গাবতলীতে ডে‌কে ডে‌কে টিকিট বিক্রি



স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গাবতলী বাস টার্মিনা‌ল। ছবি: বার্তা২৪.কম

গাবতলী বাস টার্মিনা‌ল। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আস‌ছে ঈদ। স্বজন‌দের সঙ্গে ঈদ কর‌তে রাজধানী ছাড়‌ছে মানুষ। ত‌বে ঈদের মাত্র ক'দিন বাকি থাক‌লেও এখনো তেমন ভিড় চোখে পড়ে‌নি গাবতলী বাস টার্মিনা‌লে।

রোববার (২ জুন) সকালে গাবতলী বাস টা‌র্মিনা‌লে গিয়ে দেখা যায়, টা‌র্মিনালে যা‌ত্রী‌দের চাপ নেই। ডে‌কে ডে‌কে এখনো টা‌র্মিনাল জু‌ড়ে চল‌ছে টি‌কিট বি‌ক্রি।

এদিকে টা‌র্মিনালে সতর্ক অবস্থা‌নে থাক‌তে দেখা গে‌ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী‌ বা‌হিনীর সদস্যদের। টা‌র্মিনালের ভেতরে মা‌ঝে মা‌ঝে লাউড স্পিকারে যাত্রী‌দের সতর্ক কর‌ছে তারা।

টা‌র্মিনালে অবস্থানরত ‌শিশির লোকাল প‌রিব‌হনের ম্যানেজার বলেন, ‘প‌রিবহ‌নের ব্যবসা আগের মতো নেই। চলছে ঈদের মৌসুম। অথচ যাত্রী ডে‌কেও পাওয়া যায় না। ঈদের ম‌ধ্যে খরচ আছে, বেতন আছে, বোনাস আছে। রাজশাহীর ভাড়া ৪৮০ টাকা, আর আমরা নিচ্ছি ৪৫০ টাকা। তবুও যাত্রী নাই।’

য‌শোরগামী পূর্বাশা প‌রিবহ‌নের যাত্রী সোহাগ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগে থেকে টিকিট কাটা ছিল না। তাই ভয়ে ছিলাম। কিন্তু টার্মিনালে এসে কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি। খুব সহজে টিকিট পেয়েছি।’

সাউথ লাইন প‌রিবহ‌নের লাইনম্যান সিরাজ ব‌লেন, ‘এখনো যাত্রীদের চাপ বাড়েনি। আমা‌দের সাউথ লাইন, গো‌ল্ডেন লাইন প‌রিবহনে কখনো ভাড়া বাড়া‌নো হয় না।’

এ সময় পা‌শে থাকা বিকাশ প‌রিবহ‌নের কাউন্টার মাস্টার প‌রিমল ব‌লেন, ‘আমা‌দের গা‌ড়ির মোট আসন ৭০টা। মাত্র ১৪টা সিটে যাত্রী দি‌য়ে গা‌ড়ি ছে‌ড়ে দি‌য়ে‌ছি। নবীনগর পর্যন্ত মোট ২২ থে‌কে ২৫ যাত্রী হ‌বে। অবস্থা খুবই খারাপ।’

ত‌বে প‌রিবহন সং‌শ্লিষ্টরা স্বপ্ন দেখ‌ছেন আগামী ৩ ও ৪ তা‌রি‌খের। তারা বল‌ছেন, এ দু‌দিন যাত্রী‌দের ভিড় থাক‌বে। কারণ তিন তা‌রিখ অফিস করে মানুষ বাড়ি যাবে।

মিরপুর পুলিশ লাইনের উপপু‌লিশ প‌রিদর্শক (এএসআই) সি‌দ্দিক ব‌লেন, ‘টা‌র্মিনা‌লে মানুষ খুব স্বাভা‌বিকভা‌বে চলাফেরা কর‌ছে। প্রশাস‌নের পক্ষ থে‌কে আমরা সব সময় সজাগ আছি। কেউ কোনো ‌অভিযোগ কর‌লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নি‌চ্ছি।’

   

বাড়বে দিনের তাপমাত্রা, মিলবেনা বৃষ্টির দেখা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরই মধ্যে আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আভাস জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়। ফলে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও এই সময়ে বৃষ্টির দেখা মিলবে না বলে জানিয়েছে সরকারি এই সংস্থাটি। সংস্থাটির তথ্য মতে, শুধুমাত্র সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বার্তা ২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানান হাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি জানান, সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এছাড়া তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে তিনি জানান, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়াও সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আগামীকাল ২৪ এপ্রিলের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ফলে চলমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের অপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

পরদিন ২৫ এপ্রিলের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

সেই সঙ্গে আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানানো হয়।

;

পঞ্চগড়ে স্থানীয়দের চাকরি দেয়ার দাবিতে আইনজীবীদের মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ে আদালতের বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয়দের পরিবর্তে অন্য জেলার বাসিন্দাদের চাকরি দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আইনজীবীরা।

জেলার সচেতন আইনজীবীবৃন্দ ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় বক্তারা জেলা জজ আদালতে স্থানীয় প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সময় দ্রুত এই দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

মানববন্ধনে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের, অ্যাডভোকেট ওয়াদুর রহমান রাজনসহ স্থানীয় আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত পঞ্চগড়ের মানুষ। এ বিষয়ে প্রতিবাদ না হওয়ায় নিশ্চুপ হয়ে আছে বিষয়টি। একই সময় জেলা জজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, আপনি সুষ্ঠু বিচার কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এই নিয়োগে স্থানীয়দের অধিকার নিশ্চিত করবেন। আমরা বিশেষ কোন প্রার্থীর কথা বলছি না, আমরা দেখেছি স্থানীয়দের পরিবর্তে অন্য জেলার মানুষদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আপনাদের যদি পক্ষপাতিত্ব করতে হয় তবে পঞ্চগড়ের মানুষের জন্য করেন। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। পঞ্চগড়ের মানুষকে নিয়োগ দেয়াটা আমাদের সকলের যৌক্তিক দাবি।

;

লাইসেন্স দিলে সরকারকে রাজস্ব দেবে অটোরিকশা সংগঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। যার অধিকাংশই অবৈধভাবে চলছে এবং সরকার এর থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। রাজস্বের টাকাগুলো চাঁদাবাজির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে তৃতীয় পক্ষের হাতে।

এ সব অটোরিকশাকে লাইসেন্সের আওতায় এনে সরকারকে আগামী ৫ বছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি এন্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি এন্ড মোটরচালিত অটোরিকশা অটো বাইক সার্ভিস লিমিটেড - এর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম এ কথা বলেন।

মো. আবুল কালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে দশ বছরে বিআরটিকে ইজিবাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রশিক্ষণ বাবদ আনুমানিক ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিব বলে আবেদন করি। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল এক আদেশে মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সব সড়কে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চলাচলে বৈধতার আদেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বিআরটিএ সংস্থাপন অধিশাখা বিআরটিএ ১০ সদস্যের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা- অটোবাইক আনুমানিক ৪০ লাখ অবৈধ অটোরিকশা চলছে। মন্ত্রণালয় এসমস্ত গাড়িগুলোকে নীতিমালা আনতে পারছে না এবং উচ্ছেদও করতে পারছে না। ফলে গাড়িগুলো থেকে দেশের একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র পরিবহন খাতকে জিম্মি করে ও বিআরটিকে হাত করে প্রতি মাসে শত শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছে। যার ফলে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের একমাত্র লক্ষ্য সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করে সরকারকে উন্নতি সাধনের মাধ্যমে সর্বদা সচেষ্ট থাকা। কিন্তু আমরা দেখছি সেটির বিপরীত চিত্র।

তিনি আরও বলেন, আমার কোম্পানির লোগো ও ব্যানার ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ থেকে কাজ পরিচালনা করে সরকারের তিন সংস্থা এনবিআর, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার বিভাগকে রাজস্ব দিতে ইচ্ছুক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, ডিরেক্টর মো. মুজিবুর রহমান রানা, আক্তার আহমেদ, মার্কেটিং ম্যানেজার আনোয়ারুল কবির প্রমুখ।

;

কটিয়াদীর রেইনট্রি কাননে তীব্র দাবদাহে প্রশান্তির ছোঁয়া



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছের সমারোহ৷ চারদিকে ছেয়ে আছে সবুজ ডালপালা। প্রায় অর্ধশত বছর হতে চলেছে এসব গাছের। রাস্তার দুইপাশে নদী থাকায় খোলা বাতাস সবসময়ই থাকে। পুরনো এসব গাছের শীতল ছায়া এখন পথিকদের দিচ্ছে শান্তির সুবাতাস। শরীর শীতল করা এই ছায়ায় এসে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়৷ বর্তমানে বৈশাখে দারুণ সৌন্দর্য দেখাচ্ছে গাছের সবুজ পাতা৷ বসন্তের শিমুল ফুলের সৌন্দর্যও দেখার মতো৷

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে এমনি মনোমুগ্ধকর বনায়ন রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই বনায়ন প্রকৃতির ভারসাম্য রাক্ষায় অসামান্য অবদান রাখছে।

কটিয়াদী উপজেলার থানার সামনে নদীর বাঁধে মনোমুগ্ধকর বনায়ন 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকা কিছু অংশ স্পর্শ করেছে। বাকিটুকু জালালপুর ইউনিয়নের সীমানায়। প্রায় আধা কিলোমিটারের এই বাঁধ স্বাধীনতার পর নির্মাণ করা হয়৷ বাঁধ টেকসই করার জন্য তৎকালীন জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মরহুম মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া গাছ লাগিয়ে বনায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্যোগী হন৷ এরপরে রেইনট্রি গাছের চাড়া রোপন করা হয়৷ একসময় তা রুপ নেয় বনায়নে। বর্তমানে অযত্ন, অবহেলা ও বেদখলে সরকারি অনেক গাছ মরে গেছে৷ কিছু আধমরা অবস্থায়। তবুও কিছু এখনো টিকে আছে যা আকৃষ্ট করার মতো।


পথচারী আসাদুল ইসলাম (৪৫) বলেন, আমার বাড়ি পাশের পাকুন্দিয়া উপজেলাতে। একসাথে এতো গাছ আগে দেখিনি কখনো। তীব্র দাবদাহে এখানে এসে শীতল ছায়া পেলাম৷ মন জুড়িয়ে গেলো। যখনই আসি একটু দাঁড়িয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি।

রিকশা চালকরা জানান, যখনই এই রাস্তা দিয়ে যাই, খুবই ছায়া পাই৷ মাঝে মধ্যে রিকশার মধ্যে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি৷ এই তীব্র গরমের মধ্যে এই যায়গাটা আমাদের জন্য আল্লাহর অশেষ রহমত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বনায়নের সৌন্দর্য রক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন। গাছের গোড়া দখল করে আছে অবৈধ দখলদার। বেদখল হয়ে আছে সরকারি অনেক খাস জমি। এভাবেই সরকারি যায়গা ও বনায়ন ক্রমেই বিনাশ হওয়ার পথে।

;