রাজশাহীর পদ্মার চরে সবুজের সমারোহ



হাসান আদিব, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
পদ্মার চরে চাষাবাদ / ছবি: বার্তা২৪

পদ্মার চরে চাষাবাদ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শুকিয়ে গেছে রাজশাহীর পদ্মা নদীর পানি। জেগে উঠেছে চর। বেশিরভাগ এলাকায় ধু-ধু বালুচর হলেও কোথাও কোথাও জমেছে পলি মাটি। আর সেই উর্বর পলি মাটিতে চাষাবাদে নেমে পড়েছেন অনেকেই। ফলে চরে এখন সবুজের সমারোহ। চাষ হওয়া ফসলের মধ্যে ডালের চাষ সবচেয়ে বেশি। এছাড়া অন্যান্য রবি ফসলও চাষ হচ্ছে সেখানে। অনেকে আবার রোপণ করেছেন বোরো ধান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, রাজশাহীর পদ্মার চরে চাষযোগ্য জমি রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৫৬৬ হেক্টর। রাজশাহী মহানগরী ছাড়াও বাঘা, চারঘাট, পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় রয়েছে এসব জমি। নদীর বাম পাশে গ্রাম ঘেঁষে এসব জমিতেই প্রতিবছর চাষাবাদ হয়। কম খরচে উৎপাদনও ভাল হয়। তাই ভূমিহীনরা সেই চরে প্রতিবছরই চাষাবাদ করেন।

এদিকে রাজশাহী নগরীর বিনোদনের কেন্দ্র পদ্মা নদীর পাড়। বিকেল হলেই দেখা যায় বিনোদন প্রেমীদের ভিড়। এখানে অনেকেই আসেন সময় কাটাতে। কেউ আসেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউবা আসেন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।

বর্ষা মৌসুমে পদ্মার এক রূপ, আর শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার আরেক রূপ দেখা যায়। এখন পদ্মার পাড় সবুজে ছেয়ে গেছে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য যেন চারিদিকে খেলা করছে। সবুজের সমারোহ এই পদ্মার পাড় এখন সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/24/1553437483324.jpg

সরেজমিনে পদ্মার পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ধু-ধু বালুচরে এখন কেবলই সবুজের সমারোহ। রাজশাহীর লালনশাহ্ মুক্তমঞ্চের নিচ থেকে শুরু করে পশ্চিমে টি-বাঁধ এলাকা পর্যন্ত শত শত হেক্টর জমিতে এবার ডাল ফসল মশুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানো হয়েছে। যেদিকে যতদূর চোখ যায় চারিদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। মরা পদ্মার বুক চিরে যেন ফল ও ফসলের বিপ্লব ঘটেছে।

পদ্মার পাড়ে ঘুরতে গিয়ে তৌসিফ কাইয়ুম বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন বিকেলে আসি পদ্মার পাড়ে ঘুরতে। নিজেকে সতেজ করার জন্য আমরা এখানে আড্ডা দেই। এখন ফসলের কারণে চারিদিক সবুজের ঢেকে যাওয়ায় পরিবেশ আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠেছে।’

আরেক দর্শনার্থী আলম হোসেন বলেন, ‘পদ্মার চর আশার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। শস্য-শ্যামলে পরিপূর্ণতা পেয়েছে পদ্মার পাড়।’

মুক্তমঞ্চ এলাকার কৃষক এজাজুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চরে সাধারণত মসুর ও খেসারি ডাল ভাল হয়। তাই তিনি এবার প্রায় তিন বিঘা জমিতে ডাল চাষ করেছেন। এসব চাষ করতে বেশি খরচ হয় না। এবার প্রায় চরেই মসুর ও খেসারি ডালের চাষ হয়েছে। এসব ফসল চাষের জন্য সেচেরও প্রয়োজন হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে চরের জমিতে সরিষা ও গমের ভাল ফলন হতো। গম চাষ করতে হলে পানি ব্যবস্থা রাখতে হয়, যা আমাদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল। সে কারণে অনেকেই গম চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে এখন খুব অল্প সংখ্যক কৃষক আছে যারা গম চাষ করেন। এছাড়া ভুট্টা এবং বাদামও চাষ করেছেন কেউ কেউ।’

আরেক চাষি আবুল কালাম জানান, বিভিন্ন এলাকার চরে শ্যালো মেশিন বসিয়ে ধানেরও চাষাবাদ চলছে। তিনি নিজেও নগরীর আলুপট্টি এলাকার নিচে পদ্মার চরে ধান চাষ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গেল বছরের চেয়ে এবার ফলন ভাল হবে। কেন না, এবার যে জমিতে ধানের চারা লাগানো হয়েছে সেখানকার মাটি ছিল কর্দমাক্ত। তাই সার প্রয়োগ ছাড়াই ধানের গাছ বেড়ে উঠছে দ্রুত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/24/1553437504680.jpg

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, ‘চরে কৃষকরা যেন ভালভাবে চাষাবাদ করতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা প্রযুক্তিগত এবং তথ্য বিষয়ে সার্বিকভাবে সহাযোগিতা করছি। কোন মৌসুমে কি ধরনের ফসল চাষ করতে হয়, কীভাবে বীজ বপন ও চারার পরিচর্যা করতে হয় সে বিষয়গুলোও কৃষকদের জানাই। এর ফলে কৃষকরা ভালভাবে চাষাবাদ করতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চরে নানা ধরনের ফসল চাষ হলেও এবার ডালের চাষ অনেক বেশি হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো বিপদ-আপদ দেখা দেয়নি। চরে মসুর, খেসারি, মাস কালাইয়ের চাষাবাদ বেশি হলেও এখন ধান, ভুট্টা, বাদাম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটোল, টমেটো, আলু, মরিচ, পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসলেরও চাষাবাদ হয়। উর্বর পলি মাটির কারণে উৎপাদনও হয় ভাল। এতে চাষিরা লাভবান হন।’

   

বিদেশি অস্ত্র ও ২ লাখ ইয়াবাসহ র‍্যাবের হাতে আটক ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
বিদেশি অস্ত্র ও ২ লাখ ইয়াবাসহ র‍্যাবের হাতে আটক ৪

বিদেশি অস্ত্র ও ২ লাখ ইয়াবাসহ র‍্যাবের হাতে আটক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease

২ লাখ ইয়াবাসহ ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু নামক এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে র‍্যাব। এছাড়াও পৃথক অভিযানে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ইয়াবা, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে বলে জানায় র‍্যাব।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকার ইমান হোসেনের হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু (২১), হোয়াইক্যংয়ের উনছিপ্রাং এলাকার মো. হোসাইনের ছেলে আবুল কাশেম (৩৮), খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা নওশের মোড়লের ছেলে নুরুজ্জামান (২৮), খুলনা সদর উপজেলার আবুল কালামের ছেলে সাকির আহাম্মদ সাগর (২৬)।

সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকায় অস্ত্রের বিনিময়ে মাদকের চালান লেনদেনের জন্য কিছু লোকজন অবস্থান করছে, এমন খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে চার-পাঁচজন সন্দেহজনক লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি গুলি পাওয়া যায়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে, তারা তিনজনই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। তারা খুলনা থেকে অস্ত্রের চালান এনে টেকনাফের বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছে তুলে দিত। চক্রটি নগদ টাকার পাশাপাশি মাদকের বিনিময়েও এসব অস্ত্র লেনদেন করত।

এদিকে সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পাওয়া যায়। পরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ইয়াবাসহ ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালুকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্য মতে, তার বসত ঘরে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাবের দাবি, গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু জানায় যে, পার্শ্ববর্তী দেশ হতে ক্রয়কৃত মাদকের মূল্য বাবদ নগদ অর্থ প্রদান এবং কখনো কখনো হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতো। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম একজন সন্ত্রাসী। সে তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য দেশি-বিদেশি অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, চাঁদা আদায় ও পরিকল্পিত হামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। একই সাথে সে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছিল।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত নুরুজ্জামান ও সাকির আহাম্মদ সাগর দু’জনই অস্ত্র ব্যবসায়ী। তারা খুলনা থেকে দেশী, বিদেশি অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে কক্সবাজারের হোয়াইক্যং এর উনচিপ্রাং এলাকায় এসে সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতো।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেেও জানানো হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে।

;

সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়দের প্রতিবাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
মহাসড়ক অবরোধ

মহাসড়ক অবরোধ

  • Font increase
  • Font Decrease

জৈন্তাপুরে পিকআপ-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহতের ঘটনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৯মার্চ) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জৈন্তিয়া গেট এলাকায় চিকনাগুল ইউনিয়নবাসীর ডাকে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান- সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক মৃত্যুর আরেক নাম, আমরা আর মরতে চাই না। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি যতগুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে জড়িত সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া অদক্ষ লাইসেন্সবিহীন চালকদের যানবাহন চালানো বন্ধ করতে হবে এবং চোরাই পণ্যবাহী নম্বরহীন ডিআই পিকআপ গাড়ি অনির্দিষ্টকালের জন্য তামাবিল মহাসড়কে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।

অবরোধরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম ও গোয়াইনঘাট কোম্পানীগঞ্জের সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহিদুর রহমান। এ সময় তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধে আশ্বাস দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম, জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) রফিক আহমেদ, সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকারী কমিটির সভাপতি আব্দুছ সালাম, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, চিকনাগুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ মার্চ) তামাবিল মহাসড়কের সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি দুই’র সামনে গরুবোঝাই পিকআপ ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হন।

;

নরসিংদীর মনোহরদীতে আগুনে ৯ দোকান পুড়ে ছাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নরসিংদী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে ৯ দোকান পুড়ে ছাই। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের দাবি এতে অন্তত এক কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে মনোহরদীর হাতিরদিয়া বাজারে জুতা পট্টিতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে হাতিরদিয়া বাজারে জুতা পট্টিতে একটি দোকানে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। মুহুর্তেই পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে একে একে পুড়ে গেছে বাজারের ৯টি দোকান। আর এ আগুন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোতে থাকা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মনোহরদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনের সূত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা হবে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার বেশি হবে।

;

জলাবদ্ধতা নিরসনে কাউন্সিলরদের মাঠে থাকার নির্দেশনা মেয়রের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

  • Font increase
  • Font Decrease

জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহিত বিভিন্ন উদ্যোগ ও বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য কাউন্সিলরদেরকে মাঠে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দ্বিতীয় পরিষদের ২৪তম করপোরেশন সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই নির্দেশনা দেন।

শেখ তাপস বলেন, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যাগুলোর একটি জলাবদ্ধতা। দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার, খাল-নালা-নর্দমা হতে বর্জ্য অপসারণসহ ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। অনেক জায়গায় এখনো কাজ চলমান রয়েছে এবং নতুন করে অনেক জায়গায় কাজ হবে। এই সামষ্টিক কার্যক্রমে আপনাদের নিরলস কর্ম প্রয়াস আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকে। তাই, জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মাঠ পর্যায়ে আপনাদের তদারকি আরও বাড়াতে হবে। সেসব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অতীতের চাইতে আরও বেশি মাঠে থাকতে হবে।

হাঁটার পথ, রাস্তার ঢাল ও নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রমে কোনো ধরনের গাফিলতি ও অবহেলা যেন থাকে সে বিষয়ে কাউন্সিলরদেরকে তদারকি জোরদার করার নির্দেশনা দিয়ে শেখ তাপস বলেন, আমাদের হাঁটার পথ ও রাস্তার মধ্যে নর্দমার যে মুখগুলো থাকে সেগুলো সংস্কার এবং ঢালগুলো ঠিক করতে ইতোমধ্যে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে দ্রুত পানি নিষ্কাশিত হতে পারে। এছাড়াও আমাদের নর্দমাগুলোর পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হবে। সেগুলোর দরপত্র কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নর্দমাগুলো যেন সঠিকভাবে পরিষ্কার হয়, এ কার্যক্রমে যেন কোনো ধরনের গাফিলতি-অবহেলা না থাকে সেগুলোও আপনারা যথাযথভাবে তদারকি করবেন বলে আশা করি।

দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও কাউন্সিলরবৃন্দ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

করপোরেশন সভায় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।

;