২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে চায় সরকার
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘সরকার চাইছে ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে শত ভাগ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে। উল্লিখিত পরিমাণ কর্মসংস্থান তৈরি হলে জাতীয় পর্যায়ে দরিদ্র্যের হার ১৬ ভাগে নেমে আসবে। কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকার কারিগরিভাবে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলবে। সরকার ফাস্ট ট্রাক প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।’
রোববার (৩১ মার্চ) আন্তার্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আবাসিক প্রতিনিধি র্যাগনার গুডমুন্ডসন এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যে সাত শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সাত দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আট দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। বর্তমানে মাথাপিছু আয় দাড়িয়েছে এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার।‘
মুস্তফা কামাল বলেন, `নানা বাধা-বিঘ্ন সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগুচ্ছে, তা প্রশংসাযোগ্য বাংলাদেশের ডেট টু জিডিপি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম কম। ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।‘
মন্ত্রী আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাজস্ব খাত সংস্কারে অটোমেশনের বিষয়ে আইএমএফের সাথে এনবিআরের প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ভ্যাট আইনে একাধিক স্তর থাকবে, এক্ষেত্রে সিঙ্গেল রেটের পরিবর্তে সহনীয় মাল্টিপল রেট থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না। ভ্যাট প্রদানে ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস বা ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেতা পণ্য কিনলে, মূল্য ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পরিশোধ করবে। যা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভ্যাটের দৈনিক ও মাসিক হিসাব পাওয়া যাবে।’
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে সামাজিক সূচক উন্নত হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তবে রাজস্ব ঘাটতি এখনও মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে।
বাজেট প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও উন্নত করার মাধ্যমে বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে আইএমএফ। অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আইএমএফ এর সহযোগিতা অব্যহত রাখার আহ্বান জানান।