ইভিএমে ময়মনসিংহ সিটিতে রোববার ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম:
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নগরীরর সার্কিট হাউজ জিমনেশিয়াম থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনী সরঞ্জাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নগরীরর সার্কিট হাউজ জিমনেশিয়াম থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনী সরঞ্জাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) প্রথম নির্বাচন রোববার(৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে নগরীর সার্কিট হাউজ জিমনেশিয়াম থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনী সরঞ্জাম। মসিকের ৩৩টি ওয়ার্ডে ১২৭টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম প্রদ্ধতিতে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান জানান, প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ব্যাপক নিরাপত্তা হাতে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে সব ধরণের প্রস্তুতি।

নির্বাচন অফিস জানায়, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১০ জন আনসার সদস্য ও তিনজন করে পুলিশ সদস্য থাকবে। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠ সকলের নিরাপত্তা ২২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৩৩টি মোবাইল টিম, পুলিশের ৩৩টি মোবাইল টিম (প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে) ও ১১টি স্ট্রাইকিং থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনজন অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও নির্বাচনকালীন সব ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সাজা প্রদানে ১৬ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭০প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। মেয়র পদে কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

   

লাভ বেশি হওয়ায় ঘাস চাষ বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে বেড়েছে মাংসের উৎপাদন ও গ্রহণের হার। মাংসের সে চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ হচ্ছে দেশীয় উৎস থেকে। আর সে চাহিদা পূরণে বেড়েছে পশু উৎপাদনও। তবে পশু পালনের ফাঁকা জমি ও প্রাকৃতিক ঘাস কমে যাওয়ায় বেড়েছে ঘাসের বাণিজ্যিক চাষ।

খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই এখন ঝুঁকছেন বাণিজ্যিক ঘাস চাষে। এতে করে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বাড়ছে পশু উৎপাদন, মাংসের চাহিদা মেটাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ।

জানা যায়, আগে যেখানে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ও পরিবারের সবাই মিলে পরিশ্রম করেও ফসল উৎপাদনে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকাও টিকতো না, এখন ঘাস চাষে ফল হচ্ছে তার উলটো। বছরে এক বিঘা জমিতে মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করেই আয় হচ্ছে ১৮-২০ হাজার টাকা। প্রতি বর্ষার পরে একবার ঘাস লাগিয়ে দিলেই তা পশুকে খাওয়ানো যাচ্ছে ৮-৯ মাস। প্রতিবার কাটার পর একবার করে সার প্রয়োগ করলেই ঘাস বড় হচ্ছে দ্রুত, ফলে দরকার হচ্ছে না বাড়তি পরিশ্রম বা টাকা খরচের।


ঘাস চাষিরা জানান, বর্তমান সময়ে ফসল চাষে অনেক ক্ষেত্রেই গুনতে হচ্ছে লোকসান। অন্যদিকে ঘাস চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় ফসলের বদলে ঘাস চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। গরুর জন্য চাষ করা এসব ঘাসের মধ্যে আছে নেপিয়ার ও চাল্লা (স্থানীয় গরুর ঘাসের নাম) জাতীয় ঘাস। আবার গো-খাদ্যের তুলনায় ঘাস খাওয়ানোই খরচ কম হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন খামারিরাও।

ফলে জেলার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুরসহ প্রায় সব উপজেলায় বেড়েছে ঘাস চাষ। পশুপালনেও আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। ফসল ফলানোর পাশাপাশি একটি-দুটি গরু চাষে হচ্ছেন স্বাবলম্বী। আবার এসব এলাকায় প্রবাসী কর্মী বেশি থাকায়, প্রবাস জীবন শেষে সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে অনেকেই গড়ে তুলছেন গরুর খামার, স্বপ্ন দেখছেন স্বাবলম্বী হওয়ার।


সম্প্রতি নবীনগরের ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নে গরুর খামার দিয়েছেন সৌদি ফেরত সফিক মিয়া। প্রায় ৬ বছরের প্রবাস জীবন শেষ করে গত বছর দেশে ফিরেন তিনি। উদ্যোক্তা মনোভাব ও গরুর খামারে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই এই পথে নিয়ে আসে তাকে। ২২টি গরু দিয়ে শুরু করা তার এই খামারের জন্য নিজস্ব প্রায় এক একর জমিতে ঘাস চাষ করেছেন তিনি। চাষ করা সে নেপিয়ার ও চাল্লা দিয়েই পূরণ হচ্ছে গরুর খাবারের চাহিদা।

প্রথমবারের মতো গরু পালন শুরু করলেও সামনের কোরবানি ঈদে সে গরু বিক্রি করে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন জানিয়ে গরু খামারি সফিক মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে গরুর খাবারের যে দাম তাতে করে গরু থেকে লাভ করাটা অনেকটায় দুরূহ। তবে নিজস্ব জমিতে ঘাস চাষে কমেছে সে গো-খাদ্যের চাহিদা। গরুও পাচ্ছে তাজা ঘাসের পুষ্টি। আলহামদুলিল্লাহ্, এতে করে আমার গরুর গ্রোথও ভাল।’

সফিক বলেন, ‘আমি যে ঘাস চাষ করেছি, তাতে করে আরও দুই মাস নিশ্চিন্তে গরুকে খাওয়াতে পারবো। এরপর বর্ষা আসলে কিছুটা সমস্যা হবে। তখন অনেকটাই গো-খাদ্য ও খড়ের উপর নির্ভর করতে হবে। তবে এর আগেই যেহেতু অধিকাংশ গরু কোরবানিতে বিক্রি করে দিবো, তাতে আমাকে সমস্যায় পড়তে হবে না।’

স্থানীয় আরেক কৃষক জাকির হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সবজি-ফসল কইরা কোনো লাভ নাই। ঘরের সবাই মিইলা যেই কষ্ট করি হেই তুলনায় দাম পাই না। এরপরে আবার ট্রাক্টর খরচ, সারের টেহা (টাকা), নিরানি (আগাছা পরিস্কার) সব মিলাইয়া অনেক টেহা খরচ হয়। অনেক সময় আবার ফসল মাইরও যা। কিন্তু গরুর ঘাস করলে কিচ্ছুই লাগে না। একবার খালি পারা দিয়া লাগায় দেই, আর মাঝে মধ্যে একটু সার দেই। ২-৩ হাজার টেহা খরচ করলে বছরে কোনো কষ্ট ছাড়াই এক বিঘা জমিতে ২০-২২ হাজার টেহা আয় অয় (হয়)।’

;

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৪ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১২০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬ এবং ঢাকার বাইরের ১৭ জন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে, ১৩ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক হাজার ৯৩৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা ৬৫১ জন, আর এর বাইরের এক হাজার ২৮৮ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৮১৯ জন।

;

কুয়াকাটায় রাখাইনদের ৩ দিনের সাংগ্রাই উৎসব



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী (সাংগ্রাই) বা জলকেলি উৎসব। পুরাতনকে ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৩ ঘটিকায় কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে রোবার (১৪ এপ্রিল) চন্দন মিশ্রিত জল দিয়ে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৭ দিনের এই উৎসব। এলাকা ভিত্তিক রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন বিহার ও ঘরে থাকা বৌদ্ধ মূর্তি স্নান করে এই উৎসবের শুরু করে।

দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে বরণে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা ধর্মীয় বিশেষ প্রার্থনা, বঙ্গবন্ধুর জীবনী আলোচনা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য, মৈত্রীয় জলবর্ষণসহ বিভিন্ন আয়োজনে উৎসব মুখর হয় এ আয়োজন।

স্থানীয় রাখাইনদের মাতুব্বর মো. উচাচী বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে মূলত তরুণীদের কাছ থেকে রাখাইন তরুণদের পানি কিনতে হয়। তরুণীদের পানি কিনতে হয় না। তারা এখানে সংরক্ষিত পানি ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসায় সিক্ত জল একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে পালন করা হয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এ উৎসব। এটাকেই আমরা উপভোগ করি।

রাখাইন পঞ্জিকা অনুসারে, ১৩৮৫ রাখাইন বর্ষের শেষ দিন মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)। বুধবার (১৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে ১৩৮৬ রাখাইন বর্ষ। এই বর্ষ বিদায় ও বরণে কুয়াকাটা রাখাইন সম্প্রদায়ের ৭ দিনের ‘সাংগ্রাই’ বা বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসব পালন করা হচ্ছে । তিন দিনের জলকেলি উৎসবের মধ্যে দিয়ে শনিবার (২০ এপ্রিল) এই উৎসবের শেষ হবে।


কুয়াকাটা সাংগ্রাইন উদযাপন কমিটির সভাপতি উচান চীন বার্তা২৪.কম-কে জানান, ১৩৮৬ (রাখাইন বর্ষ) সালকে বরণ করতেই সাংগ্রাইয়ের শেষ অধ্যায় হিসাবে জলকেলির আয়োজন করেছি। আমরা খুবই আনন্দিত। মূলত এ জলকেলি অনুষ্ঠান ছিল সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

রাখাইনদের ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানে উচান চীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. আনোয়ার হাওলাদার, (মেয়র কুয়াকাটা পৌরসভা), আব্দুল বারেক মোল্লা (সাবেক মেয়রও সভাপতি কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ) জনাব মোতালেব তালুকদার (সাধারণ সম্পাদক) কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, জনাব মিস্টার ফ্রান্সিস ব্যাপারী (আঞ্চলিক পরিচালক কারিতাস, বরিশাল) এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী।


সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সাংগ্রাই উদযাপন উপলক্ষে আমাদের জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখানে আমরা থানা পুলিশ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। একই সাথে দেশ-বিদেশ থেকে আগত টুরিস্টরা যাতে এ প্রগ্রামটা দেখতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। এই ঐতিহ্যবাহী প্রোগ্রামটা আরও জাঁকজমক হোক এবং নিরাপদ হক সে কামনা প্রত্যাশা করছি।

;

অপহরণের শিকার ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় তাকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রুমা শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নারায়ন দাশকে রুমার শাখা ব্যবস্থাপনার (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করে পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফ। ওই সময়ে ব্যাংকের ভল্ট খুলতে না পেরে হামলাকারীরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৪ এপ্রিল তাকে উদ্ধার করা হয়।

সোনালী ব্যাংকের গত ৯ এপ্রিলের দপ্তর নির্দেশ নং-১৩/২০২৪ এর তথ্যমতে, রুমা শাখা, বান্দরবানের নেজাম উদ্দীনকে কর্ণফুলী শাখা, চট্টগ্রামের ম্যানেজার (সিনিয়র অফিসার) ও যুগ্ম-জিম্মাদার (সাধারণ) করা হয়। কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার মু. রেজাউর রহমানকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) চট্টগ্রামের কে. বি বাজার শাখায় এবং কে. বি বাজার শাখার ম্যানেজার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) প্রিন্সিপাল অফিস, পটিয়ার (চট্টগ্রাম) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে বদলি করা হয়।

সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) এর মহাব্যবস্থাপক মো. মুসা খান বলেন, রুমা শাখায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা ও অপহরণের ঘটনার পর তিনটি শাখার কার্যক্রম স্থগিত করে বান্দরবান শাখার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। রুমার শাখার সিনিয়র এক কর্মকর্তাকে শাখাটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে আমরা দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রুমাসহ অপর শাখাগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে চালু করতে কাজ করছি।

;