গণসংহতি আন্দোলনের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে সচিবালয়ের পশ্চিম গেটের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। এ সময় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলটি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দিকে এগোতে গেলে তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এরপর বাধার সম্মুখীন হয়ে সংগঠনের নেতারা ওই জায়গায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ করে গণসংহতি আন্দোলন।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন তৈরি করা হয়েছে গ্যাস কিংবা বিদ্যুতের মূল্য ও যে সমস্ত জ্বালানি বিষয় আছে সেগুলোর দাম যেন সরকার ইচ্ছে মতো বৃদ্ধি করতে না পারে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন একটি নিয়ন্ত্রণ কমিশন। দেশে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য সরকার কিংবা তার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করলে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা না করেই দাম বাড়ায়। যা ন্যায় সঙ্গত কিনা সেটাও বিবেচনা করে না। তারা দু’পক্ষের বক্তব্য শুনবে তারপর শুনানি করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করার যৌক্তিক কি যৌক্তিক না। কিন্তু তারা তা করছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আইনে আছে বিশেষ কারণ ছাড়া এক বছরে দুইবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না। কিন্তু এই সরকার বিগত ১০ বছরে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম উপর্যুপরি বৃদ্ধি করে চলেছে। আপনারা জানেন বাংলাদেশ বিদ্যুতের বড় অংশ গ্যাস থেকে তৈরি করা হয়। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি মানেই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি।’
সাকি বলেন, ‘নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের বিরুদ্ধে সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি কীভাবে একের পর এক তারা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এইভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির তৎপরতা লুটেরাজদের স্বার্থে দেশের মানুষকে বিপদে ফেলার তৎপরতা জনগণ মানবে না। আমরা জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে সরকারের এই অপতৎপরতা রুখে দেব।’
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।