আত্মসমর্পণ করবে ৮০ জন সর্বহারা সদস্য



হাসান আদিব, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
চরমপন্থি নেতা আব্দুর রাজ্জার বাবু, ছবি: সংগৃহীত

চরমপন্থি নেতা আব্দুর রাজ্জার বাবু, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জঙ্গি ‘বাংলা ভাই’ এর এলাকাখ্যাত রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ৮০ জন সর্বহারা সদস্য আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। উত্তরাঞ্চলের দুর্ধর্ষ চরমপন্থিনেতা আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আর্ট বাবুর নেতৃত্বে চরমপন্থিরা আত্মসর্মপন করবে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ।

সূত্রমতে, রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলা ও কুষ্টিয়ার জেলার চরমপন্থি সদস্য ও মাদকব্যবসায়ীরা ওইদিন আত্মসমর্পণ করবেন। সরকার ঘোষিত আত্মসমর্পণের সুযোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পুলিশ সূত্রমতে, আগামী ৯ এপ্রিল পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারীসহ (বিপিএম, পিপিএম) পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ সোমবার (০১ এপ্রিল) বার্তা২৪.কম-কে জানান, ৯ এপ্রিল পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগের ১৬ জেলাসহ কুষ্টিয়া জেলার অপরাধীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। সেখানে বাগমারার অপরাধীদের সংখ্যাই বেশি। বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানোয় তারা পুলিশের ভয়ে তটস্থ। তাই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাই।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ জানান, সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও পুলিশের বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে অপরাধীরা নিজেদের সমর্পণের কথা জানিয়েছেন। অপরাধীরা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করতে পারে, সেভাবে তাদেরকে পুনর্বাসিত করা হবে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘বাংলা ভাইসহ জঙ্গিদের উত্থানের পর রাজশাহীর বাগমারাসহ এ অঞ্চলে যে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তৃতি ঘটেছিল, এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তা প্রশমিত হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীসহ অপরাধীদেরও সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাগমারা থানা সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরাঞ্চলের সর্বহারা গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আর্ট বাবু। তিনি বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চৌকিপাড়া মহল্লার নূরুল হুদার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তবে অবস্থান পরিবর্তন করে বাবু গ্রেফতার এড়িয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

সর্বশেষ চরমপন্থি বাবু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাগমারায় যুবলীগ নেতা চঞ্চল কুমারকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখে। ফলে তিনি কোনোভাবেই আর এলাকায় ফিরতে পারেন নি। পরে তিনি ও তার দলবল আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন।

আত্মসমর্পণ তালিকায় নাম লেখানো বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা এলাকার একজনের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের মোবাইলে কথা হয়। পেশায় ভ্যানচালক ওই ব্যক্তি নাম-পরিচয় প্রকাশ না শর্তে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমাদের নেতা বাবু ভাই, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খারাপ কাজ ছেড়ে দিবো। আমরাও তার সঙ্গে একমত হয়ে ভালো পথে ফিরতে চাই। পরিবার-পরিজন ছেড়ে সবসময় দৌড়ে বেড়ানো, ভয় নিয়ে চলার চেয়ে আত্মসমর্পণ করা অনেক ভালো।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের সিভিল পোশাকের লোকজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভয় দিয়েছেন। আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। তাই আমরা মানুষের মতো মানুষ হয়ে সমাজ ফিরতে চাই। সরকার আমাদের মাফ করে দিয়ে ভালো পথে চলার সুযোগ দেবে। এজন্য আমরা প্রায় সবাই ৯ তারিখ (এপ্রিল) পাবনা স্টেডিয়ামে যাবো। মন্ত্রীর (স্বরাষ্ট্র) কাছে মাফ চাইবো।’

জানতে চাইলে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাগমারা রক্তাক্ত এক জনপদে পরিণত হয়েছিল। এখানে জাহেলিয়াতের যুগের সূচনা করেছিল কিছু জঙ্গি, সন্ত্রাসী। এলাকার সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ও মগজ ধোলাই করে বিপথগামী করেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাগমারাকে শান্ত রাখার জন্য আমি চেষ্টা করে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি গত তিন মেয়াদে বাগমারার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। অশান্ত বাগমারাকে আজকের অবস্থায় আনতে কতটা পরিশ্রম ও ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হয়েছে, সেটা এলাকার মানুষ খুব ভালো করে জানেন। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উন্নয়ন ও শান্তির ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টায় অপরাধীদের আত্মসমর্পণ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। আমার বিশ্বাস-তারা ভুল বুঝতে পেরেছে, তাদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজ ও পরিবারে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে সরকার।’

   

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে মন দিয়ে রেলের জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

তিনি বলেন, রেলের কিছুটা পরিবর্তন সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রেলভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রেলকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অনেক কষ্টে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে অনেক স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। এদেশের মানুষকে ভালোবেসেই তিনি নিজের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমাদের এই দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের মনে, চেতনায়, মননে ও মানসিকতায় বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের বুকে লেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা যদি সবাই মিলে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই আমাদের মহান স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মদান অর্থবহ হবে।

এর আগে অফিস কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করেন। ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়নধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অলোচনা করেন তারা।

;

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গভবনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশকে অন্য পথে পরিচালিত করতে চেয়েছিল কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাৎকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধিদল ৩ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।

প্রতিনিধিদল ১৯৭১ এর গণহত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য স্মারকপত্র প্রদান করেন।

তাঁরা সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করবে মর্মে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশন সাহাবুদ্দিন কমিশন নামে পরিচিত।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস. এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

;

নোয়াখালীতে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক প্রবাসী তরুণের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক প্রবাসী তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়। নিহত আনোয়ার হোসেন অনিক (২২) কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জগদানন্দ গ্রামের মাজারুল হক মন্টু মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের টোকিও ফুডের পাশে হায়দার ইলেক্ট্রনিক্সের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে বন্ধুদের ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়ি থেকে জেলা শহর মাইজদীতে আসেন অনিক। সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টোকিও ফুডের পাশে হায়দার ইলেক্ট্রনিক্সের সামনে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনিক গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের বাবা মন্টু মিয়া জানান, অনিক ২ মাস আগে বিয়ে করে। সে আবুধাবি প্রবাসী ছিল। ২মাস ৫দিন আগে সে দেশে ফিরে আসে। আসরের নামাজের পর বাড়ি থেকে সে বের হয়। আমাকে বলেছিল তাদের একটা ইফতার পার্টি আছে। ইফতার পার্টি শেষে বাড়ি ফিরবে। ইফতারের সময় একটি নম্বর থেকে আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে জানানো হয় অনিককে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। হাসপাতালে এসে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গেছে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

ট্রেনের অগ্রিম ৩৩ হাজার টিকিট পেতে ২ কোটিবার চেষ্টা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য পঞ্চম দিনে ৩২ হাজার ৫৯১টি টিকিটের বিপরীতে প্রায় ২ কোটিবার চেষ্টা করেছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আগামী ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়।

রেলসেবা অ্যাপ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সহজ ডট কমের প্রধান নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ জানান, আগামী ৭ এপ্রিলে ট্রেনে যাত্রীদের জন্য ঢাকা থেকে বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৫৯১টি টিকিট, এর মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

তিনি জানান, এদিন সকাল ৮ থেকে সাড়ে ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট ছাড়ার পিক আওয়ারে চেষ্টা হয়েছে ৮২ লাখ। আর বেলা ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলের টিকিট ছাড়ার পিক আওয়ারে ৭৪ লাখবার চেষ্টা করেছেন যাত্রীরা।

রেল কর্তৃপক্ষ জানান, এবার ঈদে পশ্চিমাঞ্চলের জন্য আজকের রেগুলার টিকিট ১৫ হাজার ৯৩৩টি। আর পূর্বাঞ্চলের জন্য নির্ধারিত টিকিট ১৬ হাজার ১০০টি। তবে ঈদ উপলক্ষে ৭ তারিখ যে স্পেশাল ট্রেন যাবে, সেখানে আরও ৫০০ টিকিট যোগ হবে দুই অঞ্চলের জন্য।

রেলওয়ে বলছে, এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ৷ এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে ৷ ঈদযাত্রাকে সুশৃংখল রাখার জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৮ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ। এই ঈদে ৩৩ হাজার ৫০০টি আন্তনগর ট্রেনের টিকিট প্রতিদিন অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে ঈদের সময় আটটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ এবং ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৭ মার্চ।

;