গাবতলীতে এখনও শিডিউলে চলছে গাড়ি
ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন সোমবার (৩ জুন) রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলো ব্যাপক যানজটের মুখে পড়েছে। রাতের মধ্যেই রংপুর-দিনাজপুর পৌঁছে যাওয়ার কথা থাকলেও অনেক বাস এখনও বঙ্গবন্ধু সেতুই পার হতে পারেনি।
বাইপাইলে সবচেয়ে বেশি যানজট রয়েছে। এছাড়া চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে গাড়ি। সেতুর ওপারেও বহির্মুখী লেনে সিরাজগঞ্জ এলাকায় জট রয়েছে। আবার ঢাকামুখী লেনে সেতু থেকে বাইপাইল পর্যন্ত জট রয়েছে বলে বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন এসআর ট্রাভেলসের সুপারভাইজার ফাহমিদ রনি।
তিনি জানান, সোমবার বিকেল ৫টায় রংপুর থেকে ছেড়ে এসে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভোর ৪টায়। ২৯৫ কিলোমিটার এই সড়কে স্বাভাবিকভাবে ছয় থেকে সর্বোচ্চ সাত ঘণ্টা লাগার কথা। কিন্তু জটের কারণে ১১ ঘণ্টা সময় লেগেছে ঢাকায় ফিরতে। তবে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে ঈদের ছুটির শুরুতে সোমবার রাতে যারা ঢাকা ছেড়েছেন। তাদের ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অর্ধেক রাস্তা পার হতে পারেননি।
টাঙ্গাইল পুলিশের সরব উপস্থিতি ও তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও সিরাজগঞ্জ পুলিশের ঢিলেঢালা ডিউটিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন ফাহমিদ রনি।
একই ধরনের বক্তব্য দিলেন আগমনী এক্সপ্রেসের কল্যাণপুর কাউন্টারের ম্যানেজার রাকিব হাসান নোমানও। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গতরাতে রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীরা বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। অনেকেই এখনও রাস্তায় আছেন।
প্রশ্ন ছিল, রাস্তায় জটের কারণে গাড়ির শিডিউলে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না বা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না।
জবাবে শ্যামলী এনআর পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার জাহিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখনও (সকাল সাড়ে ৭টা) পর্যন্ত সব ঠিকঠাক রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার পর পরিস্থিতি বোঝা যাবে। বাসগুলো যথা সময়ে ফিরতে না পারলে কিছুটা দেরির শঙ্কা থেকেই যায়।
গাবতলী-কল্যাণপুর এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমবঙ্গগামী পরিবহনগুলো মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে ছাড়বে। আগমনী, এসআরসহ অনেকের সর্বশেষ বাস ছেড়ে যাবে বিকেল ৫টার দিকে। তবে রোজা ৩০টি হলে রাত এবং বুধবারও কিছু বাস ছাড়তে পারে যাত্রী থাকা সাপেক্ষে।
সকাল ৮টার দিকে গাবতলী-কল্যাণপুর এলাকায় যাত্রীর চাপ অন্যান্য ছুটির দিনের মতো বলা চলে। অন্যান্য ঈদে এমন দিনে যাত্রীর চাপ কাউন্টার ছাপিয়ে প্রধান সড়কে গিয়ে ঠেকতো। এবার কাউন্টারগুলোর সামনে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। ঈদের আগেই লম্বা ছুটির কারণে বেশিরভাগ যাত্রী আগেই ঢাকা ছেড়েছেন। শেষ দিন নারী ও শিশুদের সংখ্যা কম দেখা গেছে। পুরুষ এবং ছাত্রদের আধিক্য দেখা গেছে।