রোজার আগে খাদ্য নিরাপত্তায় প্রয়োজন সাঁড়াশি অভিযান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিষাক্ত জেলি মেশানো চিংড়ি/ ফাইল ছবি: বার্তা২৪

বিষাক্ত জেলি মেশানো চিংড়ি/ ফাইল ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রোজাকে সামনে রেখে খাদ্যে ভেজাল দানকারী ও মজুদদার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন হিমাগারে পাওয়া যাচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ, নষ্ট ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য সামগ্রী।

প্রশাসনের চোখ এড়াতে রাজধানী ছাড়িয়ে মফস্বলের হিমাগারেও মজুদ করে রাখা হয়েছে বিপুল পরিমাণ খেজুর, মিষ্টি, ফল, মাংস। কম দামে নিম্নমানের খাবারগুলো কিনে রমজানের সময় চড়া দামে বাজারে ছেড়ে উচ্চ মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার মতলবে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র এহেন অপকর্ম করছে।

সম্প্রতি খাদ্য নিরাপত্তা বিনষ্টের এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন অভিযানেও আটক হয়েছে ভেজাল ও নষ্ট খাদ্য সামগ্রীর বিরাট মজুদ।

খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, পবিত্র রমজানের আগে বিভিন্ন ধরনের নিম্ন ও বিপজ্জনক মানের প্রচুর খাদ্য গুদামজাত করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অভিযানে অনেক পণ্য জব্দ করা হচ্ছে।

তবে ভোক্তা অধিকারের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, প্রশাসনের গতানুগতিক অভিযান ভেজালের বন্যা থামাতে পর্যাপ্ত নয়। প্রয়োজন সাঁড়াশি তল্লাশি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বার্তা২৪.কমকে জানায়, সাম্প্রতিক কয়েকটি অভিযানে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা, কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত এগারসিন্দুর, ভৈরব, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিপুল ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী জব্দ করে নষ্ট করা হয়েছে।

বিমানবন্দর এলাকার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সবজি ও মৎস্য হিমাগারে আগে বানানো, পচা ও পুরনো মিষ্টি রেখেছিল উত্তরার নামী প্রতিষ্ঠান আলী বাবা সুইটস। সেই হিমাগারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালায় র‌্যাব। র‌্যাবের অভিযানের সময় হিমাগার থেকে ১৫ মণ খেজুর, ২০০ মণ আমদানি করা পচা মাংস, ১১০ মণ মিষ্টিসহ মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রেন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংকে ১৫ লাখ টাকা, আলী বাবা সুইটসকে ১০ লাখ টাকা ও ইউনিভার্সেল ট্রেডিং হাউজকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আরেক অভিযান পরিচালিত হয়
কিশোরগঞ্জে গত ২৮ এপ্রিল। জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। হিমাগারের ২৪টি প্লাস্টিকের ড্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ ২৪ মণ মিষ্টির সন্ধান পায় তারা। ৬০টি কার্টনে ১৫ মণ মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরও পাওয়া যায়।
২৪ মণ মিষ্টি কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত সবচেয়ে নামি ও সুপরিচিত মিষ্টির দোকান হিসেবে খ্যাত মদন গোপাল সুইটস কেবিনের বলে নিশ্চিত হন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আগামী ৬ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাব্য দিনে মিষ্টির ব্যাপক চাহিদাকে মাথায় রেখে অধিক মুনাফার আশায় এই বিপুল পরিমাণ মিষ্টি মজুদ করা হয় বলে অভিযান পরিচালনাকারী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়।

অন্য আরেক অভিযানেও বিপুল মালামাল জব্দ হয় বন্দর শহর ভৈরবে। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য ভৈরব উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ী ৬০টি কার্টনে ১৫ মণ মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর মজুত রাখেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।

ভেজাল ও নিম্ন মানের খাদ্য বিরোধী অভিযানকালে জব্দ করা মেয়াদোত্তীর্ণ মিষ্টি ড্রাম থেকে মাটিতে ফেলে বালু দিয়ে নষ্ট করা হয়। এছাড়া ১৫ মণ খেজুর আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। এ ঘটনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল সংরক্ষণের দায়ে এগারসিন্দুর কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তবে কিশোরগঞ্জের ভোক্তা অধিকার আন্দোলনের কয়েকজন নেতা বার্তা২৪.কমকে অভিযোগ করেন যে কোল্ড স্টোরেজকে জরিমানা করা হলেও মিষ্টি ও খেজুরের মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে জেলার নাগরিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

যারা ভেজাল দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের ব্যানারে একটি সংগঠন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জেলা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেয়।

কয়েকজন চিকিৎসক ও রসায়নবিদ বার্তা২৪.কমকে এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সাধারণ হিমাগারে কোনো মতেই তৈরি ও পচনশীল খাবার রাখা উচিত নয়। স্বাস্থ্য বিধির দিক দিয়ে এহেন কাজ খুবই বিপজ্জনক, স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।'

তারা বলেন, 'হিমাগারের পরিবেশে সংরক্ষিত খাদ্যে অন্যান্য স্থানের তুলনায় জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি শতগুণ বেশি। তাই জনস্বার্থে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।'

রোজার আগে নষ্ট ও মেয়াদোত্তীর্ণ মিষ্টি, খেজুর ও খাদ্য সামগ্রী মজুদ ও বিপণনকারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ প্রশাসনিক অভিযানের পাশাপাশি র‌্যাবের মাধ্যমে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান চালিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে আসছে নাগরিক সমাজের অধিকার নিয়ে আন্দোলনরত বিভিন্ন সংগঠন। রমজানে হাট-বাজারের খাদ্য নিরাপত্তা ও ভেজাল দূরীকরণে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের কঠোর নির্দেশনা প্রত্যাশা করছেন তারা।

   

থানচিতে ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি উপজেলার সীমান্ত সড়কের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে থানচি সীমান্ত সড়কের ৮ কিলো নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে চারটি ট্রাক থানচি সীমান্ত সড়কের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় নির্মাণ কাজের জন্য ইট রেখে দুর্গম পথ অতিক্রম করে থানচি বাজারে আসছিল। পথে সীমান্ত সড়কের ৮ কিলোমিটার নামক স্থানে পৌঁছালে জঙ্গলের ভেতর থেকে সাতজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ট্রাক লক্ষ্য করে ৬-৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

গুলিতে একটি ট্রাকের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চালকেরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে থানচি বাজারে চলে আসে। এসময় সন্ত্রাসীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ট্রাকের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। তবে কে বা কারা গুলি করেছে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেউ।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রাকে গুলি লাগার খবর পেয়েছি। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

;

নির্বাচনে অনিয়ম হলে সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না: ইসি আনিছুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না: ইসি আনিছুর

নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না: ইসি আনিছুর

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময় অনিয়ম হলে কোনো রকমের সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আমাদের একটাই চাওয়া-নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে। কোনও অনিয়ম, কারচুপি বা যেখানেই অন্যায় কার্যক্রম হবে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন।  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরের পিটিআই ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে নয়টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় ইভিএম’র মাধ্যমে এবং বাকি জেলাগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না।

আনিছুর রহমান বলেন, গত নির্বাচন একই দিনে সম্পন্ন হলেও এবারের নির্বাচনে ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও কৃচ্ছতাসাধনের লক্ষ্যে চার ভাগে নির্বাচন শেষ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ৮ মে ১৫০টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি জেলাগুলোতে ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। দুর্গম, পাহাড়ি ও দ্বীপ এলাকাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটের আগের দিন নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হবে এবং বাকি জেলাগুলোতে ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হবে এবং বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এভাবে কখনো প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বাতিল করার মতো যথেষ্ট উপাদান ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপিও তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখনই আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, আইনের স্বপক্ষে সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।

বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবি’র রিজিওনাল কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই চট্টগ্রাম শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী ও জেলার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

;

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিয় থানার মনসুরাবাদ দু'পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল-২৪ এর সংবাদ কর্মী সেলিম উল্লাহর ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

হামলায় আহত সেলিম উল্লাহ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপারসন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে এ ঘটনার পর পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন ২২ এপ্রিল বিকেলে আদালতে হাজিরের পর তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলার পর সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন আহত সাংবাদিক সেলিম।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, মনসুরাবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা মামলার আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

হামলায় আহত সেলিমের ভাষ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মনসুরাবাদে সংঘর্ষের মুখে পড়েন সেলিম। এ সময় তিনি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাদ্দাম ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টাও করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পিছু হটে। হামলায় চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে সেলিম জানান।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

;

বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা

বাংলাদেশ-মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা

  • Font increase
  • Font Decrease

মরিশাসের পররাষ্ট্র, আঞ্চলিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মরিশাসের স্থানীয় সময় সকালে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ককে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন মর্মে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

যেহেতু মরিশাস আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার তাই মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মনিশ গোবিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে মরিশাস অবস্থান করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

;