আ,লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পায়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা / ছবি: সংগৃহীত

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দেশের মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পায়, দেশের মানুষ সেবা পায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই এ দেশের মানুষ সত্যিকারভাবে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে। আর গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি র্অজনের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ এই আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।’

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করার অভিযোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগকে শেষ করবার জন্য আইয়ুব খান চেষ্টা করেছে, ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ চেষ্টা করেছে, খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শিকল বাংলার মাটিতে জনগণের সাথে এমনভাবে প্রোথিত যে, এটাকে কখনো শেষ করতে পারেনি। বরং আজকে এটা প্রমাণ হয়েছে যে, যে দল জনগণের কথা বলে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে গড়ে ওঠে সেই দলই হচ্ছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল সৃষ্টি হয় তাদের গোড়ায় কোনো মাটি থাকে না। ক্ষমতা ছাড়া তাদের কোনো অস্তিত্বই থাকে না।’

পঁচাত্তরে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সেসময় ঘটনাচক্রে দুই বোনের বেঁচে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ছয়টা বছর দেশে আসতে পারিনি, দেশে আসতে দেওয়া হয়নি আমাদের। কারণ, পঁচাত্তরের পরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল শুরু হয়। সংবিধানকে লঙ্ঘন করে, হত্যা, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়েছিল। আমাদের সামরিক বাহিনীর হাজার হাজার অফিসার, মুক্তিযুদ্ধ অফিসার তো কেউই নাই, এছাড়া কর্মরত হাজার হাজর অফিসার সবাইকেই প্রায় মেরে ফেলে। হাজার হাজার সৈনিককে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে জানতই না, ছুটিতে ছিল, কিন্তু তাদেরকেও হত্যা করা হয়। আর প্রতিরাতে ছিল কারফিউ। কারও স্বাধীনভাবে চলার অধিকার ছিল না। এই কারফিউ কিন্তু বহুবছর চলেছে। পঁচাত্তরের পর দশটা বছর খালি কারফিউ দিয়েই দেশটা চালানো হয়েছে। মানুষের স্বাধীনভাবে চলার পথ বন্ধ ছিল। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়। একটা পর্যায়ে কতগুলো দল করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে মানুষের ভোটের অধিকার ছিল না, কথা বলার সুযোগ ছিল না, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। এভাবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/27/1553700932028.jpg

সে সময়ের ‘অবৈধ সরকারগুলোর’ সৃষ্ট একশ্রেণির ‘চাটুকার’ দলের সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্যটা হল যখন দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল তখন অনেকেরই ভাল লাগেনি, যখন মার্শাল ল আসল, যখন কথায় কথায় ডান্ডার বাড়ি খেত তখন হুজুর হুজুর ডেকে খুবই যা কিছু করছে বেশ বেশ, এই বলে তোষামদি চাটুকারের দল সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই চাটুকারের দলই মিলিটারি ডিকটেটরদের পদলেহন করত। আর তাদের আমলটাকেই তারা খুব ভালভাবে দেখে। কারণ তখন যারা স্বাধীনতা বিরোধী তারাই ক্ষমতায়। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হয়। অনেকে গণতন্ত্র রক্ষার নামে এদের সাথে হাতও মেলায়।
মার্শাল ল অর্ডিনেন্স দিয়ে যারা দেশ চালায়, প্রতিরাতে যেখানে কারফিউ থাকে, যতই রাজনৈতিক দল করতে দিক না কেন সে দেশে আবার গণতন্ত্র কীভাবে থাকে? আর গণতান্ত্রিক ধারাটা বা চলে কীভাবে সেটাই হচ্ছে আমার প্রশ্ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন বাংলাদেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম ওইদিন বিএনপির অর্থমন্ত্রী বলেছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাল না। তাহলে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ভিক্ষা করা যাবে না। এইছিল তাদের মানসিকতা। কারণ তারা তো বাংলাদেশের স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করেনি। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি তারা আনবে কেন? ভিখারি জাতি হিসেবে থাকুক সেটাই তারা চেয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সময়কার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই দশ বছরে আজকে বাংলোদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে আমরা যখন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ জয় করেছি, সমুদ্রসীমার সমস্যা সমাধান করেছি, আমাদের স্থলসীমনা চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি, এর সবকাজের ভিত্তি কিন্তু আমাদের জাতির পিতা ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এমনকি এখন আমাদের নেভীর সাবমেরিনও আছে। অর্থাৎ মহাকাশ থেকে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত আমাদের বিচরণ আমরা করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। যারা এর আগে ক্ষমতায় ছিল তারা করে নাই, করতে চায়ও নাই। বাংলাদেশ মর্যাদাকর আসনে অধিষ্ঠিত হোক এটাও তারা চায় না। ভোগবিলাসে গা ভাসিয়ে যে হানাদার বাহিনীকে আমরা পরাজিত করেছিলাম, তাদেরই পদলেহন করেছে। এটাই তারা পেরেছে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলকু সেটা চায়নি।’

এ সময় জাতির পিতার স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সংগঠনকে শক্তিশালী ও উন্নত করার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন, এস এম কামাল হোসেন, অধ্যাপক মেরিনা জাহান।

   

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরমে পথিক যখন ক্লান্ত প্রায় তখন লাল আভায় চাহনিতে প্রশান্তির ছায়া যেন বিমোহিত প্রাণজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সবুজের বুকে লালের আভায় ছেয়ে গেছে চারিদিক।

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রীষ্মকালীন গাছের মধ্যে অন্যতম হলো কৃষ্ণচূড়ার গাছ। কৃষ্ণচূড়া তার লাল রঙ্গা ফুলের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম একটি ফুলগাছ।

কৃষ্ণচূড়ার ফুল তার সৌন্দর্যের বার্তা জানান দেয় যখন প্রকৃতি প্রখর উত্তাপ ছড়ায়। আপন মহিমায় নিজেকে মেলে ধরে প্রকৃতিতে। যে কারো মন-প্রাণের আনে প্রশান্তি। আর চোখে এনে দেয় মুগ্ধতা।


নওগাঁ সদরে মুক্তির মোড় জেলা পার্কের সামনে দেখা যায়  কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে ডালে লাল ফুল ঝুলছে, ঝিরিঝিরি পাতার মাঝে  ফুল। আর সেই ফুল মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর প্রকৃতির প্রেমীদের। শস্য-শ্যামলা আর সবুজে ঘেরা বাংলার রূপ, এই রূপকে আরও নতুন করে রূপ দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার ছড়িয়ে দেওয়া সৌন্দর্য। এছাড়াও পার-নওগাঁ, বক্তারপুর, চাকল এসব স্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছের দেখা মিলে।

কথা হয় পথচারী আব্দুল মুমিনের সাথে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, চারিদিকে তাপদহ চলছে, গরমে অশান্তি লাগলেও এরমধ্যে কিছু সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে যেমন কৃষ্ণচূড়ার ফুল। দূর থেকে সবুজের মধ্যে লাল দেখা যা। আবার কাছে আসলে লাল রঙের ছড়াছড়িতে আরো বেশি ভালো লাগে। রাস্তার চারিদিকে বেশি বেশি কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে আরো বেশি ভালো লাগবে।


শাহিন নামের এক রিকশা চালক বলেন, শহরের মধ্যেই আমি রিকশা চালাই তাই অনেকবার দেখা মিলে কৃষ্ণচূড়া গাছের। যতবার কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখতে পাই তাকিয়ে থাকি কারণ আলাদা সৌন্দর্য দেখতে পাই কৃষ্ণচূড়া ফুলের মধ্যে।

গরমের প্রচন্ড আভায় লুকায়িত সৌন্দর্য ফুটে তুলে কৃষ্ণচূড়ার ফুল। গাছ যেমন পথিককে ছায়া দেয় আবার অক্সিজেনও দেয় তাই বেশি বেশি লাছ লাগানো প্রয়োজন। রাস্তার পাশে নানারকম ঔষধি গাছ থেকে শুরু করে সৌন্দর্য বর্ধনে চারা রোপণ করা জরুরি। রোদের সময় প্রকৃতি যেমন ঠান্ডা থাকবে তেমনি প্রাকৃতিক ভারসাম্যও রক্ষা পাবে, বলছিলেন পথচারিরা।

;

সব ইস্যু হারিয়ে বিএনপি এখন পাগলের প্রলাপ বকছে: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত বয়কটের নামে বিএনপি পাকিস্তানের চিন্তা চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বলে মন্তব্য করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি সব ইস্যু হারিয়ে এখন পাগলের প্রলাপ বকছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে বহুমুখী পাটপণ্যের একক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, পাটের মত পরিবেশবান্ধব পণ্য আর একটিও নেই। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। পরিবেশবান্ধব সোনালি আশ পাটকে কীভাবে সার্বজনীনভাবে ব্যবহার করা যায়, রফতানি বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। জেডিপিসি ২৮২ রকম বহুমুখী পাটের পণ্য উৎপাদন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পাট শিল্পের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে পাট শিল্পের সরকারি, বেসরকারি ধারাকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাট শিল্পের বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানো হবে আরও ৮ গুণ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পাটভিত্তিক জিও টেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারে আকার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাট পণ্য রফতানিকারক এবং সংশ্লিষ্টদের পাটের উৎপাদন থেকে শুরু করে পাটপণ্য নিয়ে গবেষণা আরও বেশি বাড়াতে হবে।

বিশ্বের মধ্যে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এই শিল্পকে আমরা অনেক দূর নিতে পারব। পাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও কর্মচাঞ্চল্য হয়ে মেধাকে গবেষণার মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে এ শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেডিপিসির আয়োজনে এ মেলায় ৩০টি স্টল বসেছে। যেখানে ১০০টির অধিক পাটের আকর্ষণীয় পণ্য তুলে ধরা হয়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট সংলগ্ন সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে তিন দিনব্যাপী এ মেলা।

আগামীতে ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা২৪.কমকে জানান জেডিপিসির প্রযুক্তি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

মেলা উদ্বোধন শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী স্টল পরিদর্শন করেন এবং সবাইকে পাট মেলায় অংশগ্রহণ করে পাট পণ্য ব্যবহার ও কেনার আহ্বান জানান।

;

উপজেলা নির্বাচন

পরশুরামে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিনা ভোটেই নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছেন ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরামের জনগণ। অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্বাচন বিধি অনুযায়ী তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। তবে এবার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখের আগমন ঘটতে যাচ্ছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে এ উপজেলায় ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে ৮ মে ভোটগ্রহণ করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যহারের শেষ দিনে এ দুই উপজেলায় বৈধ ১৯ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পরশুরামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার নতুন চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। এছাড়া এ উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিনা ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সামছুন নাহার পাপিয়া পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এর আগেই দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

এর পেছনে কারণ আছে কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও মনোনয়ন জমা দিয়ে দলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। তবে কারো কোনো চাপে এ সিদ্ধান্ত নেইনি।

এছাড়া একই দিন বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইকরামুল করিম মজুমদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুর রসুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম রিটু এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিলুফা ইয়াসমিন মজুমদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এ উপজেলায় সবশেষ নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধি ভোট ছাড়া জয় পেয়েছেন। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কোনোটাতেই ভোট হয়নি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চে পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোট হয়নি। ওই নির্বাচনেও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা জয় পান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

;

জাহাজ ভাঙা শিল্পকে নিরাপদ করার আহ্বান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পকে আরো নিরাপদ করার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।

বার্তায় বাংলাদেশের শ্রমিকের কর্মপরিবেশ আন্তর্জাতিক মানের করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি হংকং কনভেনশন মেনে চলতে বলা হয়।

বার্তায় বলা হয়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ জাহাজা ভাঙা শিল্পের হাব হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এর মান সন্তোষজনক নয়। এটি নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নিরাপদ করতে হবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার অনুশীলনও করতে হবে।

বার্তায় আরো আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আসুন, আমরা একসঙ্গে সবুজ ভবিষ্যত গড়ার জন্য জাহাজ ভাঙা শিল্পকে নিরাপদ হিসেবে তুলি।

 

;