ঘোষণার ৯ বছরেও হয়নি প্রতিবন্ধীদের খেলার মাঠ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার নয় বছর পরও আজও তৈরি হয়নি জাতীয় সংসদ ভবনের সীমানাপ্রাচীরের ভেতর প্রতিবন্ধীদের খেলার মাঠ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাঠটি প্রতিবন্ধীদের জন্য উন্মুক্ত করতে আরও এক বছর সময় লাগবে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার কথা চিন্তা করে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্মুক্ত একটি খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তাঁর সেই ঘোষণা বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সংসদ ভবনের সীমানাপ্রাচীরের ভেতর প্রায় চার একর জায়গায় মাঠ করার ঘোষণা দিয়ে সাইনবোর্ড দেয়। তবে আজ অবধি সেই মাঠ উন্মুক্ত হয়নি।
সরেজমিনে মিরপুর রোডের আসাদগেট এলাকার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির একটি সাইনবোর্ড। তাতে লেখা রয়েছে ‘শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত খেলার মাঠ।’
ঘোষণায় খেলার মাঠ থাকলেও বাস্তবে যে জঙ্গল সেটা কাছে গেলেই বোঝা যায়। পুরো এলাকায় ঘাস লতাপাতায় ভরে গেছে। কতদিন যে এই এলাকার ঘাস কাটা হয়নি সেটিও আন্দাজ করা কঠিন।
মাঠটি সংসদ চত্বরের ভেতরে হওয়ায় এখানে অনুমতি ছাড়া কিছুই করা যাবে না। তাই স্পিকারের অনুমতির জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ৮-৯ মাস আগে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে খেলার অবকাঠামো করার অনুমতি পেয়েছে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।
সংসদ চত্বরে কিছু করা মানেই স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়টি চলে আসে। তাই সংসদের মূল নকশার ভেতর কিছু করতে গেলে সেখানেও অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। কাজেই স্পিকারের অনুমতির পর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সেখান থেকেও অনুমতি নিয়েছে। তবে শর্ত দিয়েছে, যা কিছু করার সেটা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ডিটেইল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) নির্দেশনা অনুযায়ী করতে হবে।
এরপর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রকৌশল বিভাগ বিষয়টি নিয়ে একটি ডিজাইন করে সেটা আবার স্পিকারের অনুমতির জন্য পাঠাবে। সেখান থেকে পুনরায় অনুমতি পেলে মাঠটি তৈরির কাজে যাবে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মাঠটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকা জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ হামিম হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মাঠটি যেহেতু সংসদের, তাই তাদের অনুমতি ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারি না। আমাদের সর্বশেষ অগ্রগতি হচ্ছে, আমরা ৮-৯ মাস আগে সংসদের অনুমতি পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। আশা করি, চলতি বছরেই মাঠটি উন্মুক্ত করতে পারব।’