আবরার ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজের সময় বাড়লো
বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় নিহত হওয়ার পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ছাত্রসমাজ। সেই সময় ঘটনাস্থলে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি তোলে ছাত্ররা। সেই দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গত ২০ মার্চ প্রগতি সরণির বসুন্ধরা গেটের সামনে একটি ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের একদিন পরই শুরু হয় নির্মাণ কাজ।
সেই সময় মেয়র কথা দিয়েছিলেন তিন মাসের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ কাজের শুরুর দিন থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ৭৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। তিন মাস শেষ হতে বাকি মাত্র ১৫ দিন। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৮ জুন শেষ হবে সেই তিন মাস। এর আগেই সোমবার (৩ জুন) সকালে ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি দেখতে যান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, এখানে কাজ করতে এসে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে—মাটির নিচে কতরকম সার্ভিস লাইন থাকে। আমরা একটি সার্ভিস লাইনেরও ক্ষতি করিনি। যে কারণে আমাদের একটু সময় লাগছে। ফাউন্ডেশনের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ঈদের আগেই পাইলিং কাজ শেষ হবে। ঈদের পর সুপার স্ট্রাকচারের কাজ শুরু হবে।
কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে, বার্তা২৪.কম’র প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা কাজ তো শুরু করেছি। এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল সেগুলো মোকাবেলা করে একটা পর্যায়ে চলে এসেছি। আশা করি জুলাইয়ের শেষ নাগাদ কাজ সমাপ্ত করতে পারব।
বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম পথচারীদের সুবিধার্থে ফুটওভার ব্রিজটিতে স্কেলেটর থাকছে বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা এখানে সিঁড়ির পাশাপাশি স্কেলেটরের ব্যবস্থা রাখছি। যাতে মানুষ রাস্তার এপার থেকে ওই পারে সহজেই আসা যাওয়া করতে পারে।
রাজধানীর সার্ভিস লাইনগুলোর সঠিক অবস্থান নির্ণয়ে ম্যাপিং করার সময় এসেছে বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, এখন সময় এসেছে একটা ম্যাপিং করা, কোথায় কোন সার্ভিস লাইন রয়েছে এসব বিষয় জানতে পারলে কাজ করতে সহজ হবে। তাই এখন সময়ের দাবি একটি ম্যাপিং করা।
গত ১৯ মার্চ সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সুপ্রভাত (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী মারা যান। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৮ দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলোর একটি ছিলো এই ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ।