সড়কের এই মোড় বিপদজনক!



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, সিলেট, বার্তা২৪.কম
সিলেটের সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক। ছবি: বার্তা২৪.কম

সিলেটের সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট। এই উপজেলার নয়নাভিরাম পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য যাতায়াতের অন্যতম পথ সিলেটের সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সতি গ্রামের একটি মোড় পর্যটক তথা পরিবহন যাত্রীদের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত প্রাণহানিসহ ঘটছে দুর্ঘটনা।

প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর গোয়াইনঘাটে রয়েছে দুটি পাথর কোয়ারি, শতাধিক জলমহাল, ৩টি চা-বাগানসহ ভারত থেকে নেমে আসা পিয়াইন নদীর শাখা-প্রশাখা। দর্শনীয় স্থান হিসেবে প্রকৃতি কন্যা জাফলং, জলপাথরের বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, মায়াবতী ঝরনা, মায়াবন, রাতার গুল, এশিয়ার সমতল ভূমিতে সর্ববৃহৎ জাফলং চা-বাগান, দৃষ্টিনন্দন ফতেহপুর ও গুলনী চা বাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র।

স্থানীয়দের মতে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় সালুটিকর সেতু, পীরের বাজার সেতু, গোয়াইনঘাট সেতু এবং জাফলং সেতু নির্মাণের ফলে পর্যটকরা কোনো প্রকার যানবাহন বদল না করে এক গাড়িতেই বেশিরভাগ স্পট ঘুরে বেড়াতে চান। এজন্য ঘুরতে আসা লোকজনের বেশিরভাগ সিলেট সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কটি বেছে নেন। তবে এই সড়কের সতি নামক স্থানে একটি মোড়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণহানিও ঘটছে এই মোড়ে।

সতি গ্রামের এই মোড়ে পর্যটকবাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশার সঙ্গে মালবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখে এক সেনা সদস্যের পরিবারের দুই সদস্য নিহত হন। সেনা বাহিনীর সার্জেন্ট সুজা আহমেদের স্ত্রী ইলোরা পারভীন (৩৮) ও তার ছেলে সাজিদ আহমেদ (৬) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এরপর সতি গ্রামের মোড়ে স্পিড ব্রেকার ও সড়কের দুই পাশের গাছগাছালি পরিষ্কার করার দাবি ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ মতিন বার্তা২৪.কমকে জানান, সতি গ্রামের এই মোড়ে দুর্ঘটনায় সেনা সদস্যের স্ত্রী-সন্তান নিহত হওয়ার ঘটনার পরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। স্পিড ব্রেকার নির্মাণের দাবি উঠলেও সেটি এখনো পূরণ হয়নি। এমনকি সড়কে দুই পাশের জমির মালিকরা বিভিন্ন প্রকার গাছগাছালি এবং বাঁশ লাগিয়ে দিয়ে ঝোপঝাড় তৈরি করে রেখেছে। সেই ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও স্পিড ব্রেকার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে তারা। এম এ মতিন দ্রুত স্পিড ব্রেকার নির্মাণের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল বার্তা২৪.কমকে জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। তিনি দ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

 

   

বরিশালে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বরিশাল অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে হকার সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন, বরিশাল হকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বরুণ সাহা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বায়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আজিজ খোকন, বরিশাল হকার্স সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সদস্য মামুন,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য শহিদুল শেখ প্রমুখ।


বক্তারা বলেন বরিশালের নাজিরের পোল থেকে সদর রোডের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে তিন শতাধিক হকার সবজি ফল চটপটি ডিম কলাসহ বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে তাদের সংসার চালাত। এদের মধ্যে অনেকেই ২৫-৩০ বছর ধরে এসকল ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্দেশে প্রশাসনের অভিযানে এইসকল ব্যবসায়ী সদর এলাকায় কোথাও দাঁড়াতে পারছেন না। পুনর্বাসন ছাড়া সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এভাবে মানুষের পেটে লাথি মেরে কখনোই শান্তি-শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। বক্তারা অবিলম্বে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শেষে একটি প্রতিনিধি দল বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার বরাবর পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করে।

;

কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও স্যালাইন বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহে কুষ্টিয়ার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্রে ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে। রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রানি হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী ও রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে মাথার ছাতা ও হাতে বিনামূল্যে পানির বোতল এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া শহরের থানা ট্রাফিক মোড়ে দুই শতাধিক শ্রমজীবী ও রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে এসব তুলে দেন 'স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

'স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা' সংগঠনের সভাপতি সাদিক হাসান রহিদের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের উপদেষ্টা, সাংবাদিক এসএম জামালের পরিচালনায় এ কার্যক্রমে অংশ নেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: সোহেল রানা, খেয়া রেস্তোরাঁর জেনারেল ম্যানেজার সাইদুল বারী টুটুলসহ সংগঠনের সদস্য রুম্পা, চমক, সাব্বির, তানজিল, রাহুল ওবাইদুলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমন মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ সোহেল রানা বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত তখন কুষ্টিয়ার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা শহরের মধ্যে রিকশা-ভ্যান চালকদের মাথার ছাতা, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য পানির বোতল ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে করে গরমে খেটে খাওয়া মানুষকে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করার ফলে অনেক সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এভাবেই আরও অনেক সংগঠন এবং বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

সংগঠনটির সভাপতি সাদিক হাসান রহিদ বলেন, এবারে তীব্র তাপদাহে শহরের পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। চিকিৎসকরা এই গরমে বেশি বেশি পানি পান করতে উপদেশ দিচ্ছেন। পথে চলাচলের সময় পানির সংকট চোখে পড়ে। তাই সংগঠন থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের খাবার পানির বোতল, খাবার স্যালাইনসহ চালকদের মাঝে মাথার ছাতা বিতরণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যহত রাখবো বলেও জানান তিনি।

সংঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, তীব্র তাপদাহের কারণে নিজেদের অর্থায়নে আজকে এই আয়োজন করা হয়েছে। গরমে এ মৌসুমে তাপদাহ যতদিন প্রবাহমান থাকবে ততদিন তারা আরও নতুন নতুন উদ্যোগ হাতে নেবেন।

;

রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার সড়ক-নৌপথ অবরোধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে আগামী ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিট।

বান্দরবানে কেএনএফ-বিরোধী যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নির্বিচার গণগ্রেফতার, আটক, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে এ অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি । ওই দিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাঙামাটি জেলাব্যাপী এই অবরোধ চলবে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রেসবার্তায় জানানো হয়েছে।

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও তার সহযোগী গণসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় উক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বান্দরবানে চলমান কেএনএফ-বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী-শিশুসহ গণগ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না।

সভায় অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত অন্যায় ও বেআইনি বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরী ঔষধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ উক্ত অবরোধ সফল করার জন্য বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সকল যান ও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধও জানানো হয়েছে।

;

বৈশাখের তাপদাহের মাঝে দেখা মিলল পৌষের সকালের ঘন কুয়াশা!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে বৈশাখের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও রাতে তীব্র গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এমন তাপদাহের মাঝে বৈশাখের সকালে যেন দেখা মিলল পৌষের সকালের ঘন কুয়াশার। এমন অসময়ে ঘন কুয়াশার মতো আসলে এটি কী কুয়াশা না অন্য কিছু? তা নিয়ে স্থানীয়দের কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া খালপাড়ে এমন দৃশ্যের দেখা মিলে।

এদিন ময়মনসিংহ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

ভোর থেকে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে ছিল পুরো এলাকা। সঙ্গে ছিল মৃদু বাতাসও। ফলে কিছুটা ঠাণ্ডা অনুভূত হয়েছে। কুয়াশা ভেদ করে ঠিক কয়েক মিনিট পরেই সূর্য উঁকি দিয়ে উঠে। আবার কিছুক্ষণের মাঝেই কুয়াশা কেটে যায়। তবে, এর আগে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, আজ ভোরেই ঘুম থেকে জেগেছিলাম। কিন্তু ঘুম থেকে সকালে যে ঘন কুয়াশা দেখেছি, আগে কখনো দেখিনি।

একই এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া বলেন, ভোরে হাঁটতে বের হয়ে ঘন কুয়াশা দেখেছি। ধান গাছের ডগায় কুয়াশা জমতে দেখেছি। তবে, এমন আজব দৃশ্য এর আগে কখনো দেখেনি।

ময়মনসিংহ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। দিন এবং রাতের প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে জলীয় বাষ্পও কুয়াশার মত দেখা যেতে পারে। তবে, আমি বর্তমানে দেশের বাইরে আছি। দেশে থাকলে হয়তো পর্যবেক্ষণ করে আরও কিছু বলা যেতো।

;