ফিরতি টিকিট বিক্রির শুরুতেই অকেজো রেলসেবা অ্যাপস!



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরুতেই অকেজো রেলসেবা অ্যাপস! / ছবি: বার্তা২৪

ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরুতেই অকেজো রেলসেবা অ্যাপস! / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে বুধবার (২৯ মে) ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগাম টিকিটের মতো ফিরতি টিকিট এবারই প্রথম অনলাইনেও বিক্রি করা হচ্ছে। কাউন্টারে ৫০ শতাংশ এবং রেলসেবা অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও।

তবে যাত্রীদের অভিযোগ- টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পরই অকেজো হয়ে গেছে রেলসেবা অ্যাপস। ফলে অনলাইনে যারা টিকিট কেনার জন্য চেষ্টা করেছেন, তাদেরকে এক পর্যায়ে স্টেশন এসে কাউন্টারে দাঁড়াতে হয়েছে। তবে ততক্ষণে কাউন্টারেও অনেক ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। ফলে তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রের দাবি- অ্যাপসে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে এবং অনেকে টিকিট পাচ্ছে। যদিও কিছুটা ত্রুটির কথা স্বীকার করছেন কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রীরা বলছেন- টিকিট কেনা তো দূরে থাক, একদমই অ্যাপসে ঢোকা যাচ্ছে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/29/1559140341957.jpg

অ্যাপসে টিকিট কিনতে না পেরে বুধবার (২৯ মে) দুপুরে স্টেশনে হাজির হওয়া মামুনুর রশিদ নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি সেহরির পর বেশ কয়েকবার অ্যাপসে ঢুকলাম, তখন সব ঠিক। সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তখনো ঠিকঠাকই চলছি। হঠাৎ ৯টা ৫ মিনিটের পর থেকে আর কোনোভাবে অ্যাপসে ঢুকতে পারছি না। আমার কিছু পরিচিত লোকজনের সঙ্গে কথা বললাম, তারাও একই কথা জানিয়েছেন।’

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সার্ভার সমস্যা তো আছেই, পাশাপাশি আমার কাছে মনে হয়েছে- কিছু কারসাজিও আছে। সার্ভার ডাউন থাকছে, কেউ টিকিট পাচ্ছে না অনলাইনে। অথচ দেখা যাচ্ছে- বেশ কিছু টিকিট বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে।’

রেলওয়ের কোনো অসাধু কর্মকর্তারা এই ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে ডিজিটাল উপায়ে কালোবাজারি করছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, রেলসেবা অ্যাপসে টিকিট না পেয়ে আসা যাত্রীদের চাপে দুপুরের পর থেকে রাজশাহী স্টেশনে ভিড় বাড়তে থাকে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের টিকিট কিনতে দেখা যায়। তবে কাউন্টারে টিকিটি পেতেও যাত্রীদের নানা অসন্তোষ দেখা যায়।

যেমন- বিশেষ ট্রেন কবে বন্ধ থাকবে, কবে চালু থাকবে, তার কোনো নোটিশ স্টেশনে না থাকায় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারে পৌঁছে কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট চেয়ে ওই দিন ট্রেন বন্ধ বলে জানতে পারছেন যাত্রীরা। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকিট দিতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছেন অনেক কর্মকর্তা।

যাত্রীরা বলছেন- কর্মকর্তা অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকিট দেওয়ার বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠেনি। ফলে তারা উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করায় কাউন্টারে হই-হুল্লোড় বাড়ছে।

ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরুর পর দুপুরে স্টেশন পরিদর্শনে আসেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম। সে সময় হুমায়রা বেগম নামে একজন নারী সরাসরি মহাব্যবস্থাপকের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/29/1559140368903.jpg

হুমায়রা বেগম মহাব্যবস্থাপককে অভিযোগ করে বলেন, ‘কোন দিন কোন ট্রেন বন্ধ থাকবে তার নোটিশ এখানে টানানো নেই। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আমি যখন কাউন্টারে পৌঁছে টিকিট চেয়েছি, বলা হলো- ওই দিন ট্রেন বন্ধ থাকবে। হঠাৎ আমি কী করব সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। তখন কর্মকর্তা ও পেছনের অন্য যাত্রীরা আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। আমি যে- ওই দিনের পরদিনের টিকিট নিব কিংবা অন্য কোনো সময়ের, তার জন্য এখন আবার আমাকে লম্বা লাইনের পেছনে দাঁড়াতে বলা হচ্ছে।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সকালে টিকিট বিক্রি শুরুর পর অ্যাপসে একসঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টিকিট প্রত্যাশী প্রবেশ করেছেন। ফলে সার্ভারে সমস্যা হয়েছে।’

তবে আগামীতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও বাড়ানো হলে এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন ঈদের দিন ধরে বুধবার থেকে রাজশাহী স্টেশনে আগাম ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ দেওয়া হয়েছে আগামী ৭ জুনের টিকিট। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দেওয়া হবে ৮ জুনের টিকিট, শুক্রবার (৩১ মে) ৯ জুনের, শনিবার (১ জুন) ১০ জুনের এবং রোববার (২ জুন) টিকিট মিলবে ১১ জুনের।

ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরুর আগের রাত থেকে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। কেউ কেউ রাতে স্টেশনে ঘুমিয়ে পার করেছেন। কেউ কেউ সেহরি সেরেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। আর অ্যাপসে টিকিট না মেলায় দুপুরের পর স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় আরও বেড়ে যায়।

জানা গেছে, ফিরতি টিকিট প্রত্যাশীদের বেশি চাহিদা রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনে। এছাড়া খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট্রের চাহিদাও রয়েছে। রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে প্রতিদিন শোভন ও এসি চেয়ার মিলিয়ে টিকিট সংখ্যা ৪ হাজার ৬৬৩টি। আর খুলনাগামী ট্রেনে টিকিটসংখ্যা প্রায় দুই হাজার।

   

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মানবাধিকার সম্পর্কিত একটি নতুন শাখা চালু করার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং এবং ভাসানচর পরিদর্শনের জন্য বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়।

কমিটির সভাপতি এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শাহরিয়ার আলম, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান, সাইমুম সারওয়ার, জারা জাবীন মাহবুব অংশ নেন।

 

;

ঢাকাসহ ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

;

ইসলামি সংগীত শিল্পী সালমানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় নিহত তিনজনের একজন সালমান আজাদী। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ইসলামি সঙ্গীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক। তার মৃত্যুতে ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্বজন-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সালমান আজাদী।

তিনি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার হাপানিয়া এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে। নিহত সালমান স্ত্রী ও এক শিশুপুত্রকে নিয়ে নগরীর মাসকান্দা এলাকায় থাকতেন।

জানা গেছে, ইসলামি সংঙ্গীত শিল্পী হিসেবে ময়মনসিংহে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সালমান আজাদী। ইসলামি সঙ্গীতের প্রসারে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছেন সালমান ইসলামি সঙ্গীত একাডেমি। প্রায় দুই বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে শিশুদের ইসলামি গান শেখাতেন। এছাড়াও ত্রিশালে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ইসলামি সঙ্গীতের প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি।

উদীয়মান এ ইসলাম সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাভিভূত পরিবার, আত্নীয়-স্বজন, ক্যাম্পাসের সহপাঠী-শিক্ষার্থী, ইসলামি সংস্কৃতি প্রেমিসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শতশত মানুষের ফেসবুক স্ট্যাটাসে যেন শোক বইয়ে পরিণত হয়েছে সানমানের ফেসবুক টাইমলাইন।

আব্দুর রহিম ভূঁইয়া নামে একজন লিখেছেন, কিছু মৃত্যুর সংবাদ মানুষকে ভীষণ বেদনা দেয়, ভীষণ কষ্ট দেয়। আর এই মৃত্যু যদি অকালে হয় বা আকস্মিক হয় তার শোক কাটিয়ে উঠা মোটেও সহজ না। সালমান আজাদী ইসলামিক শিল্প একাডেমির শিক্ষক ও স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন। তিনি বাচ্চাদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। বাচ্চাদের সুস্থ ধারার ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যাপারে তার অনেক পরিকল্পনা ছিল।

হানজালা রমজান মুন্না নামে আরেকজন লিখেছেন, প্রিয় হাসিমাখা মুখ ও সুন্দর করে কথা উপস্থাপন ছিল যার নৈমিত্তিক অভ্যাস। ইসলামি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ায় পেছনে ময়মনসিংহ শহরে যাদের অবদান, তাদেরই একজন ছিলেন। মনের মধ্যে ছিল ইসলামের জন্য তীব্র ভালবাসা। ভাইয়ের ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের উঁচু মাক্বাম দান করুন।

স্বামীর শোকে বাকরুদ্ধ স্ত্রী খাদিজা খাতুন জানান, সালমান নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ক্লাস করতেই ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ত্রিশাল যাচ্ছিলেন তিনি।

এদিকে সালমান আজাদীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এক শোকবার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৭-'১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে স্নাতকোত্তরে ২০২১-'২২ সেশনে অধ্যয়নরত মো. সালমান আজাদী (২৫) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ত্রিশালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়-পরিবারের পক্ষে আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সেইসঙ্গে সালমানের বিদেহী আত্মার চিরশান্তির জন্য প্রার্থনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার ত্রিশাল বাজারের সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত অন্য দুইজন হলেন, উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রামের এনামুল হকের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম (২) ও চিকনা মনোহর এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৪)।

;

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীরাঙ্গনাদের সম্মাননা দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের বহু যুবক ও ছাত্র জনতার আত্মহুতির অবদান। এই যুদ্ধে নারীদের অবদানও কোন অংশে কম নয়। এ যুদ্ধে অসংখ্য নারী সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি ইজ্জতও দিতে হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বেদনা দত্ত। বেদনা দত্তের মতো বীরাঙ্গনাদের স্মরণীয় করে রাখতে বীরাঙ্গনা স্মৃতিসৌধ বা রাস্তা ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণের দাবি মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়দের।

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বড়ি-বাড়ির বেদনা দত্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বেই স্বামী মারা যাওয়ায় অবুঝ তিন শিশুকে নিয়ে অনেক দুঃখ কষ্টে দিন পার করছিলেন। ঠিক সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের রান্না করে খাওয়ানোসহ তাদের নানাভাবে সহয়তা করতেন বেদনা দত্ত। আর এমন খবর পেয়ে রাজাকার সদস্যরা বেদনাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে পাকিস্তানি হায়েনাদের হাতে তুলে দেয়। বাড়ির পাশে রেল ব্রিজের নিচে পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে ৪ দিনে নির্যাতন শেষে মৃত ভেবে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেয় বেদনাকে।

পরে সেখান থেকে দুইদিন পর প্রাণ ফিরে পেলেও ইজ্জত আর সন্তানদের জীবন রক্ষায় এলাকা ছেড়ে নিজেকে আড়াল করে রাখেন তিনি। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে আসলেও জীবন চলে অনাহারে অর্ধাহারে। এভাবেই পার করতে হয়েছে জীবনের প্রায় অর্ধশতাব্দি। অবশেষে এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের নজরে আসলে তার কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে তাকে বীরাঙ্গনা হিসেবে নথিভুক্ত করেন এবং ভাতার আওতায় আনেন। সেই সাথে মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে তার জন্য তৈরি করা হয় বীর নিবাস। এখন এলাকাবাসীর দাবি বেদনা দত্তের অবর্তমানে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য স্মৃতিসৌধ নির্মাণের। অথবা তার নামে স্থানীয় কোন রাস্তা বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণের দাবি মুক্তিযুদ্ধাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয় জিনারদী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান উদ্দিন পাঠান বলেন, আমরা জানতামই না আমাদের এলাকায় একজন বীরাঙ্গনা রয়েছে। সরকার যখন বেদনা দত্তকে একটি বীর নিবাস তৈরি করে দেয় তখনই জানতে পারি এই এলাকায় একজন বীরাঙ্গনা রয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্মম নির্যাতনের শিকার এই নারী হয়তো একদিন থাকবেনা। কিন্তু তাকে যেনো পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখে এবং স্মরণ করে সেজন্য তার নামে একটি সড়কের নামকরণ বা স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানাই।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেদনা দত্তের মতো আরও যারা বীরাঙ্গনা রয়েছেন তাদের অসামান্য অবদান রয়েছে। নরসিংদীর নারী মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে যা প্রক্রিয়া দিন রয়েছে। অচিরেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

;