‘হজে অনিয়ম বন্ধে তৃতীয় পক্ষ নয়, এজেন্সির সঙ্গে লেনদেন করুন’



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম, বার্তা২৪.কম
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম/ ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৭ সালের হজ মৌসুমে হজযাত্রার শেষ দিকে ‘প্রশিক্ষণের নামে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের কাছ থেকে ৩০০ করে টাকা নিয়ে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে’ বলে মন্তব্য করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম। সেবারই প্রথম হাবের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি।

 

তিনি হিসাব করে দেখান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণের নামে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ৩০০ করে সর্বমোট ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা আদায় করেছে। কিন্তু এর বিনিময়ে হজযাত্রীদের কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তার এই প্রতিবাদ দারুণভাবে কাজে লাগে। হজ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয় আশকোনা হজক্যাম্পসহ দেশের জেলাগুলোতে। এমনকি কোনো হজযাত্রী ওই প্রশিক্ষণে অংশ নিলে তাকে ৩০০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

এভাবে হজের মতো পবিত্র বিষয় নিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কথা প্রায়ই শোনা যায়। বিষয়টি বেশ উদ্বেগ সৃষ্টির মতো। হজ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসভিত্তিক সক্রিয় সিন্ডিকেটের পাশাপাশি একশ্রেণির বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার মুখে মক্কা-মদিনায় হাজীদের নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য এবং বেশিরভাগ মুসলমান বছরে একবার যান বলে এজেন্সিগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন না। নীরবে সহ্য করেন।

আল্লাহপ্রেমী মানুষদের এ সরলতাকে পুঁজি করে অনৈতিক ব্যবসা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

বার্তা২৪.কম এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে কথাগুলো বলছিলেন হাব-এর মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

হজযাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘হজে অনিয়ম বন্ধে কোনো তৃতীয় পক্ষ নয়, সরাসরি এজেন্সির সঙ্গে লেনদেন করুন। দেখবেন হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি থাকবে না।’

মক্কা-মদিনায় হাজীদের জন্য ভাড়া করা বাড়ির মান, খাবারের মান এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘তারপরও আরও ভালো করার চেষ্টা করতে হবে এজেন্সি কর্তৃপক্ষের। সেই সঙ্গে হজে যাওয়ার উদ্যোগের শুরু থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত হাজীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করার জন্য হাব কাজ করছে।’

একদিকে চলছে হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন, অন্য দিকে আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হাব-এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য হাবের বর্তমান কমিটির মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমকে একটি প্যানেলের প্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

হজ এজেন্সি, হজযাত্রী ও হজ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে সোচ্চার এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম কুমিল্লা সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম মাওলানা রশিদ আহমেদের ছেলে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার বড় তসলিম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে উচ্চ শিক্ষার্থে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে।

সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইর্য়ক থেকে পড়াশোনা শেষ করে নিজেকে গড়ে তোলেন উদ্যোক্তা হিসেবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডাইনেস্টি ট্রাভেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসাইন তসলিম হাবের নেতৃত্বে আসেন ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল।

হাব নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। বিভিন্ন এজেন্সির মালিক ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, আসন্ন হাব নির্বাচনে একটি প্যানেলের প্রধান অর্থাৎ সভাপতি হিসেবে ঘোষিত শাহাদাত হোসেন তসলিম ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ প্রার্থী।

হাব মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকালে শাহাদাত হোসেন তসলিম হজ এজেন্সি ও হাজীদের কল্যাণে নানামুখি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ও তা বাস্তবায়ন করেছেন। তার শক্ত অবস্থানের কারণে হাজীদের ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। বন্ধ হয়েছে কোটা ও রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য।

হাবের যুক্তির প্রেক্ষিতে এবার বিমান ভাড়া ১০ হাজার টাকা কমানো হয়েছে, হাজীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রথা বাতিল করা হয়েছে। হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন সার্ভার সব সময় খোলা রাখা ও সর্বশেষ এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর সংখ্যা দেড়শ জনের স্থলে ১০০ জন করার সিদ্ধান্তে সৌদি আরবের অনুমোদনও তার অন্যতম সফলতা।

বিগত দুই হজ মৌসুমে হজ কার্যক্রমে নিজে দায়িত্ব নিয়ে সৌদি দূতাবাসে ছুটোছুটি করে হাজীদের ভিসা করিয়ে শেষ ফ্লাইটে তিনি হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার ঘটনাও সর্বমহলে প্রশংসিত হয়।

সর্বশেষ ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সৌদি আরব থেকে ঘুরে এসেছেন গতমাসে। সৌদি সফরের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশা করছি চলতি হজ মৌসুমেই বাংলাদেশ অতিরিক্ত হজ কোটা পাবেন। এ বিষয়ে সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে মিনায় হাজীদের দ্বিতল খাটে থাকার বাধ্যবাধকতা থেকে বাংলাদেশি হাজীদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রী আমাদের বলেছেন, অতীতে যা হওয়ার হয়েছে, ভবিষ্যতে মক্কার মুয়াসসাসা ও মদিনার আদিল্লা অফিসে বাংলাদেশি হজ এজেন্সি কর্তৃপক্ষকে আর কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে না।

প্রথা অনুযায়ী হাব নির্বাচনে শুধুমাত্র প্যানেল প্রধানের (সভাপতি) নাম ঘোষণা করা হয়। তার নেতৃত্বে অন্যরা সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে বিজয়ীরা পরে মহাসচিব নির্বাচিত করাসহ কেবিনেট গঠন করেন।

আসন্ন হাব নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি আর কী কী করতে চান জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মহাসচিব পদে দায়িত্বপালনকালে হজ এজেন্সি ও হাজীদের কল্যাণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। সব ধরনের অন্যায়-অপকর্মের ঘোর বিরোধী ছিলাম। কোনো লোভ করিনি, নিজে সৎ ছিলাম; ভবিষ্যতেও সৎ থাকবো- ইনশাআল্লাহ

সভাপতি নির্বাচিত হলে শাহাদাত হোসেন তসলিম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি কাজ করতে চান। এসব কাজের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে তিনি সৌদি সরকারের সঙ্গে শুরু করেছেন এবং আলোচনা অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়েছে। কাজগুলো হলো-

এক. বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশনের সব কাজ সৌদি আরবে না করে বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা। ফলে দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে হজযাত্রীদের আর সৌদি বিমানবন্দর যেয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য কষ্ট করতে হবে না।

দুই. হজ ও ওমরাহ দু’বার করলে পরের বছর হজযাত্রীদের অতিরিক্ত দুই হাজার রিয়াল পরিশোধ করতে হয়। এক্ষেত্রে দুই হাজার রিয়াল যেন না দিতে হয় সেই ব্যপারে আলোচনা চলছে।

তিন. এজেন্সির মালিকরা সাধারণত মোনাজ্জেম (হজ ব্যবস্থাপক) হয়ে থাকেন। তাদের সৌদি আরবে বাড়িভাড়াসহ আনুষঙ্গিক কাজ করতে যে স্বল্প মেয়াদে ভিসা দেওয়া হয় তাতে তারা কাজ শেষ করতে করতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ফলে তারা হাজিদের সেবায় মনোযোগ দিতে পারেন না। তাদের ভিসা ছয় মাস করার জন্য তিনি প্রচেষ্টা চালাবেন।

চার. হজযাত্রী পরিবহনে থার্ড ক্যারিয়ার যুক্ত করা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ও হজ এজেন্সির মালিকদের সহযোগিতায় হজ কার্যক্রম যেভাবে সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় তার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। তার প্রত্যাশা, হজের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ও হজফ্লাইট নিয়ে জটিলতাসহ হজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এবার আর কোনো ঝামেলা হবে না।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;