৭ ধারার নোটিশের পর অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি অধিগ্রহণে সাত ধারার নোটিশ জারির পর আর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সাত ধারা নোটিশ জারির পর প্রায়ই দেখা যায় মানুষকে হয়রানির উদ্দেশে অসাধু চক্র যোগসাজশ করে আরেকজনকে দিয়ে টাইটেল মামলা করায়। জনভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে সাত ধারার নোটিশ জারির পর আর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না; এই মর্মে শীঘ্রই পরিপত্র জারি করতে যাচ্ছি।’
বুধবার (১৫ মে) তেজগাঁওয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের উদ্যোগে ‘ভূমি জরিপ কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজ আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। দেশের মানুষ যেন ভালোভাবে সেবা পেতে পারে এভাবে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সু-শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন যেন টেকসই হয় সেজন্যে আমরা বদ্ধপরিকর।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাইন্ডসেট চেঞ্জ করতে হবে। গুণগত পরিবর্তন আনতে পারলে এবং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করতে পারলে কাজ অনেক সহজ হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরতদের আমার সাথে দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়তে সহমত থাকতে হবে। যারা এতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না তাদের ঠিক করে ফেলা উচিৎ, তারা কী করবেন। যারা অন্যায় করবেন তারা কেউই রেহাই পাবেন না।
ভূমিমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে এক কোটি ৪৬ লাখ খতিয়ান ওয়েবসাইটে আপলোড দেওয়া হয়েছে, সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার্থে অভিযোগ কেন্দ্র গঠনের জন্য হটলাইন, সরকারের সাথে ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন লেনদেনের জন্য ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুকরণের জন্য একটি পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপন, অনাবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু ও ল্যান্ড ব্যাংক করার বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আলীম আখতার খান।