দেশব্যাপী বিআরটিএ’র ৫টি অফিসসহ দুদকের ৭ অভিযান
ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান, লাইসেন্স নবায়ন, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট প্রদান ইত্যাদি নানাবিধ সেবা প্রাপ্তিতে ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেশব্যাপী পাঁচ জেলায় বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের তত্ত্বাবধানে, হবিগঞ্জ, বগুড়া, বরিশাল এবং টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সেবাপ্রদানের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি, অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলা ও বিশৃঙ্খলার প্রমাণ পায় দুদক টীম। রাজধানীর বিআরটিএ, ইকুরিয়া কার্যালয়ে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) নূরুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ, মোটরযান পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, উচ্চমান সহকারী ছগির আকন্দ, অফিস সহকারী মোঃ আজিম ও আনসার সদস্য সৈয়দ হোসেন-কে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, বগুড়া বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চলাকালে ৪ দালালকে সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ নেয়ার সময় স্থানীয় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে।
একই অপরাধে হবিগঞ্জে দুদক টিমের অভিযানে এক দালালকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান ও একজনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অনুরূপভাবে বরিশাল ও টাঙ্গাইলের বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক টীম। এসময় দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালরা পালিয়ে যায়।
অপরদিকে রোগীদের হয়রানি ও যথানিয়মে ঔষধ প্রদান না করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অভিযান চালায় দুদক।
দুদক সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উপসহকারী পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিককে দফতরে অনুপস্থিত পায়। এছাড়া উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে উপস্থিত রোগীরা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।