ত্রাণ নয়, প্রয়োজন বাঁধ সংস্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৩য় বারের মতো খুলনার দাকোপ উপজেলার পশুর নদীর তীরবর্তী বানীশান্তা ইউনিয়নের ওয়াপদার ভেড়িবাঁধে ভাঙ্গন হয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গোটা খুলনায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও দাকোপের বানীশান্তা এলাকাবাসীর বিপদ যেনো লেগেই আছে।


রোববার (৫ মে) দুপুরের দিকে পশুর নদীর জোয়ারের পানি বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত চাপে বানীশান্তা বাজারের উত্তর পাশের এলাকায় পাশাপাশি পৃথক ২টি স্থানে প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ার ঘটনায় পানিবন্দী হয়ে পরে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরে রাতে আরো ২টি পৃথক স্থানে প্রায় ৫০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/06/1557102378026.jpg
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। 

 

বেড়িবাঁধের ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত বিমল কৃষ্ণ বার্তা২৪.কম কে বলেন, ‘আমাদের এহানের বাঁধ খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এ ঝড়ের গোণে ৩ বার বাঁধ ভাঙলো। আগে দুইবার বাঁধ ভাঙ্গার পরে আমরাই আবার বালি আর বস্তা ফেলছি, কিন্তু এহন জোয়ারের জন্যি দেয়া যাচ্ছেনা’। 

দাকোপের সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল ওয়াদুদ রাতে বার্তা২৪. কম কে বলেন, ‘দুপুরের দিকে দাকোপ বাণীশান্তা বাজারের পাশের বাঁধে ৩য় বারের মতো ভাঙ্গন হয়েছে। তবে মূল সমস্যা হলো, আগের দু’বারের ভাঙ্গনের পরেই গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দ্রুত বাঁধের সংস্কার করেছিলো। কিন্তু এবার জোয়ারের পানির প্রবল স্রোতের কারণে গভীর রাত পর্যন্তও বাঁধের সংস্কার বা পানি আটকানো সম্ভব হয়নি। তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত বাঁধের ভাঙ্গনের কারণে ৫’শ পরিবারের মাঝে ৫ কেজি চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। প্রয়োজনে আরো ত্রাণ বিতরণ করা হবে। তবে এখন মূল চ্যালেঞ্জ হলো ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার। দিনের আলো ফুটলেই বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/06/1557102450388.jpg
উপায়ন্তর না থাকায় পানিতেই চলাচল।

 

এদিকে ত্রাণসামগ্রীর পরিবর্তে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে দাকোপের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। বারবার বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় সংগ্রামী উপকূলবাসীরা ত্রাণের চেয়ে বাঁধ সংস্কারের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে গত ৪দিনের ভেতরে দাকোপে এ নিয়ে ৩ বার বাঁধ ভাঙ্গলো। এতে স্থানীয় ৯টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার প্রায় সহস্রাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দাকোপের বাণীশান্তা বাজার এলাকার অধিকাংশ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কাঁচা ও আধাঁপাকা ঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

   

বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত: ইসি সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে যৌথ অভিযান চলমান থাকায় এই ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে ইসি অতিরিক্ত সচিব জাহাংগীর আলম এই কথা জানান।

প্রসঙ্গত, ৮ মে প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমাসহ বান্দরবানের সাতটি উপজেলার মধ্যে ভোট হওয়ার কথা ছিল। 

;

পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও অটোরিকশাচালিত সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব ১০)।

রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকা হতে ৩ জন এবং যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম.জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এম.জে.সোহেল বলেন, সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১০’র একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৩ জন জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- মোঃ নাসির সরদার (৩৩), অয়ন দাস (২০), মোঃ নজরুল ইসলাম (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ সজিব (২৮), মোঃ ইকবাল হোসেন (৩২), দিলদার (৪০), মোঃ রাজন (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৬ হাজার ৭৩০ টাকা এবং ২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু

তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানি করা আলু

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দরে তীব্র গরমে ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু ট্রাকে পঁচতে শুরু করেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। তবে আমদানিকৃত আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ৬ দিন লেগে যায়। এতে তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচে রস পড়তে দেখা যায়।

আলুর আমদানি কারক বাংলাদেশে ইন্টিগেটেড ফুডস এন্ড বেভারেজ। ৩২ ট্রাক আলুর চালানটি যাবে রংপুরে।

এদিকে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়লেও বাজারে দিন দিন বাড়ছে দাম। গতবছর এ সময়ে যে আলু ২২ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হয়েছে এখন তার মূল্য ৫০ টাকা দাড়িয়েছে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে আলু আমদানি বাড়লেও কোন সুবিধা পাচ্ছেনা অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের। এদিকে প্রচন্ড গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচতে শুরু করেছে। তবে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তারা বলছেন দ্রুত যাতে পণ্য চালানটি খালাস হয় তার সহযোগীতা করছেন তারা।

জানা যায়, দেশে প্রতিবছর আলুর চাহিদা ১ কোটি মেট্রিক টনের মত। আর চাহিদার বিপরীতে সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান মতে দেশে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১২ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হলেও মজুদ করতে ব্যবসায়ীরা সারা বছর কমবেশি আলু আমদানি করে থাকে। বৈশ্বিক মন্দায় গেল বছর যখন দেশে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ে তখন পাল্লা দিয়ে আলুর দাম বেড়ে দাড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা। এতে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বাড়াতে গতবছরের ৩০ অক্টোবর নানান শর্ত দিয়ে বেসসরকারি ভাবে আলু আমদানির অনুমতি দেয়।

পরবর্তীতে ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আলু আমদানি। বেনাপোল সহ দেশে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাড়ছে আলুর আমদানি। তবে ভরা মৌসুম ও আমদানি বাড়লেও তার সুফল পাচ্ছেনা ক্রেতারা। ব্যবসায়ী সিন্ডকেট দিন দিন বাড়াচ্ছে আলুর দাম। এতে ক্ষোভ সাধারণ ক্রেতাদের। এদিকে ২০০ কিলোমিটার দূর থেকে আলু আমদানি আর আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ ৬ দিন লেগে যাওয়ায় বেনাপোল বন্দরে ট্রাকে আলু পঁচতে দেখা যায়।

আলুবাহী ট্রাক চালকেরা জানান, তারা ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুর নিয়ে যাবেন। কিন্তু গরমে বন্দরেই আলু ট্রাকে পঁচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে আরও নষ্ট হবে।

বেনাপোল বাজারের আলু বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান, বাজারে আলুর সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছেনা। বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু।

সাধারণ আলু ক্রেতারা জানান, ভারত থেকে আলু আমদানি হলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে দাম কমছেনা। বাজারে কারো কোন তদারকি নেই।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্তু কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলু মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

;

হাতীবান্ধায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, প্রখর রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর থেকে মুক্তি পেতে ও বৃষ্টির আশায় হাতীবান্ধা উপজেলা বড়খাতায় বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিখারা) আদায় করেছেন এলাকাবাসী। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ব্যবসায়ীদের আয়োজনে উপজেলার বড়খাতা হাই স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ বিশেষ নামাজে বিভিন্ন এলাকার মুসল্লীগণ অংশগ্রহণ করেন। 

এ বিশেষ নামাজ আদায় শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ কারী মাওলানা মুফতি নাজমুল হুদা সাদী,খতিব নুরানি জামে মসজিদ, বড়খাতা।

নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লী আহসান হাবিব লাভলু বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় মরতে শুরু করেছে কৃষকের বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত, আল্লাহ যেন বৃষ্টি দেন তাই নামাজ পড়েছি।

নূরানি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ কারী মাওলানা মুফতি নাজমুল হুদাসাদী বার্তা ২৪. কমকে বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে কষ্টে আছে গাছপালাসহ প্রাণীকূল। সে কারণে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছি।

;