বাংলা নববর্ষ ১৪২৬

'এসো হে বৈশাখ' এর প্রস্তুতি চারুকলায়



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি, ছবি: বার্তা২৪

মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কদিন বাদেই পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ কে স্বাগত জানানো হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও সব অমঙ্গল-অকল্যাণকে দূর করে কল্যাণ কামনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে এখন। হাতি, পেঁচা, ঈগল, ময়ূরের প্রতিকৃতি ও পরিবেশ প্রতিবেশের নানা অনুষঙ্গ নিয়েই এই শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ বিভাগের প্রধান ফটক থেকে শুরু হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554184694657.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, পুরোদমে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। এবারের আয়োজনের দায়িত্ব পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বিদায়ী ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ওপর। তাদের সঙ্গে রয়েছে ২২,২৩,২৪,২৫,২৬ ও ২৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা যায়, কেউ কেউ মুখোশ আঁকছেন, কেউ পাখা কিংবা মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত। দিন রাত চলছে এই আঁকাবুকি ও মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554184704956.jpg

মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক কমিটির সদস্য ও চারুকলা অনুষদের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারিয়া খানম তুলি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। এছাড়া শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের ওপর সব দায়িত্ব পড়েছে। পহেলা বৈশাখের আগের দিন পর্যন্ত চলবে কর্মযজ্ঞ। প্রত্যাশা বিগত বছরের তুলনায় এবারের আয়োজন ব্যতিক্রম ও সফল হবে।'

একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী তানিয়া রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'প্রতি বছর আমরা বর্ষবরণ উৎসব করে থাকি। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেই। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এবারে আছি আয়োজক হিসেবে। এটা অত্যন্ত আনন্দের। খুব ভালো একটা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবারের বৈশাখ উদযাপন হবে বলে প্রত্যাশা করছি।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554184715182.jpg

পহেলা বৈশাখের আয়োজনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ ধরা হয় পান্তা ইলিশকে। যদিও এখন ইলিশের প্রজনন কাল‌। নদীতে ইলিশ শিকার রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে গত মার্চের শুরু থেকে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত।

এরপরও কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ী আইন অমান্য করে ইলিশ শিকার ও বাজারজাত করছে। রাজধানীর অন্যতম প্রধান মাছের বাজার কাওরান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, অল্প সংখ্যক ইলিশ বাজারে এসেছে। তবে দাম চড়া।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554184725587.jpg

কাওরান বাজারের ইলিশ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা নিষেধ। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কয়েকটি পয়েন্টে জেলেরা ইলিশ ধরছে। এজন্য ইলিশের স্বল্পতা রয়েছে। সামনে পহেলা বৈশাখ তাই দাম কিছুটা বেশি।

আরেকজন বিক্রেতা জানালেন, যেসব ইলিশ ৮০০ টাকা ছিল বন্ধের মৌসুমে সেটা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। আর বৈশাখে তার দাম ২ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবারের বৈশাখে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554184736609.jpg

মোস্তাফিজুর রহমান পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এসেছেন ইলিশ কিনতে। তিনি বলেন, 'ইলিশের দাম দ্বিগুণ। বাজারে ইলিশের পরিমাণ কম হওয়ায় বাড়তি দাম। পরের সপ্তাহে আসলে দাম আরও বাড়তে পারে তাই এখন এসেছি। আগে কিনে রাখলে এখন বাড়তি টাকা যেত না।'

তবে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অনেকে আগেভাগেই ইলিশ কিনে রেখেছেন বলে বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন নোয়াখালীর এক জেলে রাকিব হাসান। তিনি বলেন, 'এখন ইলিশ ধরছি না। ইলিশ ধরা বন্ধের আগে স্যারেরা ম্যামরা অনেক ইলিশ কিনেছেন অর্ডার দিয়ে। আমি তাদেরকে পৌঁছে দিয়েছি। এখন দু একজন চুরি করে ধরছে। দাম তো বেশি হবেই।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/02/1554185000540.jpg

মার্চ এপ্রিল ইলিশের প্রজনন কাল হওয়ায় বিগত বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। একইভাবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বৈশাখ উদযাপনে ইলিশকে না বলা হয়। এ বছরেও ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

   

পালিয়ে আসা ২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের ফেরত নিল মিয়ানমার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের মধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫ টায় কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাঁটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তরের সময় মিয়ানমার থেকে বুধবার আসা প্রতিনিধি ছাড়াও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের পদস্থ কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।

তবে এবারে হস্তান্তর কার্যক্রম স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশ ছিল সংরক্ষিত। এমনকি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেননি কোনো কর্মকর্তা।

ভোর সাড়ে ৪ টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে বহনকারী ১০টি বাস রওনা দেয় কক্সবাজারের উদ্দেশে। যেখানে ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমেগ্রেশনের ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্যও আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে এর আগে ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষামান মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতওয়ে বন্দরের উদ্দেশে।

মূলত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমায় আসে মিয়ানমারের চিন ডুইন জাহাজ। চিন ডুইন জাহাজ থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘কর্ণফুলী টাগ-১’ জাহাজে করে কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের। একই প্রক্রিয়ায় এসব জাহাজের স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিরে গেলেন মিয়ানমারের এই ২৮৮ নাগরিক।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ামারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরো ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুলে।

আরো ৩৩০ জন বিজিপি সদস্যসহ অন্যান্যদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিল। সর্বমোট ৬১৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ।

;

বার্তা২৪.কম-কে ড. এম. মুশতাক হোসেন

‘তাপদাহে সাধারণের জন্য উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য শুধুমাত্র উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসা। বলেছেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।

বুধবার বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। চলমান তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের অসহায়ত্বের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মতো সেবাদানকারী সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষের কর্তব্যের কথা তুলে ধরে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের তো কষ্ট হচ্ছেই। তারা বাইরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। খোলা আকাশের নীচে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। তাদের জন্য উপদেশের পরিবর্তে করণীয় হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ ও কমিউনিটি-যাঁরা সরকারের হয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য পানি, ছায়া ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। আর যাঁরা বেসরকারি মালিকের অধীনে কাজ করছেন, মালিককেই তা এনশিওর করতে হবে।’

‘মালিক যদি একা না পারেন তবে কয়েকজন মালিক মিলে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ছায়া ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। খাবারের ব্যবস্থাও করতে হবে, কেননা দাবদাহে তো শুধু পানিশূন্য হয় না পুষ্টিঘাটতিও তৈরি হয়। ভারী খাবার না হোক, চিড়া-বিস্কুট, স্যালাইন পানি ইত্যাদির আয়োজন কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। মনে রাখতে হবে যাদের সক্ষমতা আছে, উপদেশে তাদের কাজ হবে, তারা তো চাইলে ঘরেও থাকতে পারছে, কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ বা যাদের কাজ না করলে ভাত জুটবে না তাদের জন্য সহায়তামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। এসব বাদ দিয়ে শুধু উপদেশ দিলে কাজ হবে না,’ বলেন ড. হোসেন।

দাবদাহে খোদ ঢাকাতেই মানুষের মৃত্যুকে ‘খুবই দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এত প্রচারণার পরেও তাদের ঘরে বসে থাকলে চলছে না। সুতরাং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের সহায়তায় সমাজের সক্ষমদের এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ বক্সগুলোকে সহায়তা কার্যক্রমের কেন্দ্র করা যেতে পারে। ট্রাফিক পুলিশ যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে।’

রাজধানী ঢাকার দূষণ ও বায়ু নিম্নমানের প্রসঙ্গ টেনে জনস্বাস্থ্যের জন্য সৃষ্ট সংকটে করণীয় বিষয়ে ড.  মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সকালে রাস্তার পাশের মাটিতে ও গাছে পানি দিতে হবে, যাতে তারা পানি শুষে নিয়ে অক্সিজেনটা দিতে পারে। পানিটা দিতে হবে যখন রোদ থাকে না তখন, অন্য সময় দিলে তো তা বাষ্প হয়ে যাবে।’

চলমান এই তাপপ্রবাহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব তাতে কোন সন্দেহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো বৈজ্ঞানিক তথ্য। এবারের এই তাপপ্রবাহ পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাতের ভয়াবহতাকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।’  

চলমান তাপদাহের ফলে কি ধরণের রোগবালাই বাড়তে পারে, বা রোগতত্ত্ব বিভাগে সাম্প্রতিকতম মূল্যায়ন কি? -এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই তাপপ্রবাহে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে নানা পুরনো জটিল রোগে যাঁরা আক্রান্ত তাদেরও ঝুঁকি বাড়বে। শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এসব অজানা বিষয় নয়, সবই জানা বিষয়।’

কোভিড বা অন্য সংক্রামক রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারচেয়েও বড় সমস্যা হবে শ্বাসতন্ত্র ও পানিবাহিত রোগ নিয়ে। ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাও বাড়বে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।’         

জলবায়ু তহবিল ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে তো সরকারের রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকার থাকতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের শিকার তো সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও বয়স্কদের ওপর বেশি পড়ে। তাদের সহায়তা করতে হবে। যেমন ধরুন তাপপ্রবাহ নিয়ে করণীয় প্রচার করাই যথেষ্ট নয়। উপকূলে লবনাক্ততা প্রকট। আমরা দেখি সহযোগিতা জায়গা মত পৌছায় না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। তাপদাহ-সহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব মোকাবেলায় সরাসরি কবলিত মানুষদের জন্য যদি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো তথা কমিউনিটিকে আমরা এনগেজ করতে পারি-তাতে দ্রুত সুফল আসবে।’

সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপি) এর ভিত্তিতে অনেক কর্মসূচি থাকলেও জনস্বাস্থের জন্য তা কেন নয়?-এ নিয়েও কথা বলেন এই বিশেষজ্ঞ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘বিদেশিদের মুখাপেক্ষী হয়ে এটা করা যাবে না। আমরা যদি শিক্ষা ও স্বাস্থের মত খাতে বেশি টাকা খরচ করি তবে ততো রিটার্ন আসবে। যদিও সরকার তো নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সেভাবে ওন করে না। যদি করতো তবে তারা চিন্তা করতেন তাহলে ভাবতেন শহরটাকে ক্লিন রাখা যায়, এতে ওষুধের খরচ বেঁচে যেত।’

‘উন্নয়ন অগ্রাধিকার নেওয়ার পূর্বে চিন্তা করা উচিত, কিছু অর্থ খরচ করে যদি শহরের বাতাসটা পরিষ্কার রাখা যায়, পানি ও মাটিটা নিরাপদ রাখা যায়-তবে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ওষুধ কিনতে হবে না। যেহেতু আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবারসব্যবস্থা এখনও করতে পারিনি। বাংলাদেশের মানুষ আজ চিকিৎসার জন্য ভিটেমাটি বিক্রি করে উদ্বাস্তু হয়ে যাচ্ছে। সামিগ্রক বিবেচনায় এটিও সম্পর্কিত। সুতরাং পলিটিক্যাল কমিটমেন্টটা আসতে হবে। নাগরিকদের পকেট থেকে টাকাটা গেলেও তা জাতীয়ভাবেলঅপচয়ই হচ্ছে। যদি রোগ প্রতিরোধের জন্য কাজগুলো করা যেত তবে অনেকগুন উৎপাদনশীলতা বাড়তো। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে তারা জাতীয় আয়ে আরও বেশি অবদান রাখতে পারতো,’ বলেন ড. হোসেন।

সম্পাদনা: মাহমুদ মেনন, এডিটর-অ্যাট্-লার্জ, বার্তা২৪.কম

;

মেহেরপুরে কমছে না তাপমাত্রা, বাড়ছে রোদের তেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যার প্রভাবে অতিষ্ঠ এই জনপদের জনজীবন। বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের আয় রোজগারে।

সকাল থেকে শুরু হচ্ছে রোদের তেজ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ আর গরমের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। গরম সহ্য করতে না পেরে গাছের ছায়ায় বসে শীতল হওয়ার চেষ্টা করছেন ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। আবার গরমের ক্লান্তি নিয়ে ইজিবাইকেই ঘুমিয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। দিনের সর্বোচ্চ সময়টুকু ইজিবাইক চালাতে না পারায় আয় রোজগার কমে যাচ্ছে এসব খেটে খাওয়া মানুষের।

এদিকে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে ঘর থেকে বেরও হলেও স্বস্তি নেই কর্মজীবী মানুষের। চলার পথে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া আর শরবত পান করে শীতল হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালের সূর্যের তেজই বলে দেয় গরম আর রোদের তীব্রতা কমেনি। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় দিনের সর্বোচ্চ ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

;

২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে পাঠাল বিজিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ফলে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্যসহ ২৮৮ জনকে সে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সদস্য, চারজন সেনা সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ মোট ২৮৮ জনকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আজ সকালে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে।

তিনি আরও বলেন, আগে জাহাজে করে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।’

;