সুশাসন ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব: গওহর রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নবম বিসিএস ফোরামের সেমিনারে বক্তব্য দেন ড. গওহর রিজভী, ছবি: সৈয়দ মেহেদী

নবম বিসিএস ফোরামের সেমিনারে বক্তব্য দেন ড. গওহর রিজভী, ছবি: সৈয়দ মেহেদী

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, সুশাসন ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব। সুশাসন কখনো উন্নয়ন অনুসরণ করে না। সুশাসন ছাড়া কোনো ধরেনের উন্নয়নের কথা চিন্তাও করা যায় না।

বুধবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে 'সুশাসন এবং জাতীয় উন্নয়ন' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নবম বিসিএস ফোরাম সেমিনারের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নাগরিকদের সন্তুষ্টির অপর নাম সুশাসন। সরকারের শাসনামলের সফলতা ও ব্যর্থতা এর উপর নির্ভর করে। যদি দেশের নাগরিকরা খুশি থাকে, তার মানে সরকার ঠিক কাজ করছে।

ড. রিজভী বলেন, যদি সরকারের উপর জনগণের আস্থা থাকে, তাহলে সরকারের উপর তাদের বিশ্বাস থাকে, তাহলে সরকারের টিকে যাওয়াটা অনেক সহজ হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558531656799.jpg

শাসন ও উন্নয়নের মধ্যে একটা বৈপিরত্য সব সময় আছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আজ যখন আমাদের সরকার ভালো কোনো কিছু করতে যায় তখন জনগণ বলে না যে, সরকার কী করছে। বরং তারা সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করে। বলে, সরকার কেন এটা করছে? এর পছনে কী উদ্দেশ্য আছে? অন্যদের থেকে একটি রাষ্ট্রকে যেটি আলাদা করে সেটা হলো- সামজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ। কারণ কোনো সংস্থা, কোনো প্রতিষ্ঠান সামাজিক ন্যায়বিচার দিতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা যখন উন্নয়নের কথা বলি তখন টেকসই উন্নয়নের কথা বলি। উন্নয়ন বলতে আমরা পাঁচ-ছয় বছরের উন্নয়নের কথা বলি না। আমরা চাই, টেকসই উন্নয়ন। 

কোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার কথাও তুলে ধরেন ড. গওহর রিজভী।

তিনি বলেন, পাকিস্তান শাসনামলের দশ বছরকে (১৯৫৮-১৯৬৮) বলা হয় 'উন্নয়নের দশক।' অথচ পরের বছরই ১৯৬৯ সালে দেখা যায় গত ১০ বছরের যা কিছু অর্জন তার কিছুই অবশিষ্ট নেই। একেবারে মুছে ফেলা হয়েছিল। কারণ সে উন্নয়নটা হয়েছিল সুশাসন ছাড়া।

তার মতে, সুশাসন বলতে বোঝায় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। কতৃত্বমূলক, একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সুশাসন হয় না।

গওহর রিজভী

তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো সামরিক শাসক নেই যারা তার দেশকে ক্ষমতা দখলের সময়কার চেয়ে উন্নত করে ক্ষমতা ছাড়তে পেরেছে। একটাও উদাহরণ নেই।

ড. রিজভী বলেন, আমি যখন অক্সফোর্ডে ছিলাম আমরা সহকর্মীরা মিলে তখন ২৫ জন সামরিক শাসককে নিয়ে গবেষণা করি। প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা দেখতে পাই যে, হয় সামিরক শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, নয়তো সেখানে পাল্টা অভ্যুত্থান হয়েছে; যা দেশকে আরো বাজে অবস্থায় নিয়ে গেছে, হয়তো সামরিক শাসনের আগে ততটা বাজে ছিল না। তাই গণতান্ত্রিক সরকারের গুরুত্ব অনেক।

সংগঠনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। প্যানেল ডিসকাসেন্ট ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও জাইকা প্রতিনিধি নাওকি মাসুমুরা।