স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, পুরোনো ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, পুরোনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, খুবই সীমিত বাজেট নিয়ে দেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এমনকি অনেক দেশের তুলনায় কম বাজেটে নিয়েও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত দক্ষিণ এশিয়ায় স্বীকৃত অবস্থানে পৌঁছেছে। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য আগামী বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের হার বাড়ানো প্রয়োজন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এখন সারাদেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সাফল্যের সাথে জনগণকে সেবা দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রতিটি ক্লিনিক থেকে প্রায় ১০০ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে। ৩০ রকমের ওষুধ এবং পরিবার পরিকল্পনার অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।

‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকল ধরনের কোটি কোটি মানুষ সহজে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন, যা দেশে সমতাভিত্তিক সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবং এই সফলতা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। বর্তমান সরকার পুরোনো কমিউনিটি ক্লিনিক নতুন করে সংস্কার করে আরও রোগীবান্ধব হিসাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে ডেলিভারি রুমসহ, পৃথক বিশ্রামাগর, কাউন্সেলিং রুম থাকবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, শহরের দরিদ্ররা যেন সহজে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পায় সেজন্য শহরের হাসপাতালগুলোতে ‘বিশেষ কর্নার’ খোলার চিন্তা করছে সরকার। এ ধরনের কর্নার খোলা হলে দরিদ্র শহুরের মানুষেরা দ্রুত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

   

পালিয়ে আসা ২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের ফেরত নিল মিয়ানমার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের মধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫ টায় কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাঁটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তরের সময় মিয়ানমার থেকে বুধবার আসা প্রতিনিধি ছাড়াও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের পদস্থ কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।

তবে এবারে হস্তান্তর কার্যক্রম স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশ ছিল সংরক্ষিত। এমনকি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেননি কোনো কর্মকর্তা।

ভোর সাড়ে ৪ টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে বহনকারী ১০টি বাস রওনা দেয় কক্সবাজারের উদ্দেশে। যেখানে ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমেগ্রেশনের ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্যও আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে এর আগে ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষামান মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতওয়ে বন্দরের উদ্দেশে।

মূলত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমায় আসে মিয়ানমারের চিন ডুইন জাহাজ। চিন ডুইন জাহাজ থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘কর্ণফুলী টাগ-১’ জাহাজে করে কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের। একই প্রক্রিয়ায় এসব জাহাজের স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিরে গেলেন মিয়ানমারের এই ২৮৮ নাগরিক।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ামারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরো ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুলে।

আরো ৩৩০ জন বিজিপি সদস্যসহ অন্যান্যদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিল। সর্বমোট ৬১৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ।

;

বার্তা২৪.কম-কে ড. এম. মুশতাক হোসেন

‘তাপদাহে সাধারণের জন্য উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য শুধুমাত্র উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসা। বলেছেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।

বুধবার বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। চলমান তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের অসহায়ত্বের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মতো সেবাদানকারী সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষের কর্তব্যের কথা তুলে ধরে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের তো কষ্ট হচ্ছেই। তারা বাইরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। খোলা আকাশের নীচে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। তাদের জন্য উপদেশের পরিবর্তে করণীয় হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ ও কমিউনিটি-যাঁরা সরকারের হয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য পানি, ছায়া ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। আর যাঁরা বেসরকারি মালিকের অধীনে কাজ করছেন, মালিককেই তা এনশিওর করতে হবে।’

‘মালিক যদি একা না পারেন তবে কয়েকজন মালিক মিলে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ছায়া ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। খাবারের ব্যবস্থাও করতে হবে, কেননা দাবদাহে তো শুধু পানিশূন্য হয় না পুষ্টিঘাটতিও তৈরি হয়। ভারী খাবার না হোক, চিড়া-বিস্কুট, স্যালাইন পানি ইত্যাদির আয়োজন কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। মনে রাখতে হবে যাদের সক্ষমতা আছে, উপদেশে তাদের কাজ হবে, তারা তো চাইলে ঘরেও থাকতে পারছে, কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ বা যাদের কাজ না করলে ভাত জুটবে না তাদের জন্য সহায়তামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। এসব বাদ দিয়ে শুধু উপদেশ দিলে কাজ হবে না,’ বলেন ড. হোসেন।

দাবদাহে খোদ ঢাকাতেই মানুষের মৃত্যুকে ‘খুবই দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এত প্রচারণার পরেও তাদের ঘরে বসে থাকলে চলছে না। সুতরাং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের সহায়তায় সমাজের সক্ষমদের এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ বক্সগুলোকে সহায়তা কার্যক্রমের কেন্দ্র করা যেতে পারে। ট্রাফিক পুলিশ যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে।’

রাজধানী ঢাকার দূষণ ও বায়ু নিম্নমানের প্রসঙ্গ টেনে জনস্বাস্থ্যের জন্য সৃষ্ট সংকটে করণীয় বিষয়ে ড.  মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সকালে রাস্তার পাশের মাটিতে ও গাছে পানি দিতে হবে, যাতে তারা পানি শুষে নিয়ে অক্সিজেনটা দিতে পারে। পানিটা দিতে হবে যখন রোদ থাকে না তখন, অন্য সময় দিলে তো তা বাষ্প হয়ে যাবে।’

চলমান এই তাপপ্রবাহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব তাতে কোন সন্দেহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো বৈজ্ঞানিক তথ্য। এবারের এই তাপপ্রবাহ পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাতের ভয়াবহতাকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।’  

চলমান তাপদাহের ফলে কি ধরণের রোগবালাই বাড়তে পারে, বা রোগতত্ত্ব বিভাগে সাম্প্রতিকতম মূল্যায়ন কি? -এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই তাপপ্রবাহে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে নানা পুরনো জটিল রোগে যাঁরা আক্রান্ত তাদেরও ঝুঁকি বাড়বে। শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এসব অজানা বিষয় নয়, সবই জানা বিষয়।’

কোভিড বা অন্য সংক্রামক রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারচেয়েও বড় সমস্যা হবে শ্বাসতন্ত্র ও পানিবাহিত রোগ নিয়ে। ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাও বাড়বে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।’         

জলবায়ু তহবিল ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে তো সরকারের রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকার থাকতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের শিকার তো সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও বয়স্কদের ওপর বেশি পড়ে। তাদের সহায়তা করতে হবে। যেমন ধরুন তাপপ্রবাহ নিয়ে করণীয় প্রচার করাই যথেষ্ট নয়। উপকূলে লবনাক্ততা প্রকট। আমরা দেখি সহযোগিতা জায়গা মত পৌছায় না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। তাপদাহ-সহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব মোকাবেলায় সরাসরি কবলিত মানুষদের জন্য যদি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো তথা কমিউনিটিকে আমরা এনগেজ করতে পারি-তাতে দ্রুত সুফল আসবে।’

সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপি) এর ভিত্তিতে অনেক কর্মসূচি থাকলেও জনস্বাস্থের জন্য তা কেন নয়?-এ নিয়েও কথা বলেন এই বিশেষজ্ঞ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘বিদেশিদের মুখাপেক্ষী হয়ে এটা করা যাবে না। আমরা যদি শিক্ষা ও স্বাস্থের মত খাতে বেশি টাকা খরচ করি তবে ততো রিটার্ন আসবে। যদিও সরকার তো নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সেভাবে ওন করে না। যদি করতো তবে তারা চিন্তা করতেন তাহলে ভাবতেন শহরটাকে ক্লিন রাখা যায়, এতে ওষুধের খরচ বেঁচে যেত।’

‘উন্নয়ন অগ্রাধিকার নেওয়ার পূর্বে চিন্তা করা উচিত, কিছু অর্থ খরচ করে যদি শহরের বাতাসটা পরিষ্কার রাখা যায়, পানি ও মাটিটা নিরাপদ রাখা যায়-তবে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ওষুধ কিনতে হবে না। যেহেতু আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবারসব্যবস্থা এখনও করতে পারিনি। বাংলাদেশের মানুষ আজ চিকিৎসার জন্য ভিটেমাটি বিক্রি করে উদ্বাস্তু হয়ে যাচ্ছে। সামিগ্রক বিবেচনায় এটিও সম্পর্কিত। সুতরাং পলিটিক্যাল কমিটমেন্টটা আসতে হবে। নাগরিকদের পকেট থেকে টাকাটা গেলেও তা জাতীয়ভাবেলঅপচয়ই হচ্ছে। যদি রোগ প্রতিরোধের জন্য কাজগুলো করা যেত তবে অনেকগুন উৎপাদনশীলতা বাড়তো। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে তারা জাতীয় আয়ে আরও বেশি অবদান রাখতে পারতো,’ বলেন ড. হোসেন।

সম্পাদনা: মাহমুদ মেনন, এডিটর-অ্যাট্-লার্জ, বার্তা২৪.কম

;

মেহেরপুরে কমছে না তাপমাত্রা, বাড়ছে রোদের তেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যার প্রভাবে অতিষ্ঠ এই জনপদের জনজীবন। বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের আয় রোজগারে।

সকাল থেকে শুরু হচ্ছে রোদের তেজ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ আর গরমের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। গরম সহ্য করতে না পেরে গাছের ছায়ায় বসে শীতল হওয়ার চেষ্টা করছেন ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। আবার গরমের ক্লান্তি নিয়ে ইজিবাইকেই ঘুমিয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। দিনের সর্বোচ্চ সময়টুকু ইজিবাইক চালাতে না পারায় আয় রোজগার কমে যাচ্ছে এসব খেটে খাওয়া মানুষের।

এদিকে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে ঘর থেকে বেরও হলেও স্বস্তি নেই কর্মজীবী মানুষের। চলার পথে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া আর শরবত পান করে শীতল হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালের সূর্যের তেজই বলে দেয় গরম আর রোদের তীব্রতা কমেনি। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় দিনের সর্বোচ্চ ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

;

২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে পাঠাল বিজিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের মধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫ টায় কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তরের সময় মিয়ানমার থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) আসা প্রতিনিধি ছাড়াও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের পদস্থ কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।

তবে এবারে হস্তান্তর কার্যক্রম স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশ ছিল সংরক্ষিত। এমনকি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেননি কোনো কর্মকর্তা।

ভোর সাড়ে ৪ টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে বহনকারী ১০টি বাস রওনা দেয় কক্সবাজারের উদ্দেশে। যেখানে ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমিগ্রেশনের ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্যও আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে এর আগে ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষমাণ মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতওয়ে বন্দরের উদ্দেশে।

মূলত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমায় আসে মিয়ানমারের চিন ডুইন জাহাজ। চিন ডুইন জাহাজ থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘কর্ণফুলী টাগ-১’ জাহাজে করে কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের। একই প্রক্রিয়ায় এসব জাহাজের স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিরে গেলেন মিয়ানমারের এই ২৮৮ নাগরিক।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ানমারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরো ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুলে।

আরো ৩৩০ জন বিজিপি সদস্যসহ অন্যান্যদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিল। সর্বমোট ৬১৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ।

;