শহরে প্রবেশেই মণপ্রতি আমে হাজার টাকা ব্যবধান!



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
আড়তে আম বিক্রির অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা / ছবি: বার্তা২৪

আড়তে আম বিক্রির অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে। মহানগরী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ভালো জাতের আম পাড়া শুরু হওয়ায় বৃহৎ আমের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। চোখে পড়ছে ব্যবসায়ী-আড়তদারদের ব্যাপক আনাগোনাও।

ভালো জাতের আম বলতে বানেশ্বরসহ রাজশাহীর বাজারে এখন বিক্রি হচ্ছে শুধুই গোপালভোগ। বানেশ্বর বাজারে গোপালভোগ আম মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। তবে এই একই আম রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, স্টেশন ও রেলগেট এলাকায় ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে! যা বানেশ্বর বাজারের চেয়ে মণপ্রতি প্রায় ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বেশি। অর্থাৎ মাত্র ২০ কিলোমিটারের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/24/1558666127347.jpg

ফলে এ নিয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন ক্রেতারা। নগরীতে বসবাস করা অনেকেই মৌসুমী ফল আম কিনতে এসেও ফিরে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, আড়তদার-মজুতদারদের জন্য রাজশাহীতে বাস করেও ঢাকার দরে আম কিনে খেতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) দুপুরে সরেজমিন বানেশ্বর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভ্যানের চারদিকে বাঁশ দিয়ে উঁচু খাঁচা তৈরি করে তাতে আমভর্তি করে চাষিরা আম নিয়ে এসেছেন। সেখানে আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমচাষিদের দর কষাকষি চলছে। শুধু রাজশাহীর আড়তদার নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকার আড়তদারদের দেখা মিললো বানেশ্বর বাজারে। এখানে মূলত পাইকারি দরে আম বিক্রি করা হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/24/1558666149874.jpg

পুঠিয়ার আমচাষি সিদ্দিকুর রহমান ও তার ছেলে আমিরুল দুই ভ্যানে করে আম নিয়ে এসেছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি দেশি জাতের গুঁটি আম কাঁচা বিক্রি করে দিয়েছি। এখন গুঁটি গোপালভোগ আম নামিয়েছি। সেগুলো বাজারে নিয়ে এসেছি। ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে অরজিনাল গোপালভোগ এখনো বাজারে সেভাবে আসেনি। যারা এনেছে, তারা ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ বিক্রি করছে।

তবে আরেক আম চাষি সিরাজুল ইসলাম তার গোপালভোগ আমকে আসল দাবি করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় গোপালভোগ বেশ বড় হয়েছে। কেজিতে ৪টা থেকে ৫টা আসছে। পরিপক্কও ভালে হয়েছে। পাড়ার একদিনেই পেকে যাচ্ছে। আমি এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে তিন মণ বিক্রি করেছি। এখন যা আছে, সেগুলো একটু ছোট। দাম কিছুটা কম হবে। ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় ছেড়ে দেব।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/24/1558666199624.jpg

এদিকে, একই দিনে দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার ও লক্ষ্মীপুর মোড়ে ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থাৎ মণপ্রতি দাম হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা। বানেশ্বর বাজারের থেকে যা প্রায় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বেশি।

সাহেববাজার থেকে আম কিনতে আসা রাফসানি বার্তা২৪.কমকে জানান, পেশায় তিনি একজন চাকরিজীবী। সারাদিন অফিস করে দূরে গিয়ে আম কিনে এনে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই দ্বিগুণ দাম হলেও অফিস থেকে ফেরার পথে দুই/তিন কেজি করে কিনে নিয়ে যান তিনি।

তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের অধিক মুনাফা লাভের আশায় ক্রেতাদের পকেট কাটার বিষয়টির দিকে প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেওয়ার দাবি জানান ক্রেতা রাফসানি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/24/1558666232519.jpg

আসলাম হোসেন, নাজনীন বেগম, তোহুরা খাতুন, সবুজসহ আর অনেক ক্রেতা তার মতোই ক্ষোভ জানিয়ে প্রশাসনের নজরদারি করার আহ্বান জানান।

দামে এত ফারাকের বিষয়ে জানতে চাইলে সাহেব বাজারের আম ব্যবসায়ী সাদেকুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হাটে (বানেশ্বর) পাইকারি দরে আম বিক্রি হয়। আমি কিনে আনতে পথে পথে আড়তদার, হাট ইজারাদারসহ নানা হোমড়া-চোমড়াদের টাকা দিতে হয়। যদি খুচরা বাজারে এসে তার দ্বিগুণ দামে আম না বিক্রি করি, তবে বউ-বাচ্চার আর পেটে ভাত যাবে না। পথে বসতে হবে।’

রেলগেট এলাকার আম বিক্রেতা আকতার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বানেশ্বরে আমরা আম পাইকারি দরে কিনি, এখানে খুচরা দরে সারাদিন বসে বিক্রি করি। তাও তো হিসেবে কম দামে আমরা বিক্রি করছি। এতে আহামরি কোনো লাভ হচ্ছে না।‘

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/24/1558666409962.jpg

জানা যায়, গত ১২ মে চলতি মৌসুমের আমপাড়ার সময়সীমা বেধে দেয় জেলা প্রশাসন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- গত ১৫ মে থেকে দেশি জাতের গুঁটি আম পাড়া শুরু হয়। ২০ মে থেকে গোপালভোগ আম গাছ থেকে পাড়া শুরু করেছে চাষিরা।

আগামী ২৮ মে হিমসাগর বা ক্ষীরসাপাত, ৬ জুন ল্যাংড়া, ১৬ জুন আম্রপালি, ফজলি ও সুরমা ফজলি এবং ১ জুলাই আশ্বিনা আম পাড়া যাবে। তবে রমজানে দাম ভালো না পাওয়ার শঙ্কায় অনেক চাষি এখনো আম পাড়া শুরু করেনি। ঈদের পর থেকে পুরোদামে তারা আম নামাতে শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছর রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। দুই লাখ ১৩ হাজার ৪২৬ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাঘা উপজেলাতে আট হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আমচাষ করা হয়েছে।

   

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ১৮দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে ঈদের আগে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে জাহাজটির মালিকপক্ষের আলোচনা চলমান থাকলেও এখনো নাবিকদের মুক্তি নিয়ে বলার মতো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এবার হয়তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না নাবিকদের।

ঈদের আগে নাবিকদের উদ্ধার করার কথা প্রচার হচ্ছে কোথাও কোথাও। এমন পরিস্থিতিতে জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামভিত্তিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। তবে এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। নাবিকদের পরিবারের সদস্যদেরও মানসিকভাবে প্রশান্তিতে রাখার একটা বিষয় আছে। সেজন্য হয়তো কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকবার জায়গা বদলের পর বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তখন মুক্তিপণ আদায়ের পর জাহাজ থেকে নেমে গিয়েছিল দস্যুরা। ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার এখনো মুক্তিপণের বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। আর মুক্তিপণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে তেমন কিছু জানায়নি। মুক্তিপণ চাওয়ার পর মালিকপক্ষ থেকে দর কষাকষি করা হবে। তখন ৪০দিনে দুই পক্ষের মধ্যে মুক্তিপণের বিষয়ে সমাঝোতা হয়েছিল। এরপর চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পাঠানো হয় দস্যুদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায়। পরে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে জাহাজে এসে সেই টাকা ভাগ করে দস্যুরা। এরপরই জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। অর্থাৎ সমাঝোতার পরও মুক্তি পেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছিল। এবারও সেই প্রক্রিয়ায় মুক্তি মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়া সময়সাপেক্ষ বিষয়।

অবশ্য নাবিকদের উদ্ধারে দেরি হলেও ভালো খবর হচ্ছে, এখন পর্যন্ত নাবিকেরা সবাই সুস্থ আছেন। দস্যুদের পক্ষ থেকেও ভালো আচরণ করা হচ্ছে। তাঁদের ওপর কোনো নির্যাতন কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে না। এরই মধ্যে জাহাজের নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনা শুরু করেছে দস্যুরা। ফলে খাবার নিয়ে নাবিকদের মধ্যে থাকা দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে। অবশ্য জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ আছে।

অবশ্য জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হলেও জলদস্যুরা তাতে ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে। নাবিকদের সঙ্গেও তারা ভালো আচরণ করছে। নাবিকদের তাঁরা নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, জাহাজের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজে অংশ নিতে দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে দস্যুরা। আশা করছি খুব দ্রুত নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তাদের সঙ্গে সমাঝোতা হবে। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সংকটের সমাধান করে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

;

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক। যদি দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা যায় তাহলে শিক্ষার সামগ্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে দ্বিতীয় ডিআরএমসি জাতীয় রমাদান ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামের সংবিধান হলো মহাপবিত্র আল কুরআন। এটি কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথপ্রদর্শক। মুসলিমদের জন্য রয়েছে আরেকটি বিধান সেটি হলো মহানবী (স.) এর হাদীস। এই দুটিকে আঁকড়ে ধরতে পারলে পথভ্রষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলে পরকালে পুরস্কার হিসেবে রয়েছে চির শান্তির জান্নাত।

তিনি বলেন, আমরা যদি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলামের আলো সঞ্চারিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই তারা আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। তারা সকল ধরণের অন্যায়-অনাচার, পাপাচার থেকে বিরত থাকার শিক্ষা পাবে এবং তারা আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে। আমরা গড়ে তুলতে পারবো একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণ ও সঞ্চারিত করার জন্য ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ইসলামিক কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

;

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;