দুই ভাইয়ের খোঁজে এফআর টাওয়ারের সামনে বোন
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত এফআর টাওয়ারের ৯ তলায় একটি অফিসে সাথী বেগমের দুই চাচাতো ভাই খালেক (২৭) ও মেহেদী (২৮) পিয়নের কাজ করত। আগুন লাগার ২০ মিনিট পরও দুই ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন সাথী বেগম। এর পর থেকে আর খোঁজ পাচ্ছে না দুই ভাইয়ের; ফোনে বার বার কল দিলেও বন্ধ পাচ্ছেন।
তাই দুই ভাইয়ের সন্ধান হাসপাতালেগুলোতে না পেয়ে ভবনটির সামনে বিলাপ করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বানানীর এফআর টাওয়ারের সামনে সাথী বেগমের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাথী বেগম বলেন, আমার দুই ভাই এই ভবনের ৯-১১ তলা পর্যন্ত একটি অফিসে পিয়নের কাজ করত। আমি মাঝেমধ্যে আমার দুই ভাইয়ের সঙ্গে এই বিল্ডিংয়ের নিচে এসে কথা বলতাম চা খাইতাম। কিন্তু আজ আমার দুই ভাইয়ের খোঁজ পাচ্ছি না। দুইজনের মোবাইলে বার বার ফোন দিচ্ছি কিন্তু বন্ধ পাচ্ছি। আগুন লাগার ২০ মিনিট পরেও তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
সাংবাদিকদের এই কথাগুলো যখন বলতেছিলে তখনই স্বজনদের খুঁজে না পাওয়ার বেদনায় বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন তিনি।
সাথী বলেন, আপনেরা কেউ আমার দুই ভাইয়ের খোঁজ এনে দেন। আমরা তার তরতাজা দুই ভাই কই গেলো। কালকেও আমি মোহাম্মদপুর থেকে আইসা আমার দুই ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে গেছি।
সাথীসহ তার দুই ভাই মেহেদী ও খালেকের বাড়ি ফরিদপুর বলে তিনি জানান। আর তারা ঢাকায় মোহাম্মদপুর এলাকয় থাকেন।
উল্লেখ, বনানী এফআর টাওয়ারের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন ও ৭০ জন আহত হয়েছেন।