নুসরাতকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি: ঢামেক পরিচালক
ফেনীর সোনাগাজীর দগ্ধ মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা তাকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা বলেছিলেন, কিন্তু নুসরাতের অবস্থা ভালো না থাকায় আমরা সিঙ্গাপুরে নিতে পারিনি।’
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। নুসরাতের মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস।
এছাড়া ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়। প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস ছাড়াও বোর্ডের অন্য সদস্য হলেন একই বিভাগের প্রভাষক ডা.বাবলি।
ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নুসরাতের শরীর এতই পুড়েছে যে, আমরা তাকে রক্ষা করতে পারিনি। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু আমরা তার বায়োলজিক্যাল টেস্টের জন্য কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। এছাড়া তার ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘নুসরাতের কাছ থেকে সংগৃহীত আলামতের পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে কিছুদিন সময় লাগবে। রিপোর্ট পেলে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারব।’
নুসরাতের মরদেহের ময়নাতদন্তকারী ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানান, ‘ডিপ বার্নের কারণেই যে, নুসরাতের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তবে শরীরে আগুন দেওয়ার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না তা জানতে মাইক্রোবায়োলজি এবং ডিএনএর পরীক্ষার জন্য কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম জানান, দগ্ধ অবস্থায় নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়। এছাড়া রক্ত ও লাং ইনফেকশনের কারণে কার্ডিও রেসপাইরেটরি ফেইলিয়র হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।