যাত্রাবাড়ী থানার ওসিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও গণধর্ষণের মামলা করেছেন এক নারী (২৭)। সংশ্লিষ্ট ট্রাইবুনালের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুই সন্তানের জননী ও তালাকপ্রাপ্ত এক নারী এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়া, এসআই আ.স.ম. মাহমুদুল হাসান ও মোছা. লাইজু, শফিকুল ইসলাম রনি, সাগর, শামীম, আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসেন, হানিফ, স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশি।
মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অপহরণ এবং ৯(৩) ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগে করা হলেও অভিযোগের বর্ণনায় ওসি ও দুই এসআই -এর বিরুদ্ধে অপহরণ এবং গণধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই।
তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করার জন্য ‘ঘুষ দাবি’ এবং ঘুষ না পেয়ে বাদীকে ‘পতিতা’ বলে আদালতে চালান দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদী তালাকপ্রাপ্ত ও দুই সন্তানের জননী হওয়ায় অভাব-অনটনে দিন কাটে। গত ১২ মার্চ আসামি শফিকুল ইসলাম রনি বাদীকে অনলাইনে থ্রি পিস ও শাড়ি কেনাবেচার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে। সেই মোতাবেক আসামি ফারজানা আক্তার শশি ও বিলকিস আক্তার তাকে তাদের করাতিটোলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। এরপর তাদের সহযোগিতায় বাড়ির মালিকের ছেলে আসামি স্বপন তাকে ধর্ষণ করেন।
অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
বাদী সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে রেজাউল করিম নামে একজন মানবাধিকার কর্মীর মাধ্যমে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করতে যান। খবর পেয়ে তারা শশি ও শিলাকে ১১ পিস ইয়াবাসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর থানায় অভিযুক্ত পুলিশরা মামলার জন্য বাদীর কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ চায়। বাদী তা দিতে অস্বীকার করলে গত ১৮ মার্চ তাকে পতিতা সাজিয়ে আসামি শিলা ও শশিসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা তাদের আদালতে পাঠায়।