দেশে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তারা/ ছবি: সৈয়দ মেহেদী

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তারা/ ছবি: সৈয়দ মেহেদী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে বর্তমানে দুই লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন যক্ষ্মারোগী আছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ব্রাক। এর মধ্যে শিশু যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৩৫২ জন বলে জানায় সংস্থাটি। 

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম, ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অং কাই জাই মগ, ব্রাকের কমিউনিকেশন ডিজিজেস কর্মসূচির পরিচালক ড. মোঃ আকরামুল ইসলাম, সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত, আইসিডিডিআরবি'র প্রতিনিধি ডা. সায়রা বানু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে এমডিআর যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা এক হাজার ২৪০ জন। বাংলাদেশে প্রতি বছর লাখে ২২১ জন নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন এবং ৩৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। তাই এই রোগ নির্মূলে জনসাধারণের সচেতনতার পাশাপাশি অত্যাধুনিক জিন-এক্সপার্ট মেশিনের সংখ্যা ও ব্যবহার বাড়ানো উচিত।’

এক সময় যক্ষ্মাকে নিয়ে যে ভয় ছিল সেই ভয় অনেকটাই কেটে গেছে উল্লেখ করে বক্তারা যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো- চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত হাসপাতাল না থাকা, দক্ষ স্টাফের স্বল্পতা, চরাঞ্চলসহ দুর্গম জায়গায় সহজে চিকিৎসা সেবা দিতে না পারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, ‘যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগের মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ ও প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। এই লক্ষ্যে সরকার জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্রাকসহ ২৫টি বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।’

উল্লেখ্য, যক্ষ্মা বা টিবি একটি বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ। মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামের একটি জীবাণু এ রোগেত জন্য দায়ী। এ জীবানু মূলত ফুসফুসকে আক্রমণ করে। কফ, হাচি, কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণু একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায়।

   

ছেঁড়া ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, বাবা সংটাপন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেঁড়া ১০ টাকার নোট না নেয়ার দ্বন্দ্বে ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সাদেক মুন্সির (৬২) অবস্থা সংটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলে ইকবাল হোসেন ও বাবা সাদেক মুন্সি একই ইউনিয়নের দিগারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে ছেলে ইকবালকে নিয়ে মুদি দোকান করেন সাদেক মুন্সি। ঘটনার দিন রাতে সিগারেট কিনতে আসেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি দশ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যায় ফারুক। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তারা কিছুক্ষণ বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পারভেজ সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই এলোপাথারি আঘাত শুরু করে ইকবালকে। ওই সময় বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইকবাল। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাদেক মুন্সির অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক ও পারভেজকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

;

ছেঁড়া ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, বাবা সংটাপন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেঁড়া ১০ টাকার নোট না নেয়ার দ্বন্দ্বে ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সাদেক মুন্সির (৬২) অবস্থা সংটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলে ইকবাল হোসেন ও বাবা সাদেক মুন্সি একই ইউনিয়নের দিগারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে ছেলে ইকবালকে নিয়ে মুদি দোকান করেন সাদেক মুন্সি। ঘটনার দিন রাতে সিগারেট কিনতে আসেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি দশ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যায় ফারুক। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তারা কিছুক্ষণ বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পারভেজ সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই এলোপাথারি আঘাত শুরু করে ইকবালকে। ওই সময় বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইকবাল। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাদেক মুন্সির অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক ও পারভেজকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

;

সাভারের যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পাইপলাইনের জরুরি মেরামতকাজের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টা সাভারের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা সাভারের টংগাবাড়ী, আশুলিয়া, খেজুরবাগান, গৌরীপুর, খাগান, কুমকুমারি ও আক্রান এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

;

নীলফামারীতে সার্কাসে রাত হলেই শুরু হয় অশ্লীলতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ার ডাঙ্গায় সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনীর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। খোলামেলা পোশাকে এসব নাচ গানের আসরে পঙ্গপালের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও নেয়নি কোন ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টায় দি রওশন গ্রেট সার্কাসে গিয়ে দেখা যায়, সার্কাসের প্যান্ডেলের ভিতরে মেয়েদের দিয়ে খোলামেলা আপত্তিকর নাচগান প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব নাচগানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্কাসের শো পরিচালনা করার থাকলেও রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব অশ্লীল নৃত্য। এতে করে রাত যতই বাড়তে থাকে সার্কাসে শুরু হতে থাকে অশ্লিল নৃত্য ।এসময় কাউকে মোবাইলে ভিডিও না করার জন্য বারবার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবদেশ রায় বলেন, এখানে সার্কাস চলছে ভালো কথা। আমাদের বাড়ির লোকজন আসবে দেখবে কিন্তু রাত হলে অশ্লীলতা বাড়ে এলাকার সব ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এখানে চলে আসে। যুবসমাজ এভাবে নষ্টের দিকে যাচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এসে শুনি সার্কাসের কথা,সেখানে অশ্লীল কিছু হলে আমি প্রশাসনকে অবগত করব।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;