বসিলা জঙ্গি আস্তানা: পরিচয় নাও মিলতে পারে নিহত জঙ্গিদের!



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জঙ্গি আস্তানায় নিহত জঙ্গিদের ছিন্নভিন্ন মরদেহ বের করে নিয়ে আসছে উদ্ধারকারীরা,  ছবি: সুমন শেখ

জঙ্গি আস্তানায় নিহত জঙ্গিদের ছিন্নভিন্ন মরদেহ বের করে নিয়ে আসছে উদ্ধারকারীরা, ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানায় র‍্যাবের অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে দুই জঙ্গির নাম সুজন ও সুমন, তাদের বয়স আনুমানিক ২৫-৩০ বছর হবে বলে জানিয়েছিল র‍্যাব।

তবে ঘটনার দুই দিন পর র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, নিহত দুই জঙ্গি যে পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছিল, সেটা সঠিক ছিল না। তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাসা ভাড়া নেয়, তাদের পরিচয় গোপন করার জন্য।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বসিলার জঙ্গি আস্তানার অভিযানের পর পরই দুই জঙ্গির পরিচয় শনাক্তকরণে তদন্তে নামে পুলিশ ও র‍্যাব। কিন্তু অভিযানের ১১ দিন পার হয়ে গেলেও দুই জঙ্গির নাম পরিচয় কিছুই শনাক্ত করতে পারেনি তদন্তকারী র‍্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তা।

বসিলা জঙ্গি আস্তানা: পরিচয় নাও মিলতে পারে নিহত জঙ্গিদের!
বসিলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় ভবনের চারপাশে ঘেরাও করে রাখে র‍্যাবের সদস্যরা, ছবি: সুমন শেখ

 

র‍্যাব ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে জানা যায়, জঙ্গি আস্তানাটিতে অভিযানকালে বাড়ির একটি কক্ষে থাকা দুই জঙ্গি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী দেয়। পরে র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ভেতরে ঢুকে দুজনের ছিন্নভিন্ন মরদেহ খুঁজে পায়।

আরও জানা যায়, যেহেতু মরদেহ ছিন্নভিন্ন, সেক্ষেত্রে জঙ্গিদের আঙুল খুঁজে পাওয়াও যায়নি। যার ফলে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে র‍্যাবের ক্রিমিনাল ডাটাবেজে বা নাগরিক পরিচয় কোনটায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অন্যদিকে নিহত দুই জঙ্গি, নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য বলে জানা গেলেও তারা পুরান সদস্য নাকি নব্য সেটিও পরিষ্কার হতে পারেনি তদন্তকারীরা। ঘটনার পরের দিন এ ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়।

বসিলা জঙ্গি আস্তানা: পরিচয় নাও মিলতে পারে নিহত জঙ্গিদের!
অভিযানের সময় আস্তানা এলাকায় বেশ কয়েকবার আগুন ধরে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা, ছবি: সুমন শেখ

 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বসিলার জঙ্গি আস্তানার অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার ১১ দিন পার হয়ে গেলেও দুই জঙ্গির পরিচয় শনাক্তকরণে কোনো অগ্রগতি নেই। এ বিষয়ে তদন্ত সেই আগের জায়গায়ই রয়ে গেছে। তবে জঙ্গিদের পরিচয় শনাক্তকরণের অগ্রগতি বলতে যতটুকু তারা বলছেন, 'ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে'।

এ বিষয়ে র‍্যাব-২ এর এসপি মহিউদ্দিন ফারুকী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বসিলার জঙ্গি আস্তানায় র‍্যাবের অভিযানে যে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা জেএমবির সদস্য। তবে তাদের সঠিক নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি। দুই জঙ্গির ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের পরিচয় শনাক্তকরণের বিষয়ে কিছুটা এগোনো যাবে।'

বসিলা জঙ্গি আস্তানা: পরিচয় নাও মিলতে পারে নিহত জঙ্গিদের!
জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ছবি: সুমন শেখ

 

এর আগে র‍্যাব-২ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যেহেতু বিস্ফোরণে দুই জঙ্গির আঙুল খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাই এখন ভরসা ডিএনএ টেস্ট। তাই এখন জঙ্গিদের পরিচয় নিশ্চিত হতে গেলে, ডিএনএ পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ডিএনএ নমুনা হাতে না এলে, তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

তবে তারা বলছেন, শুধুমাত্র ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন দিয়েই নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না। কারণ ডিএনএ নমুনা মেলানোর জন্য মরদেহের দাবিদারের (পরিবারের সদস্য) প্রয়োজন। কিন্তু নিহত দুই জঙ্গির মরদেহের কোনো দাবিদার বা পরিবারের লোকজন এখনো পাওয়া যায়নি। সে ক্ষেত্রে এই ঘটনায় ডিএনএ নমুনা ক্রস চেক করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।

আরও জানা গেছে, ডিএনএ টেস্ট ও নিখোঁজ জিডির মাধ্যমে নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় শনাক্ত না করা গেলে, তাদের পরিচয় নাও মিলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিজি বিশ্বাস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'নিহত দুই জঙ্গির ডিএনএ নমুনাসহ সকল খুঁটিনাটি বিষয় আমরা সংগ্রহ করে রেখেছি। এখন যদি কোনো দাবিদার এসে মরদেহের দাবি করে তাহলে ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। নয়তো সারা দেশের বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ জিডি থেকে কোনো ক্লু পেলে, তদন্ত করে হয়তো বিষয়টি সুরাহা করা যাবে। এছাড়া আর কোনো উপায় এই মুহূর্তে নেই। তবে এতে অনেক সময় লাগবে। তাই আপাতত ডিএনএর ওপরই আমরা ভরসা রাখছি।'

   

তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মানববন্ধন করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি-র সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওছমান গনি, সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম জি মোস্তফা ও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তিস্তাপাড়ের লোকজন।

;

‘নাগরিক জীবনে সর্বত্র দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় দুই লাখ সদস্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রাত দিন ২৪ ঘণ্টা নাগরিক জীবনে সর্বত্র দায়িত্ব পালন করে চলেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব আয়োজিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এখন বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে, পুলিশ শ্রমজীবী মানুষ ও পথচারী যারা পানি কিনে খেতে পারে না তাদের কথা বিবেচনা করে ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে। সেইসঙ্গে স্যালাইন দেয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় ঔষধও দেওয়া হচ্ছে।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, বাংলাদেশ পুলিশের সেবা কেবল আইনশৃঙ্খলার ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়, সেটি তারা জাতিকে দেখিয়েছে। সবার আগে দেখিয়েছে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে। জাতীয়তার পরীক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ সবার আগে পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করেছিল।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ চেয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশের পুলিশ সেই অবস্থানে রয়েছে দাবি করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বড় বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেটি ২০১৩ সালের ৫ মে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সেদিন কতটা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছিল দেশবাসী তা জানে।’

‘এরপর করোনাকালীন বিশ্বব্যাপী যে অতিমারির সৃষ্টি হয়েছিল সেটিও মোকাবিলা করতে হয়েছে পুলিশকে। বাবা মা সন্তানের লাশ ফেলে চলে গেছে। সেই দায়িত্ব নিয়েছিল পুলিশ। বাড়ি বাড়ি খাবার দিয়েছে পুলিশ, হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ। প্রখর রোদের ভেতর ঢাকা শহরের ট্রাফিক পুলিশ কীভাবে কাজ করে তা আমরা সবাই জানি। মানুষের কথা চিন্তা করে শুধু গরম না আরও যদি কোনো দুর্যোগ বিপর্যয় আসে পুলিশ বসে থাকতে পারে না, পুলিশ তার দায়িত্ব ঠায় দাঁড়িয়ে পালন করে।’

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি জীবন সাঁজাতে সংস্কৃতির প্রয়োজন হয়। জীবন বাঁচাতে এবং সাজাতে সবক্ষেত্রেই পুলিশের সতর্ক অবদান রয়েছে। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই পুলিশের মাঝে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।’

বক্তব্য শেষে প্রদীপ জ্বালিয়ে তিন দিনব্যাপী পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার।

;

রিকশাচালকদের মাঝে স্যালাইন পানি বিতরণ করছে ফেনী পৌর মেয়র



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের মতো ফেনীতে বইছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষের জনজীবন। এরমধ্যে দিনমজুর, শ্রমজীবী ও রিকশাচালকদের ভোগান্তি চরমে। ফেনীতে তীব্র তাপদাহ থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে ইতোমধ্যে শহরের ৪টি পয়েন্টে সুপেয় ঠান্ডা পানির ফিল্টার স্থাপন করেছে ফেনী পৌরসভা।

পাশাপাশি ২য় দিনের মতো রিকশাচালকদের মাঝে স্যালাইন, ঠান্ডা পানি ও কোমলজাতীয় পানীয় এবং শরবত বিতরণ করেছে ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে দুপুরে শহরের জিরো পয়েন্ট দোয়েল চত্বরে ২য় দিনে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি৷

জব্বার মিয়া নামে একজন রিকশা চালক বলেন, আমাদের মেয়র সবসময় আমাদের কথা চিন্তা করে। এ গরমে গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর। এরমধ্যে মেয়র স্যালাইন পানি হাতে আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, একটু ঠান্ডা খেতে পেরেছি।

রবিউল হক নামে একজন ভ্যানচালক বলেন, এ গরমে এমনিতেই আমাদের আয় রোজগার কম। তাও পরিবারের চিন্তা করে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। এরমধ্যে রাস্তায় মেয়র মহোদয় কোক পানি ও সেলাইন দিয়েছে। এটি পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

মেয়র স্বপন মিয়াজী বলেন, সারাদেশের ন্যায় ফেনীতে তীব্র গরমে কাবু সব পেশার মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক ও পথচারীরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তাদের কথা চিন্তা করে শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ ৪টি স্থানে সুপেয় বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রিকশাচালকরা রোদের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। চালকদের দোকান থেকে ঠান্ডা পানি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য থাকে না। তাদেরকে ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও কোক দেয়া হয়েছে। যতদিন তাপদাহ থাকবে ততদিন আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

;

দাবদাহে পথচারীদের তৃষ্ণা নিবারণে জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপদাহে নিম্ন আয়ের মানুষ ও পথচারীদের তৃষ্ণা নিবারণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা স্বাস্থ্য সেবা দিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম।

বর্তমান তাপদাহ পরিস্থিতিতে নরসিংদীর জেলখানা মোড় পৌরসভা মোড়সহ শহরের ৯টি ব্যস্ততম সডকের পাশে বিনামূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঠান্ডা সুপেয় পানি ও স্যালাইন বিতরণ বুথ খুলেছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলখানা মোড়ে নরসিংদী পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনস্বাস্থ্য প্রোকৌশল অধিদপ্তরের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এই বুথের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ডক্টর বদিউল আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু, জনস্বাস্থ্য প্রোকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান হোসেন, জেলা হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক ডা. এ এন এম মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোস্তফা মনোয়ারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক চলমান দাবদাহে পথচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের গরম থেকে রক্ষা করতেই এই প্রয়াস নেয়া হয়েছে। যতদিন দাবদাহ অব্যাহত থাকবে ততদিন জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জেলার প্রতিটি উপজেলায় এই কার্ক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে তীব্র গরমে একটু প্রশান্তি দিতে জেলা প্রশাসনের এমন আয়োজনে খুশি পথচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

;