রংপুরে ৫ বছরে কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর কৃষি জমি



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
কলকারখানা ও বসত বাড়ি নির্মাণের আগ্রাসনে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি, ছবি: বার্তা২৪.কম

কলকারখানা ও বসত বাড়ি নির্মাণের আগ্রাসনে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক সময়ের খাদ্য শস্য ভাণ্ডার খ্যাত রংপুরে দিন দিন কমে আসছে কৃষি জমির পরিমাণ। প্রতি বছরই হাজার হাজার হেক্টর জমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে। আবাসন আর শিল্পায়নের জালে হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে উত্তরের কৃষি অর্থনীতি।

প্রতি বছর সারাদেশে মোট আবাদি জমির ৬৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে শুধু রংপুর বিভাগেই কমছে আট হাজার ৭৮১ হেক্টর জমি। অকৃষি খাতে চলে যাওয়া জমিতে গড়ে উঠছে শিল্প কলকারখানা, বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠান। সঙ্গে জনসংখ্যার বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে চাহিদানুযায়ী বসত ভিটার সংখ্যাও।

আইনের বাস্তবায়ন না থাকায় এ পরিস্থিতি দিন দিন হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে কৃষি নির্ভর উত্তর জনপদের সাধারণ মানুষকে। এতে করে উত্তরের কৃষি অর্থনীতির বিপর্যয়ের সাথে দেখা দিতে পারে চরম খাদ্য সংকটও।

রংপুরে ৫ বছরে কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর কৃষি জমি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সেরুডাঙ্গা এলাকার আবু বকর সিদ্দিক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, '১০-১৫ বছর আগেও এই উপজেলায় কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ঈর্ষণীয়। সেসময় দিগন্ত জোড়া কৃষি জমি আর ক্ষেতের পর ক্ষেত চোখে পড়ত। এখন সেই চেনা সবুজের ক্ষেতে শিল্প মালিকরা কলকারখানা তৈরি করেছে। কৃষি জমি আর কৃষি ক্ষেতে নেই।'

পীরগঞ্জের সংবাদকর্মী শরিফুল ইসলাম সুমন বলেন, 'আগে মহাসড়কের দুপাশ জুড়ে শুধু কৃষি জমি দেখা যেত। এখন সেই জমিতে অনেক সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি গড়ে উঠেছে। দিন দিন রংপুর অঞ্চলে কৃষি জমি চলে যাচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠান আর অকৃষি খাতে। এটা আমাদের আগামী প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তার দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।'

রংপুরে ৫ বছরে কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর কৃষি জমি

এ অবস্থায় কৃষি আন্দোলনকারীরা বলছেন, 'জমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইনের প্রয়োগ না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি জমি। এতে করে কৃষি ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরাঞ্চলে খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।'

রংপুরের সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'এসআরডিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৫ বছরে শুধু রংপুর বিভাগেই আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে ৪৩ হাজার ৯০৫ হেক্টর। আর প্রতি বছর রংপুর বিভাগের প্রায় আট হাজার ৭৮১ হেক্টর কৃষি জমি চলে যাচ্ছে শিল্প কলকারখানা আর বসত ভিটায়। এতে করে উত্তরাঞ্চলে অচিরেই খাদ্য নিরাপত্তা হুমকি প্রকট আকার ধারণ করবে। ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এই জনপদের জীবন ও জীবিকা।'

রংপুরে ৫ বছরে কমেছে প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর কৃষি জমি

আবাসন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে কি ধরনের ভূমি ব্যবহার করা দরকার সে বিষয়ে ভাববার সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন এই কৃষক নেতা।

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দাবি, কৃষি জমি কমলেও উৎপাদনে ঘাটতি সৃষ্টি হয়নি। বরং মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে প্রযুক্তি নির্ভর চাষাবাদে উৎপাদন বাড়িয়ে আবাদি জমির ঘাটতি পূরণ করতে পারছে।

এ ব্যাপারে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'এক সময় কৃষি জমি পড়ে ছিল। এখন কিন্তু তা হচ্ছে না, বরং একই জমিতে দুই থেকে তিনবার করে চাষাবাদ হচ্ছে। আমাদেরকে অল্প জমিতে বেশি ফলন ও উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ধরে প্রযুক্তি নির্ভর চাষাবাদ করতে হবে। তবেই কৃষি জমির ঘাটতি মোকাবিলা সম্ভব হবে।'

   

বগুড়ায় ছেলের বাড়ি বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ের মায়ের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ছেলের বাড়ি বেড়াতে এসে রান্না করার সময় গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বিসিক নগরীর আবাসিক এলাকাঢ এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়া শহরে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত বৃদ্ধা সোনাবান বিবি (৮০) জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার মদনচর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী। নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলামের চাকরি সুবাদে গত চারমাস আগে তিনি বগুড়ায় বেড়াতে আসেন।

নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, চাকররির সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ার বিসিক এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখে রান্না ঘরে ঢুকে দেখেন গ্যাসের আগুনে তার মা দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

দেশে চার কোটি টন চাল উৎপাদন হয়: তাজুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি বলে জানিয়েছেন,

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) “১২তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই মলা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম।

তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি সকল দেশের জন্য আদিখ্যাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জিডিপির জন্য যেসব সেক্টরগুলো আমদের আছে প্রোডাক্টিভ সেক্টর, এগ্রিকালচার সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। এই সেক্টর গুলো না হলে সার্ভিস সেক্টর প্রমোট হবে না। মানুষের যেমন দুটি পা আছে ঠিক তেমনি জিডিপির দুটি পা হল এগ্রিকালচার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। গোলবালি ম্যাজিক বর্তমানে হল সার্ভিস সেক্টরের কন্ট্রিবিউশনে জিডিপি যত বেশি হবে সে দেশ ততো বেশি উন্নত।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা (আওয়ামী লীগ) যখন প্রথম সরকার গঠন করে তখন দেশে অনেক খাদ্য ঘাটতি ছিল। তখন ২০ মিলিয়নের নিচে খাদ্য উৎপাদন হতো। মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করত। তখন আমরা খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর ছিলাম। সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের আমদানি করতে হয় নাই। ১৯৯৬ সালে তখন আমরা ৮০ টাকার সারকে ২০ টাকায় বিক্রি করছি। সে সময় সারের দাম ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের শুল্ক কমানো হয়। ১৯৯৬ সালে দেশে ১৬'শ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আজকে দেশে ২৭ হাজার মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। শহরের লোডশেডিং করেছি কিন্তু গ্রামে কৃষি কাজে জন্য লোডশেডিং মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এর কারণে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি সম্পূর্ণ মুক্ত করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, লিমরা ট্রেড ফেয়ারস্ এন্ড এক্সিবিশনস্ (প্রাঃ) লিমিটেড চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী প্রমুখ।

;

টাঙ্গাইল শাড়িসহ জিআই সনদ পেল আরও ১৪ পণ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইল শাড়িসহ দেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সংশ্লিষ্টদের হাতে এ সনদ তুলে দেন।

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যগুলো হলো- গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দু'হাত ভরে তাঁর বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব-দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।

সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি। বিশেষ অতিথি বলেন, আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একইসঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি, ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবস্থা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

ডিপিডিটি'র মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

;

জামালপুরে চুরি ও হারিয়ে যাওয়া ১৭ মোবাইল ফোন উদ্ধার করল পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরে চুরি ও হারিয়ে যাওয়া ১৭টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর সদর থানায় সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসেন।

পরে উদ্ধারকৃত এসব মোবাইল ফোন সেট প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসেন জানান, 'তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় চুরি- হারিয়ে যাওয়া ১৫ জনের ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। কারো মোবাইল হারিয়ে গেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দিয়ে মোবাইল সেট ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, যাদের কাছ থেকে মোবাইল সেটগুলো উদ্ধার করা হয়েছে তারা না বুঝেই এসব মোবাইল সেট ক্রয় করে ব্যবহার করছিলো। তবে এসব মোবাইল সেট বিক্রির সাথে জড়িতদের আটক করা না হলেও তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। পরে আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ৬ মাস আগে হারিয়ে যাওয়া ২টি ও ফয়সাল হাসান নামে এক ব্যক্তির দুই দিন আগে হারিয়ে যাওয়া ২টি মোবাইল সেটসহ উদ্ধারকৃত মোট ১৭টি মোবাইল সেট ভূক্তভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;