মডেল পিএসসি’র খসড়া প্রস্তুত, গ্যাসের দাম ৬ ডলার!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পেট্টোবাংলা ভবন, ছবি: সংগৃহীত

পেট্টোবাংলা ভবন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উৎপাদন ও বন্টন চুক্তির (পিএসসি) সংশোধনীর সারসংক্ষেপ বা খসড়া প্রস্তুত করেছে জ্বালানি বিভাগ। আগামী সপ্তাহে ওই খসড়া মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হতে পারে। খসড়া প্রস্তাবে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম ধরা হয়েছে প্রায় ৬ ডলার। তবে ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে খরচ পড়বে প্রায় ৭ ডলার। পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ৭-১০দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করার রেওয়াজ রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ দ্রুত মডেল পিএসসি সংশোধন করতে চায়। বিশেষ করে দাম বাড়িয়ে বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে চায় সংস্থাটি।

সম্প্রতি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানিতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানান, গ্যাসের দাম কম থাকায় অনেকবার দরপত্র আহ্বান করেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই মডেল পিএসসি-২০১২ সংশোধন করে গ্যাসের দাম আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। বক্তব্যে তিনি গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও একাধিকবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, পিএসসি-২০০৮ প্রস্তুত করার সময় খসড়া উন্মুক্ত করা হয়। তারপর সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হয়। এমনকি উন্মুক্ত গণশুনানি করে চূড়ান্ত করা হয় পিএসসি। ২০১২ সালেও গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। এবার আরও কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে চলছে কার্যক্রম। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, এটা গোপনীয়তার বিষয় নয়, প্রকাশ্য হলে সমালোচনা কম হয়।

জানা গেছে, মিয়ানমার, ভারত ও বাংলাদেশের গ্যাস ব্লকগুলো বঙ্গোপসাগরের একই অঞ্চলে অবস্থিত। মিয়ানমারের তুলনায় অনেক কম দর থাকায় আগ্রহী হচ্ছে না বিদেশি কোম্পানিগুলো। তাই পিএসসি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভা অনুমোদন করলে ভেটিং সাপেক্ষ অনুমোদন করা হবে। তবে যে কোম্পানিই কাজ পাক না কেন, বাপেক্সের ১০ শতাংশ শেয়ার থাকবে। এর প্রধান উদ্দেশ্য বাপেক্সকে গভীর সমুদ্রে শক্তিশালী করা।

জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার মতে, মডেল পিএসসি-২০১২ অনুসারে কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। তখন প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দর ধরা হয়েছিল ৪.১৬ ডলার। আর মিয়ানমারের গ্যাসের দর রয়েছে ৭ ডলার। যে কারণে বিদেশি কোম্পানি আগ্রহী হচ্ছে না।

কিন্তু পেট্রোবাংলার ওই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না অনেকেই। পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক (মাইনিং) মকবুল ইইলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ালেই বিদেশি কোম্পানি আসবে- এটা ঠিক না। তথ্য উন্মুক্ত করাই সবচেয়ে জরুরি। আমাদের সাগরে কী আছে, কী নেই- এটা না জানলে বিদেশি কোম্পানি আগ্রহী হবে কেনো? আমাদের কাছে যে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে সেগুলো পাবলিক করতে হবে অথবা স্বল্প দর দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন বিদেশি কোম্পানি বুঝতে পারবে আমাদের সাগরে অনেক তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখনই বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হবে। না হলে দর বাড়ালেও অথৈ সাগরে সহজে কেউ টাকা ঢালতে চাইবে না। আমাদের কাছে সার্ভের যে সব তথ্য রয়েছে এগুলো বাক্সবন্দি করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া কঠিন হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। আর ভারতের সাথে নিষ্পত্তি হয় ২০১৪ সালে। এতে বঙ্গোপসাগরের এক লাখ ১৯ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমাকে ১১টি অগভীর ও ১৫টি গভীরসহ মোট ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে অগভীর সমুদ্রে মাত্র ৩টি ও গভীর সমুদ্রে ১টি ব্লকে চুক্তি করেছে।’

এদিকে বাংলাদেশের পাশের ব্লক থেকে মিয়ানমার নিয়মিত গ্যাস উত্তোলন করছে। সমুদ্রসীমা জয়ের পর একাধিক দফায় দরপত্র আহ্বান করা হলেও সাড়া মেলেনি। ফলে নতুন করে পিএসসি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, স্থলভাগে গ্যাস দিন দিন ফুরিয়ে যাওয়ায় সংকট মোকাবিলা করতে বেশি দামে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। অভিযোগ আছে, যথাসময়ে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান না করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে।

   

বাইসাইকেলকে রেসিং বাইক ডুকাটিতে রূপ দিলেন রানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
রেসিং বাইক ডুকাটি

রেসিং বাইক ডুকাটি

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের বাইসাইকেলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা রেসিং বাইক ডুকাটিতে রূপ দিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন সোহেল রানা নামের এক যুবক। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পিঠাসূতা গ্রামের বাসিন্দা।

প্রতিদিন এলাকা ও আশপাশ থেকে রানার বাইক দেখতে আসছেন অনেকে। বাইকের সঙ্গে তুলছেন সেলফিও।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রানার বাড়িতে গিয়ে রানা ও তার পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানায়, রানার স্বপ্ন ছিল মোটরসাইকেল কেনার। কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে সে স্বপ্ন বাস্তব করা দুঃসাধ্য। তবে ইচ্ছে থাকলে দুধের স্বাদ ঘোলেও যে মেটানো যায় তারই যেন উদাহারণ রানার ডুকাটি। আর এ কাজে রানের পাশে থেকে সহযোগিতা করেন প্রতিবেশী মাহফুজুল ইসলাম ইকবাল।

সাইকেল থেকে মোটরসাইকেলের অবয়ব তৈরি করতে প্রথমেই লাগানো হয়েছে ইলেকট্রিক বাইকের ব্যাটারি। পরে বিভিন্ন তার ও রড দিয়ে এবং বামির্জ (প্লাস্টিক জাতীয়) দিয়ে ডুকাটি বাইকের বডি তৈরা করা হয়।

সাত হাজার টাকার বাইসাইকেলে আরও প্রায় ২৩ হাজার টাকা খরচ করে রূপ দিয়েছেন মোটরসাইকেলে। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি এই মোটরসাইকেলটি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। তার এমন সৃষ্টিকর্মে খুশি সবাই।

সোহেল রানা জানান, প্রায় দেড় মাস পরিশ্রম করার পর তার নিজ বাইসাইকেলটিকে মোটরবাইকের আদলে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই সময়ে প্রতিদিন কাজের ফাঁকে সময় বাঁচিয়ে মোটরসাইকেল তৈরিতে সময় দেন তিনি। আর এখন এই মোটরবাইক দিয়েই বাড়ি থেকে বিভিন্ন কাজকর্মে যাচ্ছেন, বাজার করেন ঘুরতেও বের হন। মাত্র ১০ টাকার বিদ্যুৎ খরচে ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন বলে জানান।

তিনি আরও জানান, আর্থিকভাবে যদি কোন সাহায্য আসে তাহলে আরও আধুনিক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব।

প্রয়াত স্কুল শিক্ষক দুলাল মিয়ার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তৃতীয় রানা। ভূগোল বিষয়ে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। টিউশনি করার পাশাপাশি বড় ভাইদের ফিশারি ও ব্যবসায় সহযোগিতা করেন রানা।

ছোটবেলা থেকেই উদ্ভাবনী শক্তি প্রকট রানার। ফেলে দেওয়া নানা জিনিস থেকে বানিয়ে ফেলতেন খেলনা। নিজের তৈরি করা খেলনা দিয়েই খেলতেন তিনি। তার দিয়ে রোবট, ল্যাম্বারগিনি গাড়ির আদলে গাড়ি, নৌকা, বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরি করছেন তিনি। যার সব কিছুই শখের বসে।

রানার মা সায়েদা খাতুন বলেন, ছোট বেলা থেকেই রানা পড়া ফাঁকি নিয়ে নানা জিনিস বানাতো। এ কারণে তার বাবা ও আমি বকাঝকা করেছি অনেক। আমার ছেলে সাইকেলকে বাইক বানিয়েছে, মানুষ দেখতে আসছে খুব ভালো লাগছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, অনেক ধরনের প্রতিভা গ্রামে লুকিয়ে থাকে। রানার প্রতিভা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হতে পারে। সরকারি পর্যায় থেকে তাকে সহযোগিতা করলে ভালো কিছু হতে পারে।

;

প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার

প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম আইডির নিরাপত্তার দুর্বলতা ঠিক করে দেওয়া, হ্যাক হওয়া আইডি উদ্ধার করে দেওয়ার নামে নিজেরাই বিভিন্ন ব্যক্তির আইডির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতেন। এরপর আইডিতে থাকা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা। এছাড়াও আইডিতে যুক্ত থাকা প্রবাসীর স্বজনদের কাছে ম্যাসেজ দিয়ে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিল্যান্সার ও ফেসবুক বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে প্রতারণার করে আসছিলেন শামীম আহমেদ জয় (২৩) এবং মোহাম্মদ স্বাধীন আহমেদ (১৮)। তারা আপন দুই ভাই। তাদের টার্গেটে থাকত ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)’র প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি কানাডিয়ান এক প্রবাসীর আইডির নিরাপত্তা ত্রুটি ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন জয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার হাতিয়ে নেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী তার বাবার মাধ্যমে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)’র সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ডেমরা থানার টেংরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ১টি সিপিইউ, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি রাউটার ও ১২টি ভুয়া এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে তার দখলে থাকা প্রায় ৫০০ দেশি-বিদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া যায়।

শামীম আহমেদ জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, একটা সময়ে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে হ্যাক হওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের কাজ করতো শামীম। ফ্রিল্যান্সার থেকে ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণা শুরু করেন সে। শামীম প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ঐ অ্যাকাউন্টের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা পরিচিত ব্যক্তিদের মেসেঞ্জারে “আমার মা স্ট্রোক করেছে। জরুরী দরকার। তিন হাজার ডলার পাঠাও।” এমন সব বার্তা পাঠিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা শুরু করে। হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেও আদায় করা হতো অর্থ। এমনকি হ্যাক করা আইডি থেকে গুরুত্বপূর্ণ-স্পর্শকাতর তথ্য, গোপন ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

এছাড়াও ঐ অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা বন্ধুদের টার্গেট করে মেসেঞ্জারে তাদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অথবা অ্যাকাউন্টের সমস্যা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে একটি মোবাইল নাম্বার অথবা একটি ইমেইল অ্যাড্রেস অ্যাড করার অনুরোধ করতো। ভুক্তভোগী মোবাইল নাম্বারটি অথবা ইমেইল অ্যাড্রেসটি অ্যাড করলে শামীম আহমেদ জয় টার্গেট অ্যাকাউন্টটিতে “ফরগেট পাসওয়ার্ড” অপশনটি ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিত। এরপর একটি লেমিনেটিং মেশিন ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের নামে ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করে ফেসবুকে সাবমিট করে হ্যাককৃত অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিত। এছাড়াও হ্যাককৃত অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে দেয়ায় হুমকি দিয়েও অনেক ভুক্তভোগীকে অর্থ দিতে বাধ্য করত।

ব্লাকমেইল ও প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা আনতেন। এজন্য তারা ব্যবহার করতেন ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র। শামীমের হাতিয়ে নেওয়া ডলার তার ছোট ভাই স্বাধীন আহমেদ নিজের এলাকা থেকে দূরে গিয়ে ঘুরে ঘুরে তুলতেন।

অতিরিক্ত কমিশনার আসাদ আরও বলেন, শামীমকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের প্রায় ৫০০ ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া গেছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই হ্যাকারের টার্গেট। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে শামীম। প্রত্যেক ভূক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বনিম্ব ১০০০ হাজার ডলার নিতো সে।

এক প্রবাসীর ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ওই প্রবাসীর বাবা ডিএমপির উত্তরা পুর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

;

প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সাভারে সিআরপি নার্সিং কলেজের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা আরও এক সপ্তাহ স্কুলগুলো বন্ধ রাখার কথা বলেছি। আমাদের কিছু নির্দেশনা আছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সেগুলো সব জায়গায় দেওয়া হবে। যারা বয়স্ক ও শিশু তারা যেন প্রয়োজন না থাকলে ঘরের বাইরে না যায়।

স্বাস্থ্যখাতে কি কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যেকটা হেলথ কমপ্লেক্সকে, কমিউনিটি ক্লিনিককে উন্নত করতে হবে, যেন সাধারণ মানুষ গ্রামেই চিকিৎসা পায়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিআরপি প্রতিষ্ঠাতা ড. ভ্যালেরি টেইলর, সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর নকল করে ‘জাল সনদ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ’অবিবাহিত সনদ’ তৈরি করে সেই সনদের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আকতার (৪৯)। সে সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা গ্রামের শহিদুল্লাহ সর্দ্দারের ছেলে। বর্তমানে সে হালিশহর থানার আই ব্লকে ভাড়ায় থাকছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে স্টাফ অফিসার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেনের কাছে জনৈক মো. কামারুল হাসানের ‘অবিবাহিত সনদ’ এর মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য আবেদন করে অভিযুক্ত আকতার। 

এরপর শনাক্ত হয় যে, ওই সনদটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের স্বাক্ষর নকল করে তৈরি। প্রতারণার উদ্দেশ্যে সেটির মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, আসামির বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 



;