বিনা ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন খুলনা চেম্বারের ২৪ পরিচালক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
লনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি / ছবি: বার্তা২৪

লনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেল ৪ টায় তিনটি ক্যাটাগরির ২৪টি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সে অনুযায়ী বিকেল ৪টায় ২৪টি পদের বিপরীতে ২৪জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মনোনয়ন জমা পড়ে। বিকেল ৫টায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ২৪টি মনোনয়নই বৈধ ঘোষণা করেন।

ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পরিষদের ২৪টি পদের নেতৃবৃন্দ বিনা প্রতিদ্বন্দ‌িতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।

২৪টি পদে যারা নির্বাচিত হচ্ছেন তারা হলেন

বাণিজ্যিক দলে- খুলনা ডিস্ট্রিক ইম্পোটার্স গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী আমিনুল হক, খুলনা সিমেন্ট আমদানীকারক মালিক গ্রুপের গোপী কিষণ মুন্ধড়া, খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপের ঠাকুর মো. শাহ্ আলম। সহযোগী সদস্য শ্রেণীতে- মো. মোস্তফা জেসান ভুট্টো, শেখ মো. গাউসুল আজম, মো. মনিরুল ইসলাম মাসুম, খান সাইফুল ইসলাম, মো. মাহবুব আলম, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান। সাধারণ সদস্য শ্রেণীতে- শেখ আসাদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, এম এ মতিন পান্না, জেড এ মাহমুদ ডন, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. সিরাজুল হক, শেখ আল্লামা ইকবাল তুহিন, মো. আবুল হাসান, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, কাজী মাসুদুল ইসলাম, এস এম ওবায়দুল্লাহ, দীপক কুমার দাস, মো. ইসলাম খান ও উজ্জ্বল কুমার গাঙ্গুলী।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি জানায়, গত ৫ মে চেম্বার অব কমার্সের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের মনোনয়ন ক্রয় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) পর্যন্ত তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে বাণিজ্যিক দলে তিনজন, সহযোগী সদস্য শ্রেণিতে ছয়টি পদে ছয় জন ও সাধারণ সদস্য শ্রেণির ১৫টি পদে ১৫ জন মনোনয়ন জমা দেন।

তবে চেম্বারের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান মনোনয়ন ক্রয় করলেও তিনি জমা দেননি। আগামী ১১ জুন খুলনা চেম্বারের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ নির্বাচনের পর আগামী ১৫ জুন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ও দুইজন সহ-সভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিনা ভোটে নির্বাচিত ২৪জন পরিচালনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দই আগামী ১৫ জুন সভাপতি, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত তিন সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী শেখ, সদস্য (অব.) পুলিশ সুপার শহিদুল আলম চৌধুরী এবং অ্যাডভোকেট এস এম আজমিরুল হামজা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।

উল্লেখ্য, খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে ১ হাজার ৪৩০জন ও সহযোগী সদস্য শ্রেণিতে ৭০৮জন ভোটার হয়েছেন। গত ২০১৭ সালেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভোট না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

   

সন্তানের বিকাশজনিত সমস্যার করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সন্তানের বিকাশজনিত সমস্যার করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

সন্তানের বিকাশজনিত সমস্যার করণীয় নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আপনার সন্তানের বিকাশজনিত সমস্যা লক্ষ্য করলে করণীয় কী’ শীর্ষক একটি ফ্রি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) আর্লি ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ইডিআই) বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ইডিআই বাংলাদেশ আধুনিক বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিকাশজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের ভাষা ও আচরণগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করে থাকে। সেমিনারটি প্রারম্ভিক শৈশবে শিশুর বিভিন্ন বিকাশের ধাপ এবং কীভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিহ্নিত করা যায় সে সম্পর্কে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।

ডিটা চ্যাপম্যান, ইডিআই বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ও আর্লি ইন্টারভেনশনিস্ট, সেমিনারের মূল বক্তা ছিলেন।

তিনি, একজন বোর্ড সার্টিফাইড বিহেভিয়ার এনালিস্ট, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সেক্টরের সাথে জড়িত আছেন এবং মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং নেপালে একই ধরনের উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

সেমিনারে ডিটা শিশুদের ডেভেলপমেন্টাল মাইলস্টোন নিয়ে কথা বলেন। পিতামাতা, থেরাপিস্ট, শিশু বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদদের কোন বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন যা ডেভেলপমেন্ট 'রেড ফ্ল্যাগ' হিসেবে কাজ করে এবং কেন প্রারম্ভিক শৈশব সময়েই পদক্ষেপ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি শিশুর বিকাশে 'রেড ফ্ল্যাগ' লক্ষ্য করলে পিতামাতা এবং থেরাপিস্টরা কি ধরনের কৌশল ব্যবহার করতে পারেন এবং প্রাথমিকভাবে কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত সে সম্পর্কেও আলোচনা করেন।

এ ধরনের সেমিনার অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং অভিভাবক, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা।

;

চলমান তাপ প্রবাহের সামাজিক প্রভাব ও করণীয়



ড. মতিউর রহমান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যভাগ থেকেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। এমন তীব্র দাবদাহে হাঁপিয়ে উঠছে জনজীবন। এই তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফর।। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে, অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প অস্বস্তি আরো বাড়াতে পারে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চুয়াডাঙ্গায় পর পর কয়েকদিন ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনো পার্থক্য না থাকায় এ অঞ্চলের জনজীবন খুবই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই প্রচণ্ড গরমে শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সতর্ক না হলে যে কেউ সাধারণ পানিশূন্যতা, বদহজম থেকে হিটস্ট্রোকে ভুগতে পারে।

বাংলাদেশ এখন নিয়মিত তীব্র তাপ প্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে, যা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক, কিডনি বিকলতা, হৃদরোগ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী, এবং দরিদ্র মানুষ তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। তাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা পেতেও তাদের সমস্যা হয়। তীব্র গরমের কারণে মানুষের মেজাজ খারাপ হতে পারে, বিরক্তি, উদ্বেগ, এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাপ প্রবাহের সময় হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর চাপ বেড়ে যায়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় পরিবর্তন করা হয়, যার ফলে কর্মীদের জীবনে বিঘ্ন ঘটে। এই সময় ফসলের উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে কৃষকদের আয় কমে যায় এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি দেখা দেয়। তাছাড়া, নির্মাণ, পরিবহন, এবং পর্যটন শিল্পও তাপ প্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ কমে যায় এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। তীব্র দাবদাহের সময় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তীব্র গরমের কারণে অনেক স্কুল বন্ধ রাখা হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পানি ও খাদ্যের জন্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে সামাজিক দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। তীব্র গরমের সময় অপরাধের হার বৃদ্ধি পায় বলে দেখা গেছে। তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে অনেক মানুষ তাদের বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়, যার ফলে জনগোষ্ঠীর স্থানান্তরের সমস্যা দেখা দেয়।

তীব্র গরমের কারণে মানুষের মনে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে থাকে, যার ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার সমস্যা দেখা দেয়। তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পরিবারে অশান্তি দেখা দিতে পারে।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পরিবেশগত ক্ষতি হয়, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা দেয়। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তীব্র তাপ প্রবাহ মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবদেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তা মানবদেহের সহনশীলতার সীমার মধ্যে থাকে। কিন্তু বাতাসে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এর চেয়ে বেশি হলে মানবদেহ তা সহ্য করতে পারে না। ফলে অস্বস্তি এবং সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে তাপ বাড়লে তাপ ব্যবস্থাপনাই হবে মূল কাজ, অর্থাৎ কীভাবে তাপ কমানো যায় তা দেখতে হবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তীব্র তাপ প্রবাহে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করতে এ সময় প্রচুর পানি ও পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে। পানি, স্যালাইন, ফলের রস এবং পানীয় শরীরে আর্দ্রতা বাড়ায়। ডিহাইড্রেশনের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ পানিশূন্যতার কারণে স্ট্রোক হতে পারে।

পানি ও পানি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি যুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। তরমুজ, আনারস, জাম্বুরা, আপেলের মতো ফল শরীরের তাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রচুর শাকসবজি খেলে হজমে সাহায্য করে। এটি শরীরের অস্বস্তি কমায়।

দিনের তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে তখন সরাসরি সূর্যালোক বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশে সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সূর্যের আলো সবচেয়ে বেশি থাকে। রোদে যেতে চাইলে ছাতা, টুপি, জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে। চোখ রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। কোথাও যাওয়ার আগে সঙ্গে পানির বোতল নিতে হবে।

তীব্র গরমে ভাজা সুস্বাদু খাবার বা জাঙ্ক ফুড শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বার্গার, পটেটো চিপস বা পিজ্জার মতো খাবারে ক্যালোরি, সোডিয়াম এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। ফলে একদিকে যেমন গরম বেশি থাকে, তেমনি বদহজম ও বিরক্তির আশঙ্কা তৈরি হয়। গরমে ভাজা খাবার কম খেতে হবে বা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়ানোর পরামর্শ দেন।

গরমে হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতির পোশাক পরার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই ধরনের কাপড় দ্রুত তাপ শোষণ করে ফলে কম গরম হয়। ঘর ঠাণ্ডা ও বাতাসযুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলায় ঘরে আলো কম থাকলে ঘর ঠান্ডা থাকে। বাড়িতে গাছপালা থাকলে তাপ শোষণ করে। মেঝে পাকা হলে, ঘর বারবার পরিষ্কার করলে ঘর ঠান্ডা থাকবে।

প্রচন্ড গরমে মানুষের শরীর সাধারণত অতিরিক্ত ঘামের কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পানিশূন্যতার কারণে মানুষের শরীর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এ সময় বদহজম ও পেট খারাপ এবং পানিবাহিত রোগ হতে পারে। রোটাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব, কেউ কেউ এমনকি বমিও করতে পারে। এই ধরনের অসুখ সাধারণত একটু সাবধান হলেই এড়ানো যায়। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে কারো শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বাংলাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের সামাজিক প্রভাব ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদী। এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং সাধারণ মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে। তাপপ্রবাহের ঝুঁকি কমানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, এবং পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

;

যশোরে তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি, গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে যশোর অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। থার্মোমিটারের পারদ বাড়ছে প্রতিদিনই। রোদের তাপে শহরতলীর ঝুমঝুমপুরে যশোর-নড়াইল সড়কের রাস্তার বিটুমিন পর্যন্ত গলে যেতে দেখা গেছে।

যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। প্রচণ্ড গরমে মানুষের দুর্ভোগের সঙ্গে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক-শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। তারা গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে কেউবা মাথায় পানি ঢেলে গরম নিবারণের চেষ্টা করছেন।

রিকশাচালক মফিজুর রহমান বলেন, এই রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বেরোচ্ছে না। তাই যাত্রী খুবই কম। একে তো গরম তার ওপর যাত্রী না থাকায় খুব কষ্টে আছি। দিনশেষে বাড়িতে চুলা জ্বলবে কিনা সেই চিন্তা করছি।

আরেক রিকশাচালক শওকত আলী বলেন, গরমের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও গরিব মানুষ রাস্তায় বের না হলে খাবো কি।

শরবত বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, গরম বাড়ায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।

;

ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?

ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলছে তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও আজ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও কমবে না তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গরম বেশি অনুভূত হবে। মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে।

এদিকে, সারা দেশে চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে, সিলেটে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর। এ সময় উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

এ এলাকার নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে।

সারা দেশের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে।

;