বৈশাখের আগমনী বার্তায় সারাদেশে চৈত্র সংক্রান্তি
ঢাকা: বাংলা পঞ্জিকায় শেষ দিন ৩০ চৈত্র; যাকে বলা হয় ‘চৈত্র সংক্রান্তি’। শনিবার (১৩ এপ্রিল) শেষে সমাপ্তি ঘটবে ১৪২৫। রোববার (১৪ এপ্রিল) নববার্তা নিয়ে উদিত হবে নববর্ষের সূর্য। শুরু হবে বাংলা বর্ষ ১৪২৬।
৩০ চৈত্র বাংলা মাসের যেমন শেষ দিন, তেমনি ষড়ঋতুর দেশে ঋতুরাজ বসন্তের বিদায়ও এদিন। পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানোর আনন্দ তাই কোটি বাঙালির হৃদয়ে। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে নানা আয়োজন। গণমাধ্যমগুলোতে রয়েছে বছরের শেষ দিনটি উদযাপনের বিশেষ আয়োজন।
পহেলা বৈশাখের বার্তা নিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি পালনে রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে নানা ধরনের অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে বিজু উৎসব, লাঠি খেলা, পাহাড়ি নৃত্য, ঢাকঢোল পরিবেশনা, লোকনৃত্য ও অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। চৈত্র সংক্রান্তি পালনে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মল চত্বরে থাকছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করছে চৈত্র সংক্রান্তি।
একইভাবে সারাদেশে উৎযাপিত হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব। বিভাগীয় শহর ও উপজেলাগুলোতেও রয়েছে লাঠি খেলা, পুথি পাঠ, পুতুলনাচ, পালাগান,গম্ভীরা ও রায়বেশের মতো লোকসংস্কৃতির নানা আয়োজন।
বসন্তকে বিদায় দিয়ে বাঙালি বরণ করবে গ্রীষ্মকাল। চলছে তারও প্রস্তুতি। ঢাবির চারুকলা অনুষদের প্রাঙ্গণে চলছে তার বর্ণিল আয়োজন। ১ বৈশাখ সেখান থেকে বের হবে বিশ্ব ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। চলছে তারও প্রস্তুতি। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরে সবার সুখ, সমৃদ্ধি, সফলতা আর মঙ্গল কামনায় অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক এই শোভাযাত্রা।