাছে পরিষ্কার নয়, নয়তো তারা কোনো রকম খোঁজখবর না নিয়ে শোনা কথার ভিত্তিতে এমন উড়ো চিঠি দিয়ে থাকতে পারে। এটা প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহন করে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান নিজেরা ব্যক্তিমালিকদের সঙ্গে দরদাম করে জমি কিনেছেন। অথচ টিআইবির কোনো রকম তথ্য যাচাই বাছাই না করে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে পিডিবি ও বরগুনা জেলা প্রশাসন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া আরও একটি বড় ধরনের তথ্য বিভ্রাট রয়েছে টিআইবির চিঠিতে। ওই পত্রে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। এই তথ্যটিও তারা কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া দিয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে পত্রিকায় পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি নিজেরাই লেখে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৪ কিলোমিটারের মধ্যে। তাদের নিজেদের বক্তব্যের মধ্যেও দ্বিচারিতা রয়েছে। টিআইবির এই দু’টি তথ্যের মধ্যে কোনোটাই যথাযথ নয়। অনুমান নির্ভর এবং প্রকৃত সত্যকে গোপন করার অভিযোগ উঠেছে। দু’একটি দৈনিকে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেখা গেছে। তারাও যথাযথভাবে তথ্য তুলে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে আইসোটেক গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা ফিরোজ চৌধুরী দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, একই দৈনিকে প্রথমে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে এবং একমাসের ব্যবধানে একই দৈনিকের অপর রিপোর্টে ৪ কিলোমিটার দূরত্বে প্রকল্পটির অবস্থান উল্লেখ করা হয়।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বাফার জোন থেকে ৬ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। টিআইবির মতো একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য আশা করা যায় না। স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে চোথা নির্ভর না হয়ে আরও যথাযথ সোর্স থেকে নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল।

আবার বলা হয়েছে নালিশি জমির উপর স্থিতাবস্থা থাকা অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করা হয়। এই তথ্যও সঠিক নয় বলে জানা গেছে। আদালতের কোনো স্থিতাবস্থা নেই। সে কারণে প্রশাসন ও পুলিশকে অহেতুক হেয় করা হয়েছে বলে মনে করে প্রশাসন।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘টিআইবিতো কতোকিছু লেখে। আদালতের কোনো স্থিতাবস্থা আছে বলে আমার জানা নেই। আর জমি জমার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের তো কোনো কাজ নেই। জমির বিষয়ে দেখবে জেলা প্রশাসন।’

আইসোটেক গ্রুপের পরিচালক আব্দুস সবুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আদালতের কোনো স্থিতাবস্থা নেই। টিআইবির এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল। ছগির (পিতা:খবির) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী প্রায় ৩শ ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়। জামিনে বেরিয়ে আসার পর মামলার খরচের জন্য আমার কাছে টাকা চায়। সেই টাকা না দেওয়ায় কোর্টে গিয়ে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে। মামলায় বলে আমার জমি না থাকলেও ভুয়া মালিকদের কাছ থেকে জমি কিনে দখল করা হচ্ছে। যে কারণে জনস্বার্থে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছি। এরপর আর হাজির হচ্ছে না।’

টিআইবির চিঠির পরতে পরতে তথ্যগত ভুল। বলা হয়েছে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে হয়রানি করা হচ্ছে। এখানেও হয় মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, না হলে চাতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বিশেষ গোষ্ঠিকে খুশি করবার জন্য। তাদের এই তথ্য পুরোপুরি ভুল।

আবার বলা হয়েছে ভুক্তভোগিরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্তরা যে চীনা প্রকৌশলীকে মারপিট করে এবং প্রকল্পের জ্বালানি সরবরাহের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সে বিষয়ে টিআইবি একেবারেই নিশ্চুপ। একপেশে ভাবে প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন।

যাদের পক্ষে টিআইবি সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা নানা ভাবে চাঁদাবাজির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা পুলিশ, র‌্যাব ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর তদন্তে উঠে এসেছে। বিশেষ করে জেলা পুলিশের গোপনীয় প্রতিবেদন ঘাটলেই ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, তাহলে কি ধরে নেব টিআইবি চাঁদাবাজদের মদদ দিচ্ছে। যদি তা নাই হবে তাহলে তারা কেনো তাদের সুরে কথা বলছেন। তারা কি পারেন এভাবে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে?

টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মনজুর-ই আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জলবায়ু অর্থায়ন সুশাসন ইউনিটের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মু.জাকির হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

জাকির হোসেন খান ভূমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণ না করা হলে জেলা প্রশাসক কীভাবে যুক্ত থাকে।’

আর সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে দূরত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদেরকে বলেন, তারা স্যাটেলাইট ভিউ থেকে দেখুক। গাছ নাই মনে করে যদি আপনি বনের হিসেব থেকে বাদ দেন তাহলে সেটা যথাযথ হবে না।’

   

দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;

শিক্ষকের মৃত্যুতে মানববন্ধন এলাকাবাসীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গাবতলীর আমিন বাজারের বাসিন্দা মেধাবী গণিত শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নিহত আমিনুল ইসলামের পরিবার শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আমিনুল ইসলামের কথা স্মরণ করে তারা জানায়, আমিনুল ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন শিক্ষক। সকলেই তাকে অনেক ভালোবাসতেন। ধর্মীয় অনুশাসন সবসময় মেনে চলতেন আমিনুল ইসলাম স্যার। এছাড়া ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই গত ২৬ মার্চ রাতে ছাত্রীকে পড়ানো শেষ করে বাসায় ফেরার পথে রাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে চলে যায়। তারপর হাসপাতালে নেয়ার আগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সাভার হাইওয়ে পুলিশ ধামরাই থেকে তাকে আটক করেন।

এলাকাবাসী বলছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির জন্যেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হলো তাকে। তাই গাবতলি থেকে আমিন বাজার সাভারে চলাচল করা সকল ধরনের গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত গতি ঠেকাতে হবে। চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং মহাসড়কে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজসহ সড়ক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান এলাকাবাসী।

সেই সাথে দ্রুত অভিযুক্ত চালককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক এবং সড়ক নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হোক।

;

ভরসার খালে নোনা পানি, নিরুপায় কৃষক



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেও সরষে ফুলে ভরে ছিল মাঠ। এরই মধ্যে ঘরে উঠেছে সূর্যমুখী এবং আলু। এখন তরমুজ চাষাবাদের ভরা মৌসুম। বাড়ছে রোদের প্রখরতা। মাটি হারাচ্ছে জোঁ। ফলে সকাল সন্ধ্যে দুর থেকে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হচ্ছে সেখানে। যদিও ওই জামির পাশেই খুলনার কয়রা উপজেলার তেরআউলিয়া খালে ঢেউ খেলছে নোনা পানি।

ওই খালের উপর ভরসা করেই এ এলাকার কয়েক‘শ একর জমি চাষাবাদ হয় দীর্ঘদিন ধরে। তবে বর্ষার শেষ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই খালে থাকে মিষ্টি পানি। তবে বর্তমানে ইজারাদার ওই খালে কৌশলে ঢুকিয়েছে নোনা পানি। ফলে নষ্ট হতে বসেছে কৃষকের পরিশ্রমে গড়া লালিত স্বপ্ন।

যদিও এসব খালে নোনাপানি ওঠানো নিষেধ। কিন্তু ইজারাগ্রহীতারা গোপনে স্লুইস গেটের কপাট খুলে নোনাপানি তোলে। ফলে ওই সব খালের পানির ভরসা করে যারা চাষাবাদ করে। তখন তাদের কপালের ভাঁজ বাড়তে শুরু করে। প্রতিবছর ওই এলাকার কৃষকেরা তেরআউলিয়া খালের উপর ভরসা করে বীজ বুনে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই ইজারাদারের কৌশলের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় কৃষকদের। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা দূর থেকে পাতা পাইপলাইন থেকে উচ্চমূল্যে পানি আনে। বেড়ে যায় চাষাবাদের খরচ। লাভের খাতা ছোট হয়ে তৈরি হয় লোকসানের খাতা।

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানাযায়, কয়রা উপজেলার ৩৯টি খাল নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই খালগুলোতে নোনা পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করলে এবং মিষ্টি পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ওই এলাকর ৭ হাজার ২ হেক্টর জমিতে বছরে ৩শ’ ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কয়রা উপজেলার চুন্ডিপুর গ্রামের এই তেরআউলিয়া খালের একপাশ দিয়ে চলে গেছে চলাচলের রাস্তা। আর অন্য পাশে সুবিশাল ক্ষেত। এই খালটি উপজেলার মসজিদকুড় গ্রাম থেকে শুরু হয়ে চন্ডিপুর, দশবাড়িয়া, কিনুকাঠী, খেপনা গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘোষখালী খাল হয়ে শিবসা নদীতে মিশেছে।

ওই গ্রামের কৃষক আফসার আলী গাজী জানান, আমাগে খেতের পাশেই খাল। খালে পানি ভরা। কিন্তু সে পানিতে চাষাবাদ হয় না। খেতের জন্য পানি আনতে হয় ৩ রশি দূরে সেচ পাম্প থেকে। অনেক খরচ। কিন্তু করবো। খালের পানি এতো নোনা যে, ওই পানি একটু গাছের গায়ে লাগলে কচি গাছ মরে যায়।

উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইসহাক আলী সরদার জানান, আমি আমার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমন চাষের পর সবজি আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জমির পাশে তেরআউলিয়া নামের এ খালে মিঠাপানি ছিল। বর্তমানে নোনাপানি উঠিয়ে মাছ চাষ করছেন খালের ইজারাদার। ফলে খালের আশপাশে প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষাবাদে পানির স্কংট দেখা দিয়েছে। শুধু এ খাল নয়, আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এমন শতাধিক বন্ধ খাল মাছচাষিদের কাছে প্রতি ৩ বছর পরপর ইজারা প্রশাসন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ এলাকার প্রায় সব বিলের মধ্যে ছোট-বড় খাল রয়েছে। এসব খাল বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানিতে টৈটম্বুর থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ খালের পানি সেচ কাজে লাগাতে পারলে চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু সেই সময় ইজারাদাররা গোপনে নোনাপানি তোলে।

চুন্ডিপুর গ্রামের ওই তেরআউলিয়া খালের ইজারাদার মো. মইনুদ্দিন মিস্ত্রি জানান, এই খালটি স্লইজ গেটের কাছে। অন্যদিকে ওই স্লুইজ গেটের পাটা বা গেটটি নষ্ট। সেজন্য কিছু নোনা পানি উঠেছে। কদিন আগে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে আর নোনা পানি উঠবে না।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ সমস্যায় জন্য অনেক কৃষক আমাদের কাছে আসে। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেই।

কয়রা উপজেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে খাল, জলাশয়, খাস জমি ইজারা দেয়া হয়। তবে সেখানে নোনাপানি তোলা যাবে না। যদি কেউ গোপনে নোনাপানি তুলে কৃষকের ক্ষতি করে, তাহলে ওই ইজারা বাতিল করা হবে।

;

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

আইজিপি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। আমি আশা করছি— আমাদের ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। সেই সঙ্গে যথাসময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি।

;