ফুটবলের প্রতি আমাদের আন্তরিকতা আছে: প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পরিবারের ফুটবল প্রেমের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আমি এমন একটা পরিবার থেকে এসেছি, আমার দাদা ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তিনিও ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই কামাল-জামাল সবাই ফুটবল খেলেছে। আমার নাতি (জয়ের মেয়ে) ফুটবল খেলে, পুতুলের ছেলেমেয়েরা ফুটবল খেলে। এমনকি রেহেনার ছেলে (ববি) তার ছেলে মেয়ে তারাও ফুটবল খেলে। মোটামুটি আমাদের পরিবারের সবাই এই ফুটবল খেলার সাথে জড়িত। কাজেই এই খেলার প্রতি আমাদের আলাদা একটা আন্তরিকতা আছে।'
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্টেডিয়ামে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বছরব্যাপী চলা এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন।
ফুটবলকে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'ফুটবল আমাদের দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। মাঠে ঘাটে একেবারে গ্রাম পর্যায়ে এ খেলা চলে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এই ফুটবল দল গঠিত হয়। তাছাড়া আমরা চাই আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করবে, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা করবে, তাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, মন ভালো থাকবে, তারা ডিসিপ্লিন শিখবে, এবং আগামী দিনে এই বাংলাদেশকে তারা নেতৃত্ব দেবে।'
ফুটবলের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই খেলা যাতে আরও উন্নত হয় আমরা সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সমগ্র বাংলাদেশে প্রত্যেক উপজেলায় আমরা একটা করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিচ্ছি। যাতে করে সব সময় আমাদের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা প্র্যাকটিস করতে পারে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটা উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে গেছে। আরও হবে।'
আজকে যারা খেলাধুলায় অত্যন্ত পারদর্শিতা দেখাচ্ছে, আগামী দিনে তারা আন্তর্জাতিকভাবে আরও সম্মান আমাদের দেশের জন্য বয়ে আনবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট বিশ্বে ইতিহাস তৈরি করেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ বিশ্বে একটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমার মনে হয় বিশ্বের আর কোন দেশের এই ইতিহাস নাই। সেটা হল এই টুর্নামেন্টে, ২০১৮ সালের বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে ৬৫ হাজার ৭০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০। বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে ৬৫ হাজার ৭৯০ জন। আর খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫। এত বিশাল সংখ্যায় টুর্নামেন্ট খেলা কিংবা এত খেলোয়াড় আমার মনে হয় পৃথিবীর আর কোন দেশ কখনো আয়োজন করতে পারে নাই।'
ভবিষ্যতে এই প্রতিযোগিতা যাতে সুন্দরভাবে টিকে থাকে তার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী খেলায় বিজয়ী, রানার্সআপ, তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দল ও দলের খেলোয়াড়দের এবং এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সব খেলোয়াড়কে অভিনন্দন জানান। পরে তিনি চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে টুর্নামেন্টের ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন।