‘দেশে সাংবাদিকতার সহায়ক পরিবেশ নেই’



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমের মালিক হওয়ায় ব্যবসার ঝুঁকির কথা চিন্তা গণমাধ্যমগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা। বাংলাদেশে বর্তমানে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সহায়ক পরিবেশ নেই বলেও মন্তব্য করেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের এই সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধানম-ির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রধান কার্যালয়ে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০১৭’ ঘোষণা ও প্রদান অনুষ্ঠানে ‘দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন সাবেক সিইসি। তিনি বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে সংবাদ প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছেন না। দুঃখজনক এই পরিস্থিতি গণমাধ্যম, গণতন্ত্র বা রাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। দুর্নীতি প্রতিরোধসহ সুশাসন ও সর্বস্তরে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সুফল পেতে গণমাধ্যমকর্মীদের নির্ভয়ে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ শামসুল হুদা বলেন, এর কোনো বিকল্প নেই। সরকারের ভেতরে থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত ও প্রশ্রয়দানকারীদের চিহ্নিত করতে সরকার গণমাধ্যমকে সহায়তা করলে তা সরকারের জন্যই ইতিবাচক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সরকারের মধ্য থেকে যারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম অগ্রাধিকার দারিদ্র্য দূর করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে দেশে দুর্নীতি থাকে সে দেশে কখনো দারিদ্র্য দূর হবে না। তাই সরকারে থেকেও যারা দুর্নীতিবাজদের সহায়ক, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দুর্নীতির প্রতিবেদন করতে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে হুমকিসহ বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়- সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের উত্তরে গওহর রিজভী বলেন, গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ করার কোনো নির্দেশনা কাউকে দেয়নি সরকারে। কেউ যদি এটা করে থাকে, সেটা নিজস্বার্থে করছে এবং এর দায়ও তারই। আলোচনা শেষে টিআইবি’র অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০১৭-এর বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ বছর প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার পাঁচজন সাংবাদিক ও চার জন ভিডিও চিত্রগ্রাহকসহ মোট নয় জন এ পুরস্কার পেয়েছেন। প্রিন্ট মিডিয়া (জাতীয়) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদক অরূপ রায়। প্রিন্ট মিডিয়া (আঞ্চলিক) বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন খুলনার দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এইচ এম আলাউদ্দিন। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (প্রতিবেদন) বিভাগে মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি বদরুদ্দোজা বাবু এবং ভিডিও চিত্র ধারণে বিশেষ ভূমিকার জন্য মাছরাঙা টেলিভিশনের সিনিয়র ভিডিও চিত্রগ্রাহক মেহেদী হাসান সোহাগকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (প্রামাণ্য অনুষ্ঠান) বিভাগে যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের স্টাফ করেসপনডেন্ট সবুজ মাহমুদ এবং চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার মো. জাহিদ মামর ইসলাম। প্রামাণ্য অনুষ্ঠান বিভাগে ভিডিওচিত্র ধারণের বিশেষ ভূমিকার জন্য ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিও চিত্রগ্রাহক রাকিবুল হাসান ও গোলাম কিবরিয়া এবং যমুনা টেলিভিশনের ভিডিও চিত্রগ্রাহক তানভীর মিজানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিজয়ী প্রত্যেক সাংবাদিককে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ এবং প্রত্যেক ভিডিও চিত্রগ্রাহককে পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম. হাফিজউদ্দিন খান, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ক সংলাপে বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার ওপর অনুষ্ঠিত সংলাপে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকালের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলাভিশনের বার্তা সম্পাদক শারমীন রিনভী এবং দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইফতেখার মাহমুদ।
   

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহতের নিথর দেহ উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে দুপুরের দিকে সাভার পৌরসভার সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসকের সহকারী।

হত্যাকান্ডের কারণ বা এর সাথে কারা জড়িত তা এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান: রেলমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে হলে সবাইকে মন দিয়ে রেলের জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

তিনি বলেন, রেলের কিছুটা পরিবর্তন সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর রেলভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রেলকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অনেক কষ্টে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে অনেক স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। এদেশের মানুষকে ভালোবেসেই তিনি নিজের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমাদের এই দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের মনে, চেতনায়, মননে ও মানসিকতায় বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের বুকে লেখা হয়ে গেছে। তাই আমরা যদি সবাই মিলে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই আমাদের মহান স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মদান অর্থবহ হবে।

এর আগে অফিস কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করেন। ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়নধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে অলোচনা করেন তারা।

;

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বঙ্গভবনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশকে অন্য পথে পরিচালিত করতে চেয়েছিল কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাৎকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধিদল ৩ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।

প্রতিনিধিদল ১৯৭১ এর গণহত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য স্মারকপত্র প্রদান করেন।

তাঁরা সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করবে মর্মে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশন সাহাবুদ্দিন কমিশন নামে পরিচিত।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস. এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

;