ডেমরায় শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩
রাজধানীর ডেমরায় শিশু মনির হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুল জলিল হাদী, মোঃ আকরাম ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহা।
বুধবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওয়ারী বিভাগের ডিসি ফরিদ উদ্দিন।
এ সময় আটককৃতদের থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রংয়ের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট ও লাশের পরনে থাকা গ্যাবাডিংয়ের ফুল প্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।
ডিসি ফরিদ উদ্দিন বলেন, 'প্রথমে তাৎক্ষণিকভাবে আব্দুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে তারা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মোঃ আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।'
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, ডেমরার ডগাইর নতুন পাড়ার মোঃ সাইদুল হকের বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১২), মেঝ মেয়ে মুন্নি আক্তার (৯) ও ছোট ছেলে মোঃ মনির হোসেন (৮) সেখানকার নুর-ই মদিনা মাদরাসায় লেখাপড়া করত। প্রতিদিনের মতো রোববার (৭ এপ্রিল) তারা তিনজনেই সকাল সাতটায় মাদরাসায় যায়। মেঝ মেয়ে মুন্নি আক্তার বাসায় এসে বাবাকে বলে, মনিরকে মাদরাসায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি জানান, তখন তিনি তার স্ত্রীসহ মেয়েদেরকে নিয়ে মাদরাসায় এবং আশপাশের সকল জায়গায় ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন। একই রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ভিকটিমের পিতা সাইদুলের মোবাইলে ফোন দিয়ে ছেলের বিনিময়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়।
মুক্তিপণের টাকা ডেমরা থানার মসজিদুল-ই-আয়েশা জামে মসজিদের ভেতরে থাকা জানাজার খাটিয়ার নিচে রেখে আসার কথা বলে। টাকা না দিলে ছেলের লাশ পাবেন বলে হুমকি দেয়।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, 'বিষয়টি পুলিশকে জানালে, পুলিশ সম্ভাব্য সকল জায়গায় উক্ত ছেলেকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায়। পরের দিন মসজিদুল-ই-আয়েশা জামে মসজিদের ২য় তলা থেকে ৩য় তলায় উঠার সিঁড়ির চৌকিতে সিমেন্টের বস্তার ভেতরে রশি দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় শিশু মনিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।