সাংস্কৃতিক উৎসবে মুখর রাজশাহী নগরী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
শনিবার উৎসবের সপ্তম দিনে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়/ ছবি: বার্তা২৪.কম

শনিবার উৎসবের সপ্তম দিনে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জমকালো সাংস্কৃতিক উৎসবে মুখর হয়ে উঠেছে রাজশাহীনগরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ১০ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ১৭ মার্চ থেকে এই উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান।

উৎসবের জন্য নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় মূল মঞ্চ করা হলেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে চলছে এর আনুষ্ঠানিকতা। ফলে পুরো নগরীতেই লেগেছে উৎসবের ছোঁয়া।

এদিকে গ্রিন প্লাজায় উৎসবের মূল মঞ্চে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে জমকালো ও বর্ণাঢ্যভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একই স্থানে চলছে বইমেলা। সেখানে রয়েছে ২৫টি স্টল। এই বইমেলা উৎসবে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।

উৎসবের সপ্তম দিন শনিবার (২৩ মার্চ) মূল মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করে রাজশাহী বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদ। আবৃত্তি পরিবেশন করে রাজশাহীর আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/23/1553341836980.jpg

স্বরচিত কবিতা পরিবেশন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক ও কবি মিনার মনসুর এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি রুবী রহমান।

তাদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা জানান সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। পরে অনুষ্ঠানে লোকসঙ্গীত পরিবশেন করে মাতাল বাউল দল। আর নাটক পরিবেশন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রুডা। 

উৎসবে ইতোমধ্যে যাত্রাপালা, বাউল গান, আলকাপ গান ও গম্ভীরার মতো ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশিত হয়েছে গণসংগীতও। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় তা উপভোগ করেছেন নগরবাসী।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন জানান, উৎসবের শেষ দিন আগামী ২৬ মার্চ সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা দিবসে গণহত্যা ও ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী এবং বিকাল ৫টায় স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

   

১০ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ৬০০ টাকার পেথিডিন বানাতেন তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সন্তান জন্মের সময় প্রসূতি মায়েদের ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয় ‘জি-পেথিডিন’ ইনজেকশন। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশনই দীর্ঘদিন ধরে নকল করে বাজারজাত করে আসছে একটি চক্র। ১০ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে তৈরি পেথিডিন নামের ভুয়া ওষুধটি ৬০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন তারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মিন্টোরোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের(ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। মতিঝিল গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলমগীর খাঁন, মো. মাসুদ রানা, মো. আহ্সান হাবীব শাওন।

এসময় ২০০টি জি-পেথিডিন ইনজেকশন, ২২০টি জি-পেথিডিনের এ্যাম্পুল, ১ হাজার ১০টি জি-ডায়াজিপাম এর এ্যাম্পুল, ৫২০টি জি-পেথিডিন এর ফাঁকা বক্স, ২০০টি জি-পেথিডিন ইনটেক স্টিকার, ২টি (১২ কেজি) জি-পেথিডিন ফয়েল পেপার, ১ হাজার ৫০০টি জি-পেথিডিন এর ব্যবহারবিধি, ১টি জি-পেথিডিনের ফয়েল লাগানোর জন্য লোহার চাপ মেশিন, ৫ কেজি এসিড, ৫টি কাঠ ও প্লাস্টিক দিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরি স্কিন প্রিণ্ট করার ফ্রেম, ২৫০টি জি-পেথিডিন রাখার প্লাস্টিকের ট্রে জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ওষুধ অপারেশনের সময় বা অপারেশনের পরে চিকিৎসকরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করেন। প্রচলিত ‘জি-ডায়াজিপাম’ ঘুমের ইনজেকশনকে ঘরোয়াভাবে রূপান্তর করে চেতনানাশক ‘জি-পেথিডিন’ ইনজেকশন হিসেবে বাজারজাত করতেন চক্রটি।

;

মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনে ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সহযোগী সংগঠনগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে সেগুলো আমরা সম্মেলনের চিন্তা করবো। তবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার চূড়ান্ত মালিক হচ্ছে ওয়ার্কিং কমিটি। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আমেরিকার দুইটি প্রতিষ্ঠানের দেয়া রিপোর্টের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরাও তো একটা দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদেরও একটা মানদণ্ড আছে। আমাদের গণতন্ত্রে যে পারফেক্ট....পারফেক্ট কেউ না পৃথিবীতে। আমরাও পারফেক্ট এই দাবি আমরা করি না। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিশ্চিত প্রায় রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তিনি তো বলেছেন আমি ইলেক্টেড না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। এইটা কোন নির্বাচন?

তিনি বলেন, জো বাইডেনের নির্বাচিত হওয়া নির্বাচনকে সত্যিকারের নির্বাচন হয়নি বলা হয়েছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি। কাজেই মানদণ্ড কোথায় কি সেটা বুঝা হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ডিক্টেটরশীপ এবং তাদের সিবলিংস এরাই বাংলাদেশে কর্তৃত্ব করেছে। একুশ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন। এবং সেই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। 

;

বিদেশে কাজ দেয়ার নামে টাকা নিয়ে ম্যাক্সের প্রতারণা, আদালতে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে কাজ দেয়ার নামে টাকা নিয়ে কাজ না দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির নামে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে।

জানা গেছে, যশোরের কেশবপুর পৌর এলাকার আবুল হাসান। বিদেশে যাওয়ার জন্য যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) প্রশিক্ষণ নেন। সে সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় প্রবাসী মেলা। মেলা থেকে ভুক্তভোগী আবুলসহ বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য বাছাই করা হয়।

ক্লিনার হিসেবে কাজ দেওয়ার চুক্তিতে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই লাখ করে টাকা নেওয়া হয়। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশে নিয়ে গেলেও কাজ দেয়নি ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস। ফলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে জেল খেটে দেশে ফিরে আসেন ভুক্তভোগী আবুল হাসান।

এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির নামে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মানবপাচার অপরাধ ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেছেন আবুল হাসান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় ভুক্তভোগী তার অভিযোগে বলেন, ২০২১ সালে যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) আয়োজিত প্রবাসী মেলা থেকে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস বিদেশে পাঠানোর কথা জানায়। তিনি ছাড়াও সেখানে অন্তত পাঁচ শতাধিক আগ্রহীকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়। একইদিনে সবার পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়। এরপর যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিন দিনের দক্ষতার ট্রেনিং শেষে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ক্লিনার হিসেবে সৌদি আরব পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিদেশে যাওয়ার পর তিন মাস এক স্থানে বন্দি করে রাখা হয় তাদের। কোনো ধরনের কাজ না দিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকেন তারা। এমনকি ঠিকমতো খাবার দিতেন না প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরতরা।

সেসময় ভুক্তভোগীরা বলেন, ব্যাংক ঋণ করে সৌদি আরব এসে এভাবে মাসের পর মাস বসে থাকলে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? তাছাড়া দেশে থাকা পরিবারের খরচ কে মেটাবে? তখন সৌদি কোম্পানির মালিক বলেন, ‘আমি নিজের টাকা খরচ করে তোমাদের এনেছি। তোমরা কত টাকা খরচ করছ, কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছ সেটা আমার দেখার বিষয় না।’ এসব কথা শোনার পর ভুক্তভোগীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।

সে সময় ভুক্তভোগীরা বাংলাদেশে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস’র অফিসে যোগাযোগ করে কাজ দেওয়ার কথা বললে কর্মকর্তারা জানান, অপেক্ষা করেন কিছুদিন পর অন্য এক মালিক এসে আপনাদের নিয়ে যাবে। প্রায় ৩ মাস পর ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারে বন্দি হিসেবে তাদের কিনে আনা হয়েছে। এখন অন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে। কোনো কাজ দেওয়া হবে না। অন্য দালালদের কাছে বিক্রির বিষয়টি টের পেয়ে তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজের দাবিতে চিৎকার করতে থাকেন। ফলে কৌশলে কোম্পানিটি চুক্তি বাতিল করে উল্টো কর্মীদের নামে সৌদি আরবে মামলা দিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন।

এরপর দীর্ঘদিন ধরে সেই দেশের জেলে বন্দি থাকেনে তারা। পরবর্তীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ফিরে আসেন সবাই। দেশে আসার পরে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেসের অফিসে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে ভুক্তভোগীকে উল্টো হত্যার হুমকি দেন। এরপর বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেন।

মামলায় আবুল হাসান বাদী হলেও তার মামলায় স্বাক্ষীরাও ভুক্তভোগী। মামলায় ম্যাক্স ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি মানবপাচার অপরাধ ট্রাইবুন্যাল গ্রহণ করেছেন। মামলা নম্বর ২১/২৪। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

;

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেয়া নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মাগুরা ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর ও ছবি প্রকাশ হয়েছে। এনিয়ে কোন কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বিএনএমের সদস্য আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তিনি কী এখনও সে দলের সদস্য পদে আছেন কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। পার্টির কাছে নমিনেশন চাওয়ার সময় তিনি পার্টির সদস্য। এর আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন নেওয়ার সময় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সেভাবেই আমরা তাকে মনোনয়ন দিয়েছি, তিনি নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। 

নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বন্ধু রাষ্ট্র বলতে ইন্ডিয়াকে বলেছে। বলেছে তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছ, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে তোমাদের সাহায্য চাই। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। তাদের সাহায্য চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া। নির্বাচন ছাড়া বিদেশি রাষ্ট্র এসে ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;